অবশেষে বন্ধ হলে লক্ষী ভান্ডারে টাকা ঢোকা, কাটা হচ্ছে ব্যাংক একাউন্ট থেকে লক্ষী ভান্ডার এর সমস্ত টাকা | wb lakshmi bhandar big update

সম্প্রতি লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পকে কেন্দ্র করে বাংলার মহিলাদের তরফে দুটি অভিযোগ উঠেছে। যেমন তাদের কারোর কারোর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের দরুন যে টাকা ঢুকছে সেই টাকা নাকি কেটে নেওয়া হচ্ছে। আবার কারোর কারোর অ্যাকাউন্টে এতদিন পর্যন্ত লক্ষীর ভান্ডারের টাকা প্রতি মাসে সঠিক সময় মতো ঢুকে যাচ্ছিল কিন্তু চলতি মাস অর্থাৎ মে মাস থেকে হঠাৎই টাকা ঢোকা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এমন ঘটনাগুলি কেন ঘটছে? এইসব ঘটনা গুলি এড়াতে হলে কি করতে হবে? চিন্তা নেই সব জানতে পারবেন। কারন এই সমস্যা গুলির সমাধানের পথ দেখাতেই আমরা আজ এই প্রতিবেদনটি নিয়ে হাজির হয়েছি। তাই আজকের এই প্রতিবেদনটি একটু ধৈর্য ধরে শেষ পর্যন্ত পড়ে কি করলে আর লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা কাটা যাবে না বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই প্রকল্পের টাকা ঢোকা বন্ধ হবে না সেইসব বিষয়ে জেনে নিন।

       ২০২১ সালে তৃতীয় বারের মতো মুখ্যমন্ত্রীর পদ লাভ করার পর মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার স্বপ্নের প্রকল্প লক্ষীর ভান্ডার চালু করেছিলেন। এ রাজ্যের প্রতিটি ২৫ উর্দ্ধ বেকার মহিলাকে আর্থিক দিক থেকে খুব সামান্য হলেও সাবলম্বী করে তুলতে এই প্রকল্প চালু করেছিলেন। বর্তমানে বাংলার ১ কোটি ৯০ লক্ষ মহিলা এই প্রকল্পের আওতায় সুবিধা লাভ করছেন। তবে বেশ কিছু মাস যাবৎ লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পাওয়া নিয়ে বেশ কিছু সমস্যার সৃষ্টি হতে দেখা যাচ্ছিল। যেমন ধরুন যেসব মহিলারা এই প্রকল্পের টাকা পাওয়ার যোগ্য নন তাদের অ্যাকাউন্টেও টাকা জমা হয়ে যাচ্ছিল। আবার কারোর কারোর অ্যাকাউন্টে এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাপ্য টাকার অতিরিক্ত পরিমাণে টাকা জমা হয়ে যাচ্ছিল।

      আর সেই কারণেই এইসব সমস্যা গুলির সমাধান করতে অর্থাৎ যে সব মহিলারা এই প্রকল্পের টাকা পাওয়ার যোগ্য নন অথচ এতদিন ধরে পেয়ে আসছেন তাদেরকে সনাক্ত করতে এক নতুন নিয়ম চালু করেছে রাজ্য সরকার। এছাড়াও ভুল করে যেসব মহিলাদের অ্যাকাউন্টে প্রাপ্য টাকার অতিরিক্ত পরিমাণ টাকা জমা হয়ে যাচ্ছিল সেই অতিরিক্ত পরিমাণ টাকাও কেটে নেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। 

       এই মে মাস থেকেই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা দেওয়ার বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। যার ফলে এতদিন পর্যন্ত এ রাজ্যের যে সকল মহিলারা এই প্রকল্পের টাকা পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট করা ডকুমেন্টস গুলি না থাকা সত্ত্বেও প্রতি মাসে মাসে টাকা পেয়ে যাচ্ছিলেন তারা এই মাস থেকে আর লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পাবেন না। সুতরাং লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পাওয়া যাতে বন্ধ না হয়ে যায় তা যাতে সচল থাকে তার জন্য রাজ্য সরকারের নির্ধারন করা নিম্নলিখিত নিয়মাবলী অনুসরণ করতে হবে। যেমন-

১) মহিলার নিজের নামে আলাদা করে অর্থাৎ সিঙ্গেল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।

২) এই প্রকল্পের আওতাধীন মহিলার নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকতে হবে।

৩) এই প্রকল্পের আওতায় থাকা মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করানো থাকতে হবে।

৪) যেসব সংরক্ষিত শ্রেনীর অর্থাৎ SC, ST মহিলারা এই প্রকল্পের টাকা পান তাদের কাস্ট সার্টিফিকেট অতি অবশ্যই থাকতে হবে।

৫) একমাত্র বিধবা ভাতা ছাড়া আর অন্য যে কোনো প্রকল্পের সুবিধা যদি কোনো মহিলা পেয়ে থাকেন তাহলে তিনি এই প্রকল্পের টাকা পাবেন না।

       এইসব সমস্যা গুলি ছাড়াও আরও একটি অভিযোগ উঠেছে এই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পকে কেন্দ্র করে। অনেক মহিলা জানিয়েছেন যে তাদের অ্যাকাউন্টে নাকি লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা ঢুকছে কিন্তু সেই টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। এমনটা কেন হচ্ছে তাহলে জানিয়ে রাখি। এমন অনেক মহিলা আছেন যারা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার সময় প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি যোজনা বা প্রধানমন্ত্রী মানধন যোজনা জাতীয় কোনো যোজনায় টিক চিহ্ন দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। এইসব প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত থাকলে বছরে ৩৩০ টাকা করে প্রিমিয়াম হিসেবে কাটা হয়। আর এখানেও তাই হচ্ছে। এই সব যোজনা গুলিতে টিক চিহ্ন দেওয়ার কারনেই তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। 

         তাই আপনার সাথেও যদি এমনটা হয়ে থাকে তাহলে আজই আপনার যে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেখানে গিয়ে যোগাযোগ করে এই যোজনার থেকে নিজের নাম কাটিয়ে ফেলুন। আর যাদের সরকারের দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী উপরিউক্ত যোগ্যতা গুলি নেই তারা সেইসব নিয়ম গুলি মেনে সরকারি নির্দেশ মেনে সেই কাজগুলি করূন। আর লক্ষীর ভান্ডারের টাকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার থেকে নিজেকে রক্ষা করুন।

MORE JOB NEWS: CLICK HERE

চাকরির সম্বন্ধীয় আরো বিস্তারিত খবরা খবর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল যুক্ত হন।
TELRGRAM CHANNEL:  CLICK HERE

Leave a Comment