নিজস্ব প্রতিবেদন : ডিএ মামলায় রাজ্যের হাইকোর্ট – স্যাটএ গত কয়েক বছর ধরে আইনি লড়াই লেগেই আছে । ডিএ চুকিয়ে দেওয়ার রায় ঘােষণার পরও মামলার জট কাটেনি । স্যাট বা স্টেট অ্যাডমিনিিেটভ ট্রাইবুনালের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন নিয়ে গেছে রাজ্য সরকার । সরকারি কর্মচারীদের ডিএ না দেওয়ার কারণ হিসেবে অ্যাডভােকেট জেনারেলের যুক্তি ছিলাে , রাজ্যের আর্থিক অনটন । টানাটানির আর্থিক হাল সামলাতে পারছে না এর মধ্যেই রাজ্য ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে নতুন বেতন দিয়েছে জানুয়ারি থেকে ।
সরকারি কর্মচারীদের হয়ে সওয়াল করতে উঠে বৃহস্পতিবার আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন রাজ্যের সর্বত্র বড় বড় হাের্ডিং ।আর্থিক অনটন হলে এত হাের্ডিং আসে কোথা থেকে এর টাকা কই ? রাজ্য কর্মচারীদের আইনি অধিকার আটকাতে মামলা দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে মাত্র আর কিছু না । তিনি আরও বলেন , ট্রাইবুনাল এবং কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের সওয়ালে নতুন করে কিছু নেই । একই কথা বারবার এদিক ওদিক ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলার চেষ্টা করছে রাজ্য । আদতে স্টেট অ্যাডমিনিিেটভ ট্রাইব্যুনালের সময় নষ্ট করার কৌশল নিয়েছে রাজ্য সরকার । হােডিং কথা সওয়ালে আসতেই মুখ তাকাতাকি শুরু হয়ে যায় এজলাসে উপস্থিত আইনজীবীদের মধ্যে । রাজ্যের প্রায় কমবেশি ১০ লক্ষ সরকারি এবং সরকার পােষিত কর্মচারী রয়েছে এবং তাদের নতুন ক্রমে বেতন দিতে জানুয়ারি মাসে ৩ বার বাজার থেকে ধার করতে হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর ।
সূত্রটির আরও দাবি , ২০১৯ সালের হিসেব বলছে – রাজ্যের এই মূহুর্তে আর্থিক দেনা ৩.৯৬ লক্ষ কোটি টাকা । ১০ বছর আগে এই দেনার পরিমাণ ছিল ২ লক্ষ কোটি টাকার নিচে । দেনার মধ্যে ডিএ নেই কিন্তু হাের্ডিং কীভাবে হচ্ছে । এমন সওয়ালে স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে রয়েছে রাজ্য । ২৭ ফেব্রুয়ারি স্যাটে ফের ডিএ মামলার শুনানি রয়েছে ওই দিন সওয়াল করবেন রাজ্যের এডভােকেট জেনারেল৷