দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়া অবশেষে রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মীদের ডিএ পাওয়ার পথ সুগম হলো। দীর্ঘ ঝুট ঝামেলা ও নানান তালবাহানার পর অবশেষে সরকারি কর্মীদের জন্য চলে এলো বিশাল বড় একটি সুখবর। আগামী ৩০ শে নভেম্বরের মধ্যেই মিটটে চলেছে সমস্ত ঝুট ঝামেলা এবং সমস্ত সরকারি কর্মীরা তাদের পাওনা DA পেয়ে যাবেন। ইতিমধ্যেই আমরা দেখতে পেয়েছি মহামান্য হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মীদের তাদের পাওনা DA মিটিয়ে দিতে হবে। জানানো হয়েছে রাজ্যে DA দিয়ে দিতে হবে কেন্দ্রীয় হারে। এরপর ৯ নভেম্বর রাজ্যের হাইকোর্টে আদালত অবমাননা মামলা উঠে এবং এরপরে ৩০ শে নভেম্বর সেই মামলার পুরোপুরি শুনানি আছে এবং এর আগেই রাজ্য সরকার বিরাট বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
এই দাবি জানানোর কারণ কি সরকারি সংগঠন গুলির?
২০১৬ সাল থেকেই রাজ্যের ডিএ নিয়ে মামলা চলছে একাধিকবার আদালতের তরফ থেকে রাজ্য সরকারের কর্মীদের ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তা মেটানো হয়নি। রাজ্য সরকার কারণ দেখিয়েছে রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি ততটা ভালো নেই তাই বকেয়ার দিয়ে মেটানো যাচ্ছে না। কিন্তু রাজ্য সরকার অবশেষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মীদের মিটিয়ে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই এক হেভিওয়ে তৃণমূল নেতা এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যে সমস্ত সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে চায় রাজ্য।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মী ও পুলিশ কর্মীদের বকেয়া ডিয়ে মিটিয়ে দেওয়া হবে এমনটাও জানিয়েছেন রাজ্যের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল।
ইতিমধ্যেই ডিয়ে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও মামলা করা হয়েছে কিন্তু রাজ্যের হাইকোর্টের তরফ থেকে 9 নভেম্বর শুনানিতে জানানো হয়েছে আদালত অবমাননা মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কোন স্টে অর্ডার না দিলে ৩০ শে নভেম্বর ফাইনাল ফয়সালা হয়ে যাবে। তাই সরকারের হাতে রয়েছে আর মাত্র কয়েকটা দিন, এরই মধ্যে বিরাট বড় সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে অনুমান করছেন সকলেই।
ইতিমধ্যেই আমরা দেখতে পেয়েছি এক সংগঠন ইউনিটি ফোরামের তরফ থেকে দেবপ্রসাদ হালদার জানিয়েছেন, সমস্ত সরকারি কর্মীরা চাইবেন যারা এই মহামান্য হাইকোর্টের অবমাননার করেছে তাদের অবিলম্বে বিশেষ করে রাজ্য সরকারের দুই শীর্ষ আমলা মাননীয় মুখ্য ও অর্থ সচিবের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। কারণ, কয়েক বছর ধরে রাজ্য সরকারি কর্মীরা বঞ্চিত হচ্ছে দিনের পর দিন। হাইকোর্টের তরফ থেকে রায় দেওয়া হলেও সেই রায়ের থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে সরকার। শুধুমাত্র সময় নষ্ট করার জন্য এবং যাতে এই মামলা পিছিয়ে দেওয়া যায় তার জন্য সুপ্রিম কোর্টেও তারা ভুল এসএলপি করেছে। তবে যাই হোক কলকাতা মহামান্য হাইকোর্ট ৯ নভেম্বর সরকারি কর্মীদের পক্ষে যে রায় দিয়েছে তাতে সরকারি কর্মীরা অবশ্যই খুশি হয়েছেন। আবারো ৩০ শে নভেম্বর পরবর্তী শুনানি রয়েছে এবং যার দিকে তাকিয়ে রয়েছে সমস্ত সরকারি কর্মীরা। এর পর এই মামলার ফায়সালা হয়ে যাবে এবং রাজ্য সরকারি কর্মীরা তাদের প্রাপ্য ডিয়ে পেয়ে যাবেন বহুদিন পর।
তবে এবার সকলেই মনে করছেন সরকারি কর্মীদের DA মিটিয়ে দেওয়ায় রাজ্যের পক্ষে উপযুক্ত হবে। এবং দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মুখে হাসি ফুটতে চলেছে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।