আপনি কি একজন বেকার? চাকরি পাওয়ার মতো যথেষ্ট যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সাম্প্রতিককালে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই চাকরির বাজার খুবই খারাপ হওয়ার কারণে কোনো ভাবেই চাকরি পাচ্ছেন না? এদিকে যে চাকরির বিকল্প হিসেবে কোনো ছোটখাটো ব্যাবসাকে নিজের কর্মসংস্থান হিসেবে বেছে নেবেন, মূলধনের অভাবে সে পথেও হাঁটতে পারছেন না? তাই ভবিষ্যত নিয়ে খুবই চিন্তিত? তাহলে আমাদের এই প্রতিবেদনটি একটু মন দিয়ে পড়ুন। কারন এখানেই রয়েছে আপনাদের মুশকিল আসান।
যে কোনো ব্যাবসা শুরু করতে হলে সবার আগে যেটা দরকার তা হল মূলধন অর্থাৎ পুঁজি। শুরুতেই একটা মোটা অংকের টাকা সেখানে বিনিয়োগ করতে হয়। কিন্তু সবার তো আর সেই সামর্থ্য থাকে না। তাই প্রয়োজনীয় পুঁজির অভাবে অনেকেই ব্যাবসা শুরু করতে পারেন না। এখন অবশ্য বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যাবসা করার জন্য বেকার যুবক যুবতীদের স্বল্প সুদে ঋন দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু সেই ঋনের জন্য আবেদন করলে প্রথমে অল্প পরিমাণে ঋন প্রদান করা হয়। তারপর সেই ব্যাবসা থেকে হওয়া লাভের পরিমাণ অনুযায়ী ধীরে ধীরে ঋনের পরিমাণ বাড়ানো হয়। কিন্তু এই অল্প পরিমাণ পুঁজি দিয়ে কি ব্যাবসা করলে দ্রুত লাভবান হওয়া যাবে সেই বিষয়ে অনেকেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।
কিন্তু আজ আমরা আপনাদের এমন এক ব্যাবসার ধারনা দিতে চলেছি যেখানে খুবই অল্প পরিমাণ পুঁজি কাজে লাগিয়ে বাড়িতে বসেই ব্যাবসা করে আপনি অতি দ্রুত অধিক মাত্রায় লাভবান হয়ে উঠতে পারবেন। এক্ষেত্রে ধরে নিন আপনি যদি ৫০০০ টাকা বিনিয়োগ করে ব্যাবসা শুরু করেন তাহলে সেই বিনিয়োগ করা টাকার তিন থেকে চার গুণ অধিক অর্থাৎ ২০-৪০ হাজার টাকা খুব সহজেই আপনি সেই ব্যাবসা থেকে লাভ করতে পারবেন। আর তাও বাড়িতে বসেই কোনো পরিশ্রম ছাড়াই। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সকল প্রকার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের তালিকায় থাকা বস্তু গুলির মধ্যে যেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা হল মোবাইল ফোন। এই মোবাইল ফোন ছাড়া সাম্প্রতিককালে মানুষের জীবন যাত্রা একেবারে অচল। এবারে হঠাৎ করে এই মোবাইল ফোনের প্রসঙ্গ টেনে আনায় আপনাদের মনে নিশ্চই প্রশ্ন জাগছে? এমনটা মনে হচ্ছে যে ব্যাবসার আলোচনার মাঝে হঠাৎ করে এই মোবাইল ফোন এল কেন? তাহলে এবারে আসল কথায় আসি। এই মোবাইল ফোনের প্রসঙ্গ এই কারনেই তোলা হল কারন এই মোবাইল ফোনই হতে পারে আপনার ব্যাবসার বিষয়বস্তু।
বর্তমান যুগে প্রতিটি মানুষই মোবাইল ফোন ব্যাবহার করেন। আর এই মোবাইল ফোন ব্যাবহারের পাশাপাশি তারা নিজেদের প্রয়োজনে মোবাইল ফোন সম্পর্কিত আরও বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র ও ব্যাবহার করে থাকেন। যেমন চার্জার, ইয়ার ফোন, হেড ফোন, ব্লু টুথ স্পীকার, মোবাইল রাখার স্ট্যান্ড, সেলফি স্টিক সহ আরও অনেক। আর এই সব জিনিস গুলোই হয়ে উঠতে পারে আপনার ব্যাবসার মাধ্যম। আপনি যদি হাজার পাঁচেক টাকা দিয়ে এই ব্যাবসা শুরু করতে পারেন তাহলে সেই ব্যাবসার মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে অন্তত পক্ষে ২০-৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন। এবং এই ব্যাবসা আপনি দুভাবে করতে পারেন।
প্রথমত, বাড়িতে বসেই আপনি এই ব্যাবসা করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমেই মোবাইল ফোন সম্পর্কিত উপরিউক্ত জিনিসপত্র গুলি ছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র পাইকারি বাজার থেকে কিনতে হবে। তারপর বিভিন্ন ধরনের ই-কমার্স কোম্পানি যেমন Flipkart, Amazon, Missho, Mintra ইত্যাদির ওয়েবসাইটে গিয়ে সেইসব জিনিসের ছবি তুলে আপলোড করতে হবে। এরপর কাস্টমাররা যখন সেইসব অনলাইন অ্যাপ গুলিতে গিয়ে এ ধরনের জিনিস গুলি Search করবেন তখন তাদেরকে আপনার আপলোড করা সেই ফটো গুলি দেখানো হবে। তারপর কারোর যদি পছন্দ হয় তাহলে সে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। আপনি তখন সেই জিনিস গুলি ক্যুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ডেলিভারি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
দ্বিতীয়ত, এছাড়াও আপনি যদি মনে করেন তাহলে কোনো জনবহুল এলাকায় এইসব জিনিসের একটা ছোটোখাটো দোকানও খুলতে পারেন। সেখানে আপনি এইসব জিনিস গুলি সাজিয়ে বসবেন। আর সেখান থেকে পথচলতি মানুষজন তাদের নিজেদের প্রয়োজন মতো ও পছন্দ সই জিনিস গুলি কিনি নেবেন। আর তার ফলে আপনি প্রতি মাসে ভালো টাকাই ইনকাম করতে পারবেন।
তাহলে আর সময় নষ্ট না করে যত শীঘ্র সম্ভব অল্প পুঁজি দিয়ে এই ব্যাবসা শুরু করে দিন। আর খুব কম সময়ের মধ্যে হয়ে উঠুন অধিক মাত্রায় লাভবান।
MORE NEWS: CLICK HERE