আবারও আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চালু করা হল আরেকটি নতুন জনকল্যাণমূলক প্রকল্প। এই পর্যন্ত মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে চালু হওয়া ১০০ টিরও বেশি প্রকল্পের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই প্রায় প্রতিটি রাজ্যবাসীই বিভিন্ন রকম ভাবে উপকৃত হয়েছেন। আর ঠিক সেই ভাবেই বিশেষ এই প্রকল্পের মাধ্যমে আগামী দিনে উপকৃত হতে চলেছেন বহু রাজ্যবাসী। তবে নতুন চালু হওয়া এই প্রকল্প আগের প্রকল্প গুলির তুলনায় একেবারেই আলাদা। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে এই প্রকল্পের নাম, প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাপ্য সুবিধা ও আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
২০১১ সালে প্রথমবারের মতো মুখ্যমন্ত্রীর পদে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, সবুজ সাথী, খাদ্যসাথীর মতো একের পর এক বহু জনকল্যাণ মূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছেন। এখনো পর্যন্ত তার উদ্যোগে চালু হওয়া মোট প্রকল্পের সংখ্যা হল ১০০ টিরও বেশি। আর এইসব প্রকল্প গুলির সান্নিধ্যে এসে পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষ বিভিন্ন রকম ভাবে উপকৃত হয়েছেন। এককথায় বলতে গেলে বলতে হয় পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটিয়ে তাদের সমাজে সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে থাকতে সাহায্য করাই ছিল আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর একমাত্র লক্ষ্য।
কিন্তু তিনি রাজ্যের মানুষের উপকার করার স্বার্থে তাদের ভালো রাখার স্বার্থে যতই নতুন নতুন প্রকল্প চালু করুন না কেন যতই অক্লান্ত পরিশ্রম করুন না কেন এগুলির বিনিময়ে তার কপালে সুনাম তো দূরে থাক উল্টে রাজ্যের অন্যান্য বিরোধী দলের পক্ষ থেকে জুটছে অপমান ও বদনাম। রাজ্যের বিরোধী দলনেতারা প্রতিদিন প্রতিমূহুর্তে বলে চলেছেন যে আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী নাকি রাজ্যের জনগণের জন্য এতসব কিছু করছেন শুধুমাত্র তার নিজের স্বার্থে। তিনি নাকি রাজ্যের মানুষের মাথায় হাত বুলিয়ে তাদের কাছ থেকে ভোট আদায় করার জন্য এই সমস্ত কিছু করছেন।
কিন্তু নিন্দুকের কাজই তো সব সময় নিন্দা করা। তা সে আপনি যত ভালো কাজই করুন না কেন যার কাজ নিন্দা করা সে সব সময় নিন্দাই করবে। কিন্তু সারা জীবন তাদের কথা ধরে বসে থেকে জীবনে ভালো কাজ করা থেকে বিরত থাকলে তো আর চলবে না। আর ঠিক সেই কারনেই আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার পর থেকে আজ পর্যন্ত আরও বেশ কিছু নতুন জনকল্যাণ মূলক প্রকল্প চালু করে চলেছেন। আর সেগুলির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রকল্পটি হল লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প।
এই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের বেকার মহিলাদের অর্থনৈতিক দিক থেকে কিছুটা হলেও স্বনির্ভর করার জন্য ৫০০/১০০০ টাকা করে প্রতি মাসে ভাতা দেওয়া হয়। তবে শুধু এখানেই শেষ নয় রাজ্যের গন্ডি পেরিয়ে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ভিন রাজ্যের মহিলাদের জন্য ও লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মাস খানেক আগেই মেঘালয়ের মাটিতে অনুষ্ঠিত এক সভায় বক্তৃতা দেওয়াকালীন আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মেঘালয় তেও যদি তৃণমূল সরকার জয় লাভ করেন তাহলে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ রাজ্যের মতো মেঘালয়ের সকল বেকার মহিলাদের জন্যেও লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করবেন। তবে পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের যেমন এই প্রকল্পের মাধ্যমে ক্যাটাগরি অনুযায়ী ৫০০-১০০০ টাকা করে দেওয়া হয় মেঘালয়ের মহিলাদের ক্ষেত্রে তা হবে না। তাদের সকলকেই প্রতি মাসে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
নতুন চালু করা প্রকল্পের নাম কি?
আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চালু হওয়া নতুন এই প্রকল্পের নাম হল ‘আমার বাংলা কার্ড’। এই প্রকল্প মূলত পশ্চিমবঙ্গের যে সব নাগরিক কর্মসূত্রে বিদেশে গিয়ে বসবাস করছেন অর্থাৎ প্রবাসী বাঙ্গালীদের বিশেষ সুবিধা প্রদানের জন্য চালু করা হয়েছে।
‘আমার বাংলা কার্ড’ প্রকল্পের মাধ্যমে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে?
এই প্রকল্পের মাধ্যমে যে যে সুবিধা গুলি পাওয়া যাবে সেগুলি হল-
১) যে সব প্রবাসী বাঙ্গালীদের এই কার্ড থাকবে তাদেরকে বাংলার মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন, কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা, কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মতো নানা অনুষ্ঠানে যোগদানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
২) এছাড়াও বিদেশে বসবাসকারী বহু বাঙালী আছেন যারা রাজ্যের উন্নতিতে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভাবে সাহায্য করতে ইচ্ছুক। এই কার্ড চালু করে তাদের ইচ্ছা পূরণের পথ প্রশস্ত করেছেন রাজ্য সরকার। এরফলে একদিকে যেমন প্রবাসী বাঙ্গালীদের বাংলার উন্নয়নের কাজে সাহায্য করার ইচ্ছা পূরণ হবে অন্যদিকে তেমনি বিদেশী বিনিয়োগের পথ প্রসারিত হবে।
‘আমার বাংলা কার্ড’ প্রকল্পে কিভাবে আবেদন করতে হবে?
এই কার্ড পাওয়ার জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। ইতিমধ্যেই এই কার্ডের জন্য অ্যাপ্লিকেশান করার জন্য একটি অনলাইন পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। বিদেশে বসবাসকারী প্রবাসী বাঙ্গালীরা এই পোর্টালে প্রবেশ করে যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের পাসপোর্ট নম্বর, পৃথক রেজিস্ট্রেশন নম্বর, কোন দেশের বাসিন্দা যাবতীয় তথ্য উল্লেখ থাকবে ।
কতদিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে?
‘আমার বাংলা কার্ড’ পাওয়ার জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার কোনো রূপ শেষ সময়সীমা ধার্য্য করা হয়নি। আবেদনকারীরা যখন যেদিন খুশি এই কার্ড পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।