উচ্চমাধ্যমিক পাস বেকারদের ২৫০০ টাকা ভাতা দিচ্ছে রাজ্য সরকার, আবেদন করলেই টাকা | Govt New Scheme

আপনি কি একজন উচ্চমাধ্যমিক পাস বেকার যুবক বা যুবতী? বহুবার বহু সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও আজ পর্যন্ত সফল হতে পারেননি? তাই ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত? তাহলে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আপনার জন্য একটি দুর্দান্ত খুশির খবর রয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সম্প্রতি টুইট করে জানানো হয়েছে যে, নতুন এক স্কিমের মাধ্যমে এবার থেকে রাজ্যের প্রতিটি বেকার যুবক বা যুবতী যারা উচ্চমাধ্যমিক পাস করে এখনও পর্যন্ত বেকার রয়েছেন তাদের প্রত্যেককে ২৫০০ টাকা করে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মাসিক ভাতা দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে যে বিশেষ এই স্কিমের আওতায় শুধু যে রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক পাস বেকার যুবক যুবতীদের মাসিক ভাতা দেওয়া হবে এমনটাই নয়, সেইসঙ্গে তাদেরকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর ট্রেনিং ও করানো হবে। যার মাধ্যমে তারা চাকরির উপযোগী হয়ে উঠবেন। রাজ্যের প্রতিটি বেকার যুবক বা যুবতী যারা উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন তারা যদি ঠিকভাবে নিয়ম মেনে এই স্কিমে আবেদন করেন তাহলে তারা কেউ এই  ভাতা ও ট্রেনিং পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন না সকলেই পাবেন। সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে যে ১ লা এপ্রিল ২০২৩ থেকে এই স্কিমের সুবিধা দেওয়া হবে। সুতরাং এই সুবর্ন সুযোগ হাতছাড়া না করে রাজ্য সরকারের বিশেষ এই স্কিমের আবেদন পদ্ধতি সহ অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিয়ে যত শীঘ্র সম্ভব আবেদন করে ফেলুন।

সংশ্লিষ্ট স্কিমের আওতায় নাম নথিভুক্ত করতে হলে কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে?

এই স্কিমের আওতায় নাম নথিভুক্ত করতে হলে আবেদনকারী বেকার যুবক বা যুবতীর যে যে যোগ্যতা গুলি থাকতে হবে সেগুলি হল-

১) আবেদনকারীকে অবশ্যই উচ্চমাধ্যমিক পাস করে থাকতে হবে।

২) ১ লা এপ্রিল ২০২৩ অনুযায়ী আবেদনকারীর সর্বনিম্ন বয়স হতে হবে ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স হতে হবে ৩৫ বছর। 

৩) আবেদনকারী যুবক বা যুবতীকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট রাজ্যের একজন স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।

৪) আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকার নীচে হতে হবে।

৫) এই স্কিমের জন্য আবেদন করার আগে আবেদনকারীকে তার নিজের গত দুবছরের এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট সাথে রাখতে হবে ‌।

রাজ্য সরকারের বিশেষ এই স্কিমে কিভাবে আবেদন করতে হবে?

এই স্কিমের জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে সবার আগে এপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের অফিসে গিয়ে নিজের আধার কার্ড, রেশন কার্ড, মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সেইসঙ্গে নিজের নামে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। কারন DBT এর জন্য এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কাজে লাগবে। আধার কার্ড, রেশন কার্ড, মোবাইল নাম্বার ছাড়াও এই স্কিমের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাসের মার্কসীট ও সার্টিফিকেট, ইনকাম সার্টিফিকেট, স্থায়ী বাসিন্দার সার্টিফিকেট ও রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ফটোও লাগবে।

       সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীরা যারা অনেকদিন ধরে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে বেকারত্বের জীবন অতিবাহিত করছেন তাদের সকলকে বিশেষ এই স্কিমের আওতায় এনে প্রতি মাসে ২৫০০ টাকা করে ভাতা দেওয়ার পাশাপাশি স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর ট্রেনিং করিয়ে কর্মমুখী করে তোলাই হল রাজ্য সরকারের মূল উদ্দেশ্য। আর সেই কারণেই তিনি এই বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন ‌‌। তবে এই স্কিমের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারী বেকার যুবক বা যুবতীর উপরিউক্ত যোগ্যতা গুলি ছাড়াও যে যোগ্যতা কি থাকা অত্যন্ত জরুরি তা হল এক্ষেত্রে আবেদনকারীর রাজ্য কর্মসংস্থান কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ থাকাটা অত্যন্ত জরুরি।