বিশেষ করে যারা দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ তাদের আর্থিক সহায়তা দানের উদ্দেশ্যে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে নতুন একটি প্রকল্পের উদ্ভাবন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকারের তরফে একটি ঘোষণা করা হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষজনদের যাদের প্রয়োজন তাদের 1 লক্ষ্য 40 হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা করা হবে। প্রতিটি মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যেমন অন্ন, বস্ত্র, জল দরকার তেমনি দরকার মাথার উপর একটি পাকা পোক্ত ছাদ। যেখানে সে সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রমের পর ফিরে শান্তিতে একটু বিশ্রাম নিতে পারবে। কিন্তু আমাদের দেশে এমন বহু মানুষ আছেন যাদের মাথার উপর নিজস্ব কোনো ছাদ নেই। আর যদিও বা থাকে তাহলে বহু দিনের পুরোনো হয়ে যাওয়ার ফলে ভেঙে চুরে গেছে, কিন্তু তাদের আর্থিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে মেরামত করতে পারছেন না। সেই সব মানুষদের কথা চিন্তা করে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি নতুন প্রকল্প চালু করেছেন যার নাম হল প্রধানমন্ত্রী গ্ৰাম আবাস যোজনা। নীচে এই প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
মূল লক্ষ্য: বিশেষ করে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষজনদের আর্থিক সহায়তা করার জন্যই কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে নতুন এই প্রকল্পের আয়োজন করা হয়েছে। বিরাট বড় অংকের আর্থিক সহায়তা করা হবে এখানে। এখানে আবেদন করলে পাওয়া যাবে 1 লক্ষ 40 হাজার টাকা।
এই প্রকল্পের সুবিধা ও প্রাপ্য টাকার পরিমাণ:- এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের দেশের সেই সকল জনগণ যাদের নিজস্ব কোনো বাসস্থান নেই অথচ টাকার অভাবে বানাতেও পারছেন তাদের সকলকে ১লক্ষ ৪০ হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এই টাকা তাদেরকে একবারে দেওয়া হবে না, দেওয়া হবে তিন কিস্তিতে। প্রথম কিস্তিতে দেওয়া হবে ৬০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় কিস্তিতে দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা এবং সর্বশেষ কিস্তিতে দেওয়া হবে ৩০ হাজার টাকা। এই প্রকল্পে আবেদন করার পর সব কিছু খতিয়ে দেখে যদি সরকারের মনে হয় যে আপনি এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য তাহলে আপনার প্রাপ্য টাকা সরাসরি আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে যাবে।
আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা:-
এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। যে কোনো গরিব বা দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী মানুষই এখানে আবেদন করতে পারবেন। তবে এখানে আবেদন করার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়াও বেশ কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন আছে সেগুলো হলো-
১) আবেদনকারীকে অবশ্যই একজন স্থায়ী ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
২) আবেদনকারীর বার্ষিক আয় খুবই কম অর্থাৎ দারিদ্র্য সীমার নিচে হতে হবে।
৩) আবেদনকারী যদি এর আগে এই রকম ধরনের কোনো প্রকল্পের সুবিধা লাভ করে থাকেন তাহলে তিনি আর পুনরায় এখানে আবেদন করতে পারবেন না।
আবেদন পদ্ধতি:- এখানে আবেদন করতে হলে আপনাকে অফলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে । এবং তার জন্য যা যা করতে হবে সেগুলি হল-
১) প্রথমে আপনি যে ব্লকের অন্তর্গত পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সেই ব্লক অফিস অথবা পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে এই প্রধানমন্ত্রী গ্ৰাম আবাস যোজনার একটি ফর্ম তুলে আনুন।
২) তারপর সেখানে আপনার নিজের নাম, বাবার অথবা স্বামীর নাম, বয়স, ঠিকানা, আধার নম্বর, ফোন নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ইত্যাদি লিখে ফর্ম টিকে ফিলাপ করে ফেলুন।
৩) এরপর সেখানে আপনার নিজের একটি পাসপোর্ট সাইজের ফটো ফর্মের নির্দিষ্ট স্থানে চিটিয়ে দিন এবং সিগনেচারের জায়গায় একটি সিগনেচার করে দিন।
৪) এরপর এই ফর্মের সঙ্গে আপনার নিজের যাবতীয় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলি যুক্ত করে পঞ্চায়েত অথবা ব্লক অফিসে গিয়ে জমা করে আসুন।
৫) তবে শহরাঞ্চলের মানুষের জন্য আবেদন পদ্ধতি একটু আলাদা। তাদের এই প্রকল্পে আবেদন করতে হলে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের এই প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট pmaymis.gov.in এ গিয়ে আবেদন করতে হবে।
আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:- আবেদন পত্রের সঙ্গে যে সব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলি জমা দিতে হবে সেগুলি হল-
১) আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ডের জেরক্স।
২) রেশন কার্ডের জেরক্স।
৩) আবেদনকারীর নিজের দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ফটো।
৪) আবেদনকারীর পরিবারের জব কার্ড।
৫) আবেদনকারীর নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের প্রথম পাতার জেরক্স।
নির্বাচন পদ্ধতি:- এখানে আবেদনকারী প্রার্থীদের আবেদন পত্র জমা পড়ার পর সেগুলি ভালো ভাবে পর্যালোচনা করে দেখে যারা যোগ্য বলে বিবেচিত হবে তাদের প্রত্যেকের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কিছু Enquiry করার আছে সেগুলো করার পর শেষ পর্যন্ত যারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন তাদের প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তাদের প্রাপ্য টাকা ট্রান্সফার করে দেওয়া হবে।
সরাসরি অনলাইনে আবেদন করার জন্য চাকরিপ্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে নিচের দেওয়া ওয়েবসাইটে গিয়ে। ওয়েবসাইটটি হল- https://pmaymis.gov.in/
আবেদনের সময় সীমা:- এখানে আবেদন প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে এবং এই আবেদনের কোনো রুপ শেষ সময় সীমা নেই। অর্থাৎ আপনারা আপনাদের সুবিধা অনুযায়ী যেদিন খুশি আবেদন করতে পারেন।