নতুন এক প্রকল্প চালু করে সারা দেশের প্রতিটি দরিদ্র পরিবারকে প্রতি মাসে বেশ কিছু টাকা করে পেনশন দেওয়া শুরু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।যার ফলে আমাদের দেশের বেশ কিছু সংখ্যক দরিদ্র পরিবার ভীষণ ভাবে উপকৃত হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। সৃষ্টির আদিকাল থেকেই ভারতবর্ষ হল একটি কৃষি নির্ভর দেশ। আর এই কথা আমাদের কারোরই অজানা নয়। বছরের পর বছর যুগের পর যুগ ধরে এই কৃষি শিল্পই ভারতীয় অর্থনীতির বুনিয়াদ কে ক্রমশ শক্তিশালী করে তুলছে। ভারতে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি করে ভারত প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণ অর্থ লাভ করে যা ভারতীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তোলার মূল হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে।
কিন্তু এই যে ভারতে উৎপাদিত কৃষিজ সম্পদ বিদেশে রপ্তানি করে ভারত প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে সেই সব কৃষিজ সম্পদ গুলি তো আর নিজে নিজে উৎপাদিত হতে পারে না। কাউকে না কাউকে কষ্ট করে এগুলি উৎপাদন করতে হবে। আর তাই বছরের পর বছর যুগের পর যুগ ধরে রোদে পুড়ে জলে ভিজে ভারতের কৃষক সমাজই
এই সব কৃষিজ সম্পদ উৎপাদন করে চলেছেন আর সেগুলি দেশে বিদেশে বিক্রি করে ভারতীয় অর্থনীতি দিনে দিনে ক্রমশ আরও বেশি চাঙ্গা হয়ে উঠছে। আর তাই কৃষিজ সম্পদকে ভারতীয় অর্থনীতির মূল স্তম্ভ করে তোলার পিছনে সম্পূর্ণ অবদান যে ভারতীয় কৃষক সম্প্রদায়ের তা বলাই বাহুল্য।
কিন্তু দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করে যে মানুষ গুলো ভারতের কৃষি শিল্পকে ভারতীয় অর্থনীতির শ্রেষ্ঠ বুনিয়াদ বানাল সেই কৃষক সমাজের দুঃখ দুর্দশা নিয়ে আমরা কেউ কি কোনো দিনও বিন্দু মাত্র চিন্তা করেছি? করিনি। সেই সৃষ্টির আদিকাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত ভারতীয় কৃষক সমাজের প্রতিটি মানুষ একই রকম ভাবে প্রতিনিয়ত আর্থিক দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। আজ পর্যন্ত তাদের আর্থিক অবস্থার একটুকুও উন্নতি হয়নি। অর্থাৎ তারা যে তিমিরে পড়ে ছিলেন এখনকার দিনে দাঁড়িয়ে ও সেই তিমিরেই পড়ে আছেন। কিন্তু এভাবে তো আর বেশিদিন চলতে দেওয়া যায় না। তাই ভারতীয় কৃষক সমাজকে আর্থিক দিক দিয়ে কিছুটা হলেও স্বচ্ছল করে তোলার জন্য আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই কৃষক সন্মান নিধি বলে একটি প্রকল্প চালু করেছেন। যার মাধ্যমে আমাদের দেশের প্রতিটি কৃষককে বার্ষিক ৬ হাজার টাকা করে ভাতা প্রদান করা হয়। এছাড়াও যাতে তাদের চাষ বাসের কাজে কোনো টাকা পয়সার অভাব না হয় সেই জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে দেশের প্রতিটি দরিদ্র কৃষককে অত্যন্ত স্বল্প সুদে কৃষি ভিত্তিক ঋন দানেরও ব্যাবস্থা করা হয়েছে।
তবে শুধুমাত্র এতটুকু করেই আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী খান্ত হননি। তিনি আরও এক ধাপ এগিয়ে ভারতীয় কৃষক সমাজের জন্য এক সুনিশ্চিত ভবিষ্যত গড়ে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিটি দরিদ্র কৃষককে তাদের ৬০ বছর বয়স হওয়ার পর প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা করে পেনশন বা ভাতা দেওয়া শুরু করেছেন। এই ভাতা তিনি এই কারনেই দেওয়া শুরু করেছেন যাতে ৬০ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পর যখন দরিদ্র কৃষকেরা আর পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন না তখন যাতে এই পেনশনের টাকায় তারা তাদের বৃদ্ধ বয়সের জীবন অতিবাহিত করতে পারেন। এই নতুন প্রকল্পের তিনি নামকরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মানধন যোজনা প্রকল্প। নীচে এই প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হল।
মানধন যোজনা প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু যোগ্যতা:-
এই প্রধানমন্ত্রী মানধন যোজনা প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর যে সব যোগ্যতা গুলি অতি অবশ্যই থাকা দরকার সেগুলি হল-
১) আবেদনকারীকে অবশ্যই ভারতের একজন স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
২) আবেদনকারীকে অবশ্যই কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে অর্থাৎ একজন কৃষক হতে হবে।
৩) আবেদনকারী কৃষকের বয়স অবশ্যই ১৮ বছরের উর্ধ্বে হতে হবে।
৪) আবেদনকারীর নিজের নামে অবশ্যই একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। অন্য কারোর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এই প্রকল্পে আবেদন করার ক্ষেত্রে গ্ৰাহ্য হবে না।
৫) আবেদনকারীর নিজস্ব আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও রেশন কার্ড থাকাটা আবশ্যিক।
এই প্রকল্পের কিছু শর্তাবলী ও আবেদন পদ্ধতি:-
১) এই মানধন যোজনা প্রকল্পের সুবিধা লাভ করার জন্য প্রতিটি কৃষককে তাদের ১৮ বছর বয়স হওয়া মাত্রই নিকটবর্তী কোনো ব্যাঙ্কে গিয়ে এই প্রকল্পের বিষয়ে ভালো করে সবকিছু জেনে নিজের যাবতীয় তথ্য দিয়ে প্রথমে এই মানধন যোজনা প্রকল্পের একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
২) তারপর প্রতি মাসে ৫৫-২০০ টাকা পর্যন্ত যার যেমন ক্ষমতা সেরকম পরিমাণ টাকা জমা দিতে হবে।
৩) এরপর যখনই তাদের ৬০ বছর বয়স হবে তখন থেকে তাদের আর কোনো টাকা জমা দিতে হবে না উল্টে তারা তখন প্রতি মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ৩০০০ টাকা করে পেনশন পাবেন।
৪) এরপর যখন তারা মারা যাবেন তখন তাদের স্ত্রী দেরকে তারা যে পরিমাণ পেনশন পেতেন তার অর্ধেক পরিমাণ অর্থ প্রতি মাসে পেনশন দেওয়া হবে।
৫) এরপর যখন তাদের স্ত্রীরা ও মারা যাবেন তখন তাদের সন্তানদের তাদের জমা করা সম্পূর্ণ পরিমাণ অর্থ ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে।
আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:-
এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হলে আবেদন পত্রের সঙ্গে যে সব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলি জমা দিতে হবে সেগুলি হল-
১) আধার কার্ডের জেরক্স।
২) ভোটার কার্ডের জেরক্স।
৩) রেশন কার্ডের জেরক্স।
৪) পঞ্চায়েত প্রধানের দেওয়া স্থায়ী বাসিন্দার সার্টিফিকেট।
৫) পঞ্চায়েত প্রধানের দেওয়া ইনকাম সার্টিফিকেট।
৬) এক বা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ফটো।
৭) জমির দলিলের জেরক্স।
আবেদন করার সময় সীমা:-
প্রধানমন্ত্রী মানধন যোজনা প্রকল্পের সুবিধা লাভ করার জন্য আবেদন করার কোনো শেষ সময় সীমা ধার্য্য করা হয়নি। আপনারা আপনাদের সুবিধা অনুযায়ী যেদিন খুশি আপনাদের নিকটবর্তী কোনো ব্যাঙ্কে গিয়ে নিজের যাবতীয় প্রয়োজনীয় নথীপত্র জমা দিয়ে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এই রকমই আরও সব নতুন নতুন প্রকল্প ও চাকরির খবর পাওয়ার জন্য আমাদের চ্যানেলের সঙ্গে থাকুন।
SVM Scholarship 2024 : দিনের পর দিন রাজ্যে কমছে শিক্ষিত পড়ুয়াদের হার। আমাদের পশ্চিমবঙ্গে এমন…
রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীদের জন্য নতুন করে একটি চাকরির সুখবর। যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে চাকরির সন্ধান…
আজ আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চলেছি ভারতের কিছু অজানা তথ্য বা ভারতের কিছু সাধারণ…
চাকরি প্রার্থীদের জন্য আরও একটি নতুন চাকরির খবর নিয়ে আমরা হাজির হয়েছি। এবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি…
চাকরিপ্রার্থীদের জন্য দারুণ সুখবর, রাজ্যে পুনরায় ৫,০০০ হাজারের বেশি শূন্য পদে স্বাস্থ কর্মী ( WB…
চাকরি প্রার্থীদের জন্য আরও একটি নতুন চাকরির খবর নিয়ে আমরা হাজির হয়েছি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে…