চিন্তার মুখে পড়ে রয়েছে 42 হাজার প্রাথমিক টেট পাস চাকরিপ্রার্থীরা যারা কর্মরত রয়েছেন বিভিন্ন স্কুলে। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পুরো প্যানেলের উপরেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই আমরা দেখতে পেয়েছি 269 জন এর চাকরি বাতিল করা হয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে এবং আরো প্রচুর পরিমাণে গাফিলতি রয়েছে এই নিয়োগে এমনটাই জানানো হয়েছে কোর্টে তরফ থেকে। পুরো বিষয়টি তদন্ত শুরু করে দিয়েছে সিবিআই দপ্তর। ইতিমধ্যেই এই নিয়োগে এত পরিমান গাফিলতি ও ঘাপলা হয়েছে যার দরুন প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক বোর্ড থেকে অপসারিত করার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। এই পরিস্থিতিতে প্রায় 2014 সালে যারা প্রাইমারি টেট পাস করে চাকরি পেয়ে ছিলেন তারা সকলেই চিন্তার মুখে পড়ে রয়েছেন।
ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যারা প্রাইমারিতে চাকরি রত রয়েছেন 2014 সালের ব্যাচ তাদের সকলকে 10 দফা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। বিশেষ করে বেশি চিন্তায় পড়েছেন যারা 2014 সালের প্রাথমিক টেট পাস করেছিলেন কিন্তু নতুন করে নিয়োগপত্র হাতে পেলেন দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কিছুদিন আগেই।
এই পরিস্থিতিতে যারা 2014 সালে কর্মরত প্রাথমিক শিক্ষক তাদের সকলের মনেই চিন্তার ভাঁজ পড়ে গিয়েছে। কোর্টে তরফ থেকে কাকে বরখাস্ত করা হবে এবং কোন কোন পদ্ধতি অনুসরণ করে বরখাস্ত করা হবে এ ব্যাপারে চিন্তিত সকলেই। এ মুহূর্তে বেশ কিছু ডকুমেন্টস সাবমিট করতে বলা হয়েছে। যদি কোনো প্রার্থী ডকুমেন্ট সাবমিট করতে না পারেন তাহলে তার চিন্তার পরিমাণ বেশি।
2014 সালে যারা প্রাথমিক টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন এবং যারা পাশ করেছিলেন তাদের নির্দিষ্ট করে কোন মেরিট লিস্ট তৈরি করা হয়নি অনলাইনে শুধুমাত্র পাস ও ফেল দেখাচ্ছিল। এই সুবিধাটা কে কাজে লাগিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড এর তরফ থেকে প্রচুর পরিমাণে ঘাপলা করা হয়েছে এবং যারা পাস করেনি, টেট পরীক্ষা দেননি এমন চাকরিপ্রার্থীদের ও পরবর্তীকালে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে বেশ কিছু ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে যারা যারা এ সমস্ত ডকুমেন্ট সাবমিট করতে পারবেন তাদের আশা করা যাচ্ছে কোন ভয়ের কারণ নেই। কিন্তু যদি কোনো প্রার্থী কোন ডকুমেন্ট সাবমিট করতে না পারেন তাদের পরবর্তীকালে চাকরী নিয়ে টানাটানি হতে পারে। তবে যারা সম্পূর্ণ নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছেন তাদের কোর্ট কোন মতেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে পারবে না।
তবে বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যারা চাকরি পেয়ে ছিলেন তাদের মধ্যে যদি কারো 18 বছর না হয়ে থাকে, যদি কেউ টেট পাস না করে থাকেন, যদি কেউ ইন্টারভিউ তে অংশগ্রহণ না করে থাকেন, যদি কারো উচ্চমাধ্যমিকের যে নাম্বারের কথা বলা হয়েছিল তার থেকে কম নাম্বার থাকে, যদি কেউ কাউন্সিলিংয়ের সময় উপস্থিত না থাকেন, এছাড়াও অন্যান্য ঘাপলা করে নিয়োগপত্র পেয়েছেন তাদের চাকরি কোনমতেই থাকবে না। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার বাইরে যাদের নিয়োগ হয়েছে তাদের সকলেরই চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এখন যে সমস্ত ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে সেগুলি হল:
টেট এডমিট কার্ড,
ইমেইল এর প্রিন্ট আউট,
রেজাল্ট এর প্রিন্ট আউট থাকলে ভালো হয়,
SMS থাকলে ভালো হয়,
টেট সার্টিফিকেট যদি পান সেটি থাকলে ভালো হয়,
এপয়েন্টমেন্ট লেটার,
জয়েনিং লেটার,
ট্রান্সফার হলে তার প্রমান পত্র,
D.EL.ED করলে তার সার্টিফিকেট।
এ সমস্ত ডকুমেন্ট ভেরিফাই করা হবে এবং নতুন করে আবার OMR সিট চেক করে দেখা হবে চাকরিপ্রার্থীরা পাস করা আছেন নাকি ফেল গিয়েছিলেন পরবর্তীকালে চাকরি পেয়েছেন।