নতুন এই প্রকল্পে দেশের প্রতিটি মেয়েদের ১০০০ টাকা করে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার, আবেদন করলেই টাকা | balika samridhi yojana 2023

আমাদের দেশের প্রতিটি দরিদ্র পরিবারের কন্যা সন্তানদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে একাধিক প্রকল্প চালু করা হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা ইত্যাদি। এইসব প্রকল্প গুলি চালু করার পিছনে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্য হল আমাদের দেশের প্রতিটি দরিদ্র শ্রেণীর কন্যা সন্তানেরা যাতে লেখাপড়া শিখে নিজেদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। আজ আমরা এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে এমনই এক প্রকল্পের সন্বন্ধে আপনাদের জানাবো। এই প্রকল্পটি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এই কারনেই চালু করা হয়েছে যাতে আমাদের দেশে এখনও পর্যন্ত কন্যা সন্তান জন্মানো নিয়ে কিছু কিছু পরিবারের ও পারিপার্শ্বিক সমাজের যে সেকেলে ধ্যান ধারণা রয়েছে তার পরিবর্তন ঘটানো। এবং প্রতিটি কন্যা সন্তানের জীবন শিক্ষার আলোয় আলোকিত করে তোলা। 

       এতক্ষণ ধরে আমরা যে প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলে চলেছি তার নাম হল “বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা”। ১৯৯৭ সালে ভারত সরকারের নারী ও শিশু উন্নয়ন দপ্তরের পক্ষ থেকে এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারের কন্যা সন্তানদের লেখাপড়ার বিষয়ে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়। বিগত ২৬ বছর ধরে আমাদের দেশের বহু দরিদ্র পরিবারের কন্যা সন্তানেরা এই প্রকল্পের সুবিধা লাভ করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রথম শ্রেনীতে ভর্তি হওয়ার সময় থেকে শুরু করে একজন কন্যা যতদিন না পর্যন্ত সাবালিকা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত তাকে স্কলারলিপ দেওয়া হয়। এছাড়াও দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী একজন মা কে কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় এই প্রকল্পের আওতায় ৫০০ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে। 

       “বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা” এর মাধ্যমে শ্রেনী বিশেষে আলাদা আলাদা পরিমাণ স্কলারশিপ দেওয়া হয়ে থাকে। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক যে কোন শ্রেনীর কন্যা সন্তানদের এই প্রকল্পের আওতায় কত টাকা করে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। 

শ্রেনী বিশেষে দেওয়া স্কলারশিপের পরিমাণ:-

    “বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা” এর মাধ্যমে যে শ্রেনীর কন্যাদের যত টাকা করে দেওয়া হয় তা হল-

• প্রথম শ্রেনী থেকে শুরু করে তৃতীয় শ্রেনী পর্যন্ত পাঠরত কন্যাদের বার্ষিক ৩০০ টাকা করে স্কলারশিপ দেওয়া হয়।

• চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কন্যাদের বার্ষিক ৫০০ টাকা করে স্কলারশিপ দেওয়া হয়।

• পঞ্চম শ্রেনীতে পাঠরত কন্যাদের বার্ষিক ৬০০ টাকা করে স্কলারশিপ দেওয়া হয়।

• ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণীতে পাঠরত কন্যাদের বার্ষিক ৭০০ টাকা করে স্কলারশিপ দেওয়া হয়।

• অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরত কন্যাদের বার্ষিক ৮০০ টাকা করে স্কলারশিপ দেওয়া হয়।

• নবম ও দশম শ্রেনীতে পাঠরত কন্যাদের বার্ষিক ১০০০ টাকা করে স্কলারশিপ দেওয়া হয়।

“বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা” প্রকল্পের আবেদন পদ্ধতি:-

এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য অফলাইনের মাধ্যমেই আবেদন করতে হবে। সেক্ষেত্রে আবেদন পদ্ধতি নিম্নরূপ-

• এক্ষেত্রে আবেদনকারী যে এলাকায় বসবাস করেন সেখানকার যে কোনো অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী বা যে কোনো স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে এই প্রকল্পের আবেদন পত্র সংগ্রহ করতে হবে।

• তারপর সেটিকে যথাযথ স্থানে সঠিক তথ্য দিয়ে নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে।

• তারপর তার সাথে সকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর জেরক্স যুক্ত করে যে স্থান থেকে আবেদন পত্র সংগ্ৰহ করবেন সেই স্থানে গিয়েই জমা দিতে হবে। তাহলেই আবেদন হয়ে যাবে।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:-

“বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা” প্রকল্পে আবেদন করার সময় আবেদন পত্রের সঙ্গে নিম্নলিখিত ডকুমেন্টস গুলির এক কপি করে জেরক্স জমা দিতে হবে। যেমন-

• আধার কার্ড ও রেশন কার্ড।

• জন্মের প্রমান পত্র অর্থাৎ বার্থ সার্টিফিকেট।

• বাবা মায়ের পরিচয় পত্রের প্রমান পত্র হিসেবে আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড।

• পঞ্চায়েত প্রধানের দেওয়া স্থায়ী বাসিন্দার সার্টিফিকেট।

• বার্ষিক আয়ের প্রমান পত্র হিসেবে ইনকাম সার্টিফিকেট।

• ব্যাঙ্কের পাস বুকের প্রথম পাতা।

• রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ফটো।

আবেদনের সময়সীমা:-

এই প্রকল্পের আওতায় আবেদন জানানোর কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। আবেদনকারী কন্যা প্রথম শ্রেনীতে ভর্তি হওয়ার সময় থেকে শুরু করে যতদিন না পর্যন্ত সাবালিকা হচ্ছে ততদিনের মধ্যে যখন খুশি আবেদন জানাতে পারবে।

MORE NEWS: CLICK HERE

নিত্য নতুন আরো বিস্তারিত খবরা খবর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল যুক্ত হন।
TELRGRAM CHANNEL:  CLICK HERE

Leave a Comment