যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থী দীর্ঘদিন ধরে চাকরির খোঁজ করছেন বিশেষ করে যারা স্কুলের শিক্ষকতা করতে চান এবং যারা d.el.ed অথবা b.ed করে শিক্ষকতা করতে আগ্রহী কাদের জন্য এবার চলে এলো নতুন করে বিশাল বড় একটি চাকরির সুখবর। রাজ্যের নতুন করে বিশাল বড় একটি চাকরির ঘোষণা করা হলো যার ফলে যারা স্কুলের শিক্ষকতা করতে আগ্রহী তাদের মুখে হাসি ফুটেছে এবং সকলেই এবার থেকে নতুন করে স্কুলের শিক্ষকতার অর্থাৎ টেট পরীক্ষার চাকরির প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে এবং খুব শীঘ্রই রাজ্যের নতুন করে আবারও শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হবে এমনটাই জানা গিয়েছে। যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থী প্রাইমারি স্কুল এবং হাই স্কুলের শিক্ষকতা করতে চান মূলত তাদের জন্যই নতুন করে বিশেষ এই সুখবরটি। বিশেষ করে যারা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকতা করতে চান অথবা আপার প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকতা করতে চান অথবা হাই স্কুলের শিক্ষকতা করতে চান তারা অবশ্যই বিস্তারিতভাবে এই আপডেটটি জেনে নেবেন। নিচে চাকরি সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করা হলো অবশ্যই বিস্তারিতভাবে জেনে নেবেন।
হাই স্কুলে ২১ হাজার পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি:
ইতিমধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী তরফে জানানো হয়েছে রাজ্যের নতুন করে আবার এসএসসি পরীক্ষা হবে এবং পূজোর আগেই নতুন করে আবারও নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে যেখানে বলা হয়েছে 21 হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। এখানে নবম দশম ও একাদশ দ্বাদশ শিক্ষক নিয়োগ করা হবে এবং এখানে চাকরি করতে গেলে চাকরিপ্রার্থীদের অবশ্যই বিএড ডিগ্রী থাকতে হবে।
বছর বছর টেট পরীক্ষা পশ্চিমবঙ্গে:
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে পূর্বত্ন প্রাইমারি শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণ করা হয়েছে এবং প্রাইমারির নতুন সভাপতি হয়েছেন গৌতম পাল। ইনি সভাপতি পদে আসন গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের শিক্ষার্থীদের জন্য দারুন বড় একটি সুখবর ঘোষণা করে দিয়েছেন এবং যেখানে বলা হয়েছে রাজ্যে প্রতি বছরই প্রাইমারি টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে এবং প্রতি বছর বছর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করে দেওয়া হবে। আরো ঘোষণা করা হয়েছে এখন থেকে প্রতিবছরই নিয়োগ করা হবে এবং নিয়োগ হবে সম্পূর্ণ হবে পুরোপুরি স্বচ্ছ ও মেধার ভিত্তিতে।
নতুন প্রাইমারি পর্ষদ সভাপতি সভাপতি পদে আসন গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমে ঘোষণা করেছেন- “আজ থেকে সব কিছু স্বচ্ছতার সঙ্গে হবে। আগামী বছর থেকে প্রতি বছর টেট হবে। রেজাল্ট বেরোবে। চাকরিও হবে।’’ এ কথা ঘোষণা করার পরে সমগ্র চাকরিপ্রার্থীদের মনে আশার সঞ্চার হয়েছে এবং প্রতিবছর টেট পরীক্ষা হলে বহু পরীক্ষার্থীর মুখে হাসি ফুটবে এবং রাজ্যের চাকরি প্রার্থীরা স্কুলের শিক্ষকতা করতে আরো আগ্রহী হবে। এর সঙ্গে তিনি সম্ভব মাধ্যমে আরো জানিয়েছেন- ‘‘চেষ্টা করব যেন কোনও অভিযোগ না থাকে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতার জন্য ‘গ্রিভান্স সেল’ খোলা হবে।’’
নতুন সভাপতি গৌতম পাল নতুন উদ্যমে প্রাইমারি বোড কে সাজিয়ে পুরোপুরি স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রতিবছর টেট পরীক্ষা নিয়ে প্রতিবছরই চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন এমনটাই জানানো হয়েছে এবং এবার থেকে প্রতি বছর বছর টেট পরীক্ষা হবে NCTE নিয়ম অনুযায়ী যেখানে d.el.ed ও b.ed উভয় চাকরি প্রার্থীরাই আবেদন করার ও চাকরির পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন। অনুমান করা হচ্ছে প্রাইমারি আপার প্রাইমারি সহ হাই স্কুলের বিপুল পরিমাণে শিক্ষক নিয়োগের শূন্য পদ পূরণ করে রাজ্যের স্কুলের শিক্ষকতা শূন্যতা দূর করে পড়াশুনাকে আরো অগ্রগতি ঘটবে যার ফলে সমাজের উন্নতি ঘটবে।