অপরিচ্ছন্নতার কারনে দিনে দিনে ক্রমশ পৃথিবীতে দূষনের মাত্রা বেড়েই চলেছিল। ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই তার প্রভাব পড়ছিল পৃথিবীতে বসবাসকারী জীব কূলের উপর। কিন্তু এই ভাবেই যদি দূষনের মাত্রা ক্রমাগত বাড়তে থাকে তাহলে এক সময় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে যে তখন এই দূষনের হাত থেকে জীব কূলকে রক্ষা করা দুষ্কর হয়ে পড়বে। আর সেই কারণেই এই বিষয়ে চিন্তা করেই আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বেশ কিছু বছর আগেই পরিবেশ দূষণ কিছুটা হলেও রোধ করার লক্ষ্যে দেশ জুড়ে তার স্বপ্নের প্রকল্প স্বচ্ছ ভারত অভিযান মিশন শুরু করেছিলেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি যেমন একদিকে সারা দেশকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রেখে দূষণ দূর করার দিকে গুরুত্ব আরোপ করেছেন অন্যদিকে তেমনি এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের দেশের প্রতিটি প্রান্তের বিশেষত গ্ৰামাঞ্চলের দারিদ্র্য সীমার নীচে বসবাসকারী মানুষদের জন্য একটি অত্যন্ত উপকারী প্রকল্পও চালু করেছেন। এবং এই প্রকল্পের আওতায় এসে ইতিমধ্যেই আমাদের দেশের বহু দারিদ্র্য সীমার নীচে বসবাসকারী পরিবার বিশেষ ভাবে উপকৃত হয়েছে।
আমাদের দেশে এখনো পর্যন্ত এমন অনেক দারিদ্র্য সীমার নীচে বসবাসকারী মানুষ রয়েছেন যারা কোনো প্রকারে একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই নির্মাণ করালেও শৌচাগার নির্মানের দিকে তারা সেভাবে গুরুত্ব দেন না। মাঠে ঘাটে তারা শৌচ কর্ম করে থাকেন। আর তার ফলে প্রচন্ড পরিমাণে পরিবেশ দূষিত হয় যার প্রভাব পড়ে সমগ্ৰ জীব কূলের উপর। আর তাই এই ধরনের অপরিচ্ছন্ন ক্রিয়াকলাপ বন্ধ করার জন্যই আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বেশ কিছু বছর আগেই “স্বচ্ছ ভারত মিশন গ্ৰামীন টয়লেট যোজনা” নামে একটি জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছেন যার মাধ্যমে আমাদের দেশের সেই সকল দারিদ্র্য সীমার নীচে বসবাসকারী পরিবার যাদের বাড়িতে শৌচাগার নেই বা শৌচাগার নির্মাণ করানোর মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই তাদেরকে শৌচাগার নির্মাণ করানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ১২,০০০ টাকা করে দেওয়া হয়। যাতে এই অর্থ দিয়ে তারা নিজ নিজ বাড়িতে শৌচাগার নির্মাণ করিয়ে সেখানেই শৌচকর্ম করতে পারেন এবং পরিবেশও দূষনের হাত থেকে রক্ষা পায়।
এই প্রকল্পের সঙ্গে হয়তো আমাদের দেশের অনেক মানুষই পরিচিত তবে যারা এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের বিষয়ে অবগত নন বা জানলেও সেভাবে বিশদে কিছু জানেন না তাদের জন্য আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি খুবই উপকারী হতে চলেছে বলে আমাদের বিশ্বাস। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এই “স্বচ্ছ ভারত মিশন গ্ৰামীন টয়লেট যোজনা” এর বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
“স্বচ্ছ ভারত মিশন গ্ৰামীন টয়লেট যোজনা” এর সুবিধা লাভ করতে হলে কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে?
এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর যে যে যোগ্যতা গুলি থাকতে হবে সেগুলি হল-
১) আবেদনকারীকে অবশ্যই ভারতের একজন স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
২) আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় খুবই কম হতে হবে।
৩) এক্ষেত্রে আবেদনকারীর আধার কার্ড থাকাটা বাধ্যতামূলক।
৪) আবেদনকারীর শৌচাগার নির্মাণ করানোর মতো নিজস্ব একটু জায়গা থাকতে হবে।
৫) যদি কোনো নাগরিক যদি দারিদ্র্য সীমার নীচে বসবাস করা সত্ত্বেও তার বাড়িতে আগে থেকেই শৌচালয় থাকে বা আগে কখনো একবার এই প্রকল্পের মাধ্যমে পাওয়া অর্থ দিয়ে শৌচাগার নির্মাণ করিয়ে থাকেন তাহলে তিনি আর আবেদন করতে পারবেন না।
সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য কিভাবে আবেদন করতে হবে?
আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে চালু হওয়া “স্বচ্ছ ভারত মিশন গ্ৰামীন টয়লেট যোজনা” এর মাধ্যমে শৌচাগার নির্মাণ করানোর জন্য ১২,০০০ টাকা করে পেতে আবেদন করতে হলে আপনি বাড়িতে বসেই স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে অথবা যদি কারোর বাড়িতে স্মার্ট ফোন না থাকে তাহলে তিনি চেনা পরিচিত কারোর বা কোনো কোনো কম্পিউটার সেন্টারে গিয়ে সেখান থেকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। বাড়িতে বসে স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে কেউ যদি আবেদন করে তাহলে তাকে যেভাবে আবেদন করতে হবে তা হল-
১) প্রথমে google search box এ এই প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://swachhbharaturban.gov.in/ihhl/InvestorRegistration.aspx লিখে search করতে হবে।
২) এরপর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সেখানে প্রথমে রেজিস্ট্রেশনের জন্য দেওয়া নির্দিষ্ট লিঙ্কে ক্লিক করে প্রয়োজন অনুযায়ী যাবতীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।
৩) তারপর সরকারের তরফ থেকে একটি User Id ও Password দেওয়া হবে এবং সেই পাসওয়ার্ড টি হবে আপনি রেজিস্ট্রেশন করার সময় যে মোবাইল নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেছেন সেই নম্বরের শেষ চারটি ডিজিট।
৪) এরপর সেই User Id ও Password দিয়ে Login করলে একটি অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের ফর্ম আসবে সেখানে নির্দিষ্ট স্থান অনুযায়ী প্রয়োজন মতো তথ্য দিয়ে ফিলাপ করে next button এ ক্লিক করতে হবে।
৫) সবশেষে যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য স্ক্যান করে আপলোড করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করলেই আপনার অ্যাপ্লিকেশন হয়ে যাবে।
আবেদন করার সময় কি কি ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে?
এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার সময় যে সব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে সেগুলি হল-
১) আধার কার্ড।
২) ভোটার কার্ড।
৩) পঞ্চায়েত প্রদত্ত ইনকাম সার্টিফিকেট।
৪) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের প্রথম পাতা স্ক্যান করা।
৫) এক কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ফটো।
কিভাবে যোগ্য প্রার্থী বাছাই করা হবে?
এক্ষেত্রে আবেদন পত্র জমা পড়ার পর আবেদনকারীদের জমা করা আবেদন পত্র সহ যাবতীয় ডকুমেন্টস খতিয়ে দেখে একটি Enquiry করা হবে এই সবকিছুর পর যারা এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১২,০০০ টাকা পাওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি এই অর্থ ট্রান্সফার করে দেওয়া হবে।
কত তারিখের মধ্যে আবেদন করতে হবে?
“স্বচ্ছ ভারত মিশন গ্ৰামীন টয়লেট যোজনা” এর মাধ্যমে শৌচাগার নির্মাণ করানোর জন্য ১২,০০০ টাকা করে পেতে হলে আপনি যেদিন খুশি আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আবেদন করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি।
পশ্চিমবঙ্গের প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জন্য রয়েছে বিশাল বড় সুখবর। যারা ২০২২ এ প্রাইমারি টেট…
পশ্চিমবঙ্গ সরকার পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ জনসাধারণের জন্য একের পর এক নতুন নতুন বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প নিয়ে…
খাদ্য দপ্তরের তরফে বিরাট বড় কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জানা গিয়েছে সব…
প্রাইমারি টেট পরীক্ষার্থীর জন্য বিশাল বড় একটি সুখবর। অবশেষে যারা যারা প্রাইমারি টেট পাস করে…
দীপাবলীর আগেই সরকারি কর্মীদের DA ও পেনশন দুটোই দ্বিগুণ বাড়তে চলেছে। সরকারি কর্মী ও পেনশন…
এতদিন পর্যন্ত আমাদের রাজ্যের সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যার…