সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা দেশ হল আমাদের এই ভারতবর্ষ। সৃষ্টির আদিকাল থেকে শুরু করে সাম্প্রতিককাল পর্যন্ত কৃষিই হল ভারতের অর্থনীতির মূল স্তম্ভ। আর সেই লোভেই তো ব্রিটিশ সরকার টানা ২০০ বছর ধরে আমাদের দেশে রাজত্ব চালিয়েছিল। তবে এই যে ভারতবর্ষ কৃষিকার্যে বিশ্বে শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করতে পেরেছে ও কৃষিকাজই ভারতের অর্থনীতির মূল হাতিয়ার হয়ে উঠতে পেরেছে তার কারন একদিকে যেমন আমাদের দেশের অনুকূল পরিবেশ তেমনই অন্যদিকে এর পিছনে সবচাইতে বেশি অবদান রয়েছে আমাদের দেশের কৃষক বন্ধুদের। রোদ, বৃষ্টি, ঝড় মাথায় নিয়ে প্রতিনিয়ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে তারা যে ফসল ফলান সেই ফসল বিদেশে রপ্তানি করে আমাদের দেশ প্রতিবছর বিপুল অর্থ লাভ করে।
কিন্তু এই যে আমাদের দেশের কৃষক বন্ধুরা সারা বছর ধরে এতো পরিশ্রম করে ফসল ফলিয়ে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করেন তার বিনিময়ে তারা যাতে একটু সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারেন সেই দিকেও তো খেয়াল রাখতে হবে। আর সেই কারণেই একদিকে আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার ও আরেকদিকে রাজ্য সরকার উভয়েই কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প ও পেনশন যোজনা চালু করেছে।
দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর পদ লাভ করার পর আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সারা দেশের কৃষকদের জন্য “কৃষক সন্মান নিধি” নামে একটি প্রকল্প চালু করেছেন । যার মাধ্যমে দেশের প্রতিটি দরিদ্র কৃষককে বার্ষিক ৬,০০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়। শুধুমাত্র “কৃষক সন্মান নিধি” ই নয় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে আমাদের দেশের সেই সকল কৃষকেরা যাদের আর্থিক অবস্থা একেবারেই ভালো নয় তাদেরকে চাষবাসের বিভিন্ন ধরনের উপকরণ, শস্যবীজ ইত্যাদি কেনার জন্য অতি স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে শুধু কেন্দ্রীয় সরকারই নয় এই বিষয়ে আমাদের রাজ্য সরকারের অবদানও কিছু কম নেই। আমাদের রাজ্যের দরিদ্র কৃষক বন্ধুদের চাষবাসের জিনিসপত্র কিনতে সাহায্য করার জন্য মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চালু করা হয়েছে “কৃষক বন্ধু প্রকল্প”। যাতে এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেওয়া টাকা দিয়ে তারা চাষের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারেন।
তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গ সরকারই নয়, কৃষকদের দিকে এবার আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল মধ্যপ্রদেশ সরকারও। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ সরকারের তরফ থেকে সেখানকার দরিদ্র কৃষক বন্ধুদের আর্থিক সাহায্যার্থে চালু করা হয়েছে একটি বিশেষ প্রকল্প। যার নাম হল “কৃষি কল্যান যোজনা”। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের প্রতিটি দরিদ্র কৃষককে ১০,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। এর ফলে এবার থেকে ওই রাজ্যের যে সব কৃষক বন্ধুরা “কৃষক সন্মান নিধি” এর দরুন বছরে ৬,০০০ টাকা করে অনুদান পান তারা সেটা তো পাবেনই উপরন্তু আরও ৪,০০০ টাকা করে অতিরিক্ত পাবেন। তবে সেক্ষেত্রে সেই কৃষকের নাম অবশ্যই “কৃষক সন্মান নিধি” এর তালিকাভুক্ত থাকতে হবে। তবেই তিনি এই প্রকল্পের সুবিধা লাভ করতে পারবেন নচেৎ নয়।
MORE NEWS: CLICK HERE
পশ্চিমবঙ্গের প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জন্য রয়েছে বিশাল বড় সুখবর। যারা ২০২২ এ প্রাইমারি টেট…
পশ্চিমবঙ্গ সরকার পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ জনসাধারণের জন্য একের পর এক নতুন নতুন বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প নিয়ে…
খাদ্য দপ্তরের তরফে বিরাট বড় কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জানা গিয়েছে সব…
প্রাইমারি টেট পরীক্ষার্থীর জন্য বিশাল বড় একটি সুখবর। অবশেষে যারা যারা প্রাইমারি টেট পাস করে…
দীপাবলীর আগেই সরকারি কর্মীদের DA ও পেনশন দুটোই দ্বিগুণ বাড়তে চলেছে। সরকারি কর্মী ও পেনশন…
এতদিন পর্যন্ত আমাদের রাজ্যের সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যার…