রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীদের জন্য দুর্দান্ত খুশির খবর। নতুন এক প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের প্রতিটি ১৮-৩৫ বছর বয়সের বেকার যুবক যুবতীদের মাসিক ভাতা দেওয়া শুরু করেছে রাজ্য সরকার। বেকারদের জন্য চালু করা এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের প্রতিটি বেকার যুবক যুবতীকে প্রতি মাসে ২,৫০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। এই টাকা প্রতি মাসে মাসে সরাসরি তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জমা করে দেওয়া হবে। এই ভাতা পেতে হলে কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে, কিভাবে আবেদন করতে হবে এই সব বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ জানতে শেষ পর্যন্ত এই প্রতিবেদনটি পড়ুন।
বেশ কিছু বছর ধরেই আমাদের দেশে আর্থিক মন্দা দেখা দিচ্ছে। তবে করোনার পর থেকে তা চরম আকার ধারণ করে। দেশ জুড়ে বেকারত্বের সংখ্যা দিনে দিনে ক্রমশ বেড়েই চলেছে। উচ্চ শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক যুবতী বেকার হয়ে ঘরে বসে রয়েছে। তাদের দীর্ঘদিনের এত পরিশ্রম দ্বারা অর্জন করা ডিগ্ৰি কোনো কাজেই লাগছে না। যদিও এই উর্ধ্বগামী বেকারত্বকে সামাল দিতে আমাদের দেশের কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন ধরনের বেকারত্ব দূরীকরণ কর্মসূচি শুরু করেছে কিন্তু তাতেও কোনো ভাবেই পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আনা সম্ভব হচ্ছে না। তাই এই সমস্যার সমাধান করতে এবারে এক দারুণ সিদ্ধান্ত নিল এক রাজ্যের সরকার। নতুন এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের প্রতিটি ঘরে ঘরে বেকার যুবক যুবতীদের প্রতি মাসে ২,৫০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে তাদেরকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রশিক্ষণ শেষে চাকরিরও ব্যাবস্থা করে দেবে সেই রাজ্যের রাজ্য সরকার।
তবে এই ভাতা এবং বিনামূল্যে দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ পেতে হলে বেকার যুবক যুবতীদের বেশ কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। আর সেগুলি হল-
• আবেদনকারীর বয়স ১ লা এপ্রিল ২০২৩ অনুযায়ী সর্বনিম্ন ১৮ থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
• আবেদনকারীকে যে কোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে ন্যুনতম উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে থাকতে হবে।
• আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকার মধ্যে হতে হবে।
• এক্ষেত্রে আবেদনকারীর নিজস্ব কোনো আয়ের উৎস থাকা চলবে না। তাকে পুরোপুরি ভাবে পরিবারের উপর নির্ভরশীল হতে হবে।
• পরিবারের বার্ষিক আয়ের প্রমান পত্র হিসেবে তহসিলদার বা অন্য যে কোনো উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার দেওয়া যে ইনকাম সার্টিফিকেটটি এই ভাতার জন্য আবেদন করার সময় জমা দিতে হবে সেটি আবেদনের দিন থেকে শুরু করে এক বছর আগের মধ্যে তৈরি হয়ে থাকতে হবে।
• যে রাজ্যের সরকার এই ভাতা ও প্রশিক্ষণ দেবে আবেদনকারীকে সেই রাজ্যের একজন স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
• আবেদনকারীর নাম সেই রাজ্যের যে কোনো জেলার কর্মসংস্থান ও স্ব-কর্মসংস্থান নির্দেশিকা কেন্দ্রে রেজিস্টার্ড থাকতে হবে।
এতক্ষণ ধরে আমরা যে রাজ্যের বিষয়ে কথা বলে চলেছি তার নাম হল ছত্তিশগড়। এই ছত্তিশগড় রাজ্যের সরকার সেই রাজ্যের বেকারত্ব দূর করতে এই প্রকল্প চালু করেছেন। ২০২৩ এর ১ লা এপ্রিল থেকে এই প্রকল্প কার্যকর করা হয়েছে।
MORE NEWS: CLICK HERE
SVM Scholarship 2024 : দিনের পর দিন রাজ্যে কমছে শিক্ষিত পড়ুয়াদের হার। আমাদের পশ্চিমবঙ্গে এমন…
রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীদের জন্য নতুন করে একটি চাকরির সুখবর। যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে চাকরির সন্ধান…
আজ আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চলেছি ভারতের কিছু অজানা তথ্য বা ভারতের কিছু সাধারণ…
চাকরি প্রার্থীদের জন্য আরও একটি নতুন চাকরির খবর নিয়ে আমরা হাজির হয়েছি। এবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি…
চাকরিপ্রার্থীদের জন্য দারুণ সুখবর, রাজ্যে পুনরায় ৫,০০০ হাজারের বেশি শূন্য পদে স্বাস্থ কর্মী ( WB…
চাকরি প্রার্থীদের জন্য আরও একটি নতুন চাকরির খবর নিয়ে আমরা হাজির হয়েছি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে…