দুর্দান্ত সুখবর! রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীদের উদ্দেশ্যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আবারও নতুন করে ৫ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের ঘোষণা করা হল। যার মাধ্যমে গ্ৰুপ ‘সি’, গ্ৰুপ ‘ডি’ সহ অন্যান্য পদে কর্মী নিয়োগ করা হবে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে এইসব পদ গুলিতে কর্মী নিয়োগ না হওয়ার কারনেই এই বিপুল সংখ্যক শূন্যপদ তৈরি হয়েছে বলে সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এক অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই নিয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়েছে। আর সেই সন্বন্ধে আপনাদেরকে বিশদে সবকিছু জানাতেই আমরা আজ এই প্রতিবেদনটি নিয়ে হাজির হয়েছি।
রাজ্য জুড়ে রাজ্য সরকার অধীনস্থ অফিস গুলিতে গ্ৰুপ ‘ডি’ কর্মী নিয়োগের জন্য এই সবেমাত্র গত ১৭ ই এপ্রিল ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টাফ সিলেকসান কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত পাস করেছে রাজ্য সরকার। এবং নতুন এই কমিশন গঠন হতে না হতেই তার মাধ্যমে কয়েক হাজার গ্ৰুপ ‘ডি’ কর্মী নিয়োগের তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গিয়েছে। আর সেই বিষয় আমরা গতকালের এক প্রতিবেদনে আপনাদেরকে জানিয়েছি। আর আজ ফের রাজ্য সরকার স্বীকৃত মাদ্রাসা গুলিতে গ্ৰুপ ‘সি’, গ্ৰুপ ‘ডি’ ও শিক্ষক পদ মিলিয়ে মোট ৫ হাজার শূন্যপদে কর্মী নিয়োগের জন্য সদ্য প্রকাশিত হওয়া এক বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করতে চলেছি।
আমাদের রাজ্যের মাদ্রাসা গুলিতে আনুমানিক দশ বছর আগে শেষ বারের মতো কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল। তার পর থেকে দীর্ঘ সময় কেটে গিয়েছে এই মাদ্রাসা গুলিতে কর্মী নিয়োগের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো রকম নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই বিপুল সংখ্যক শূন্যপদ তৈরি হয়েছে। আর পর্যাপ্ত পরিমাণ কর্মীর অভাবে এই মাদ্রাসা গুলি পরিচালনা ক্ষেত্রে চরম সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজ সম্পন্ন করতে চাইছে রাজ্য সরকার। এবং তার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।
এই মর্মে সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রকাশিত দ্যা ক্যালকাটা গেজেট মাদ্রাসায় এই গ্ৰুপ ‘সি’, গ্ৰুপ ‘ডি’ ও শিক্ষক পদে কর্মী নিয়োগের শূন্যপদ গুলির নাম, নিয়োগ পদ্ধতি ইত্যাদির বিষয়ে জানানো হয়েছে। নীচে সেই সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
কত সংখ্যক শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে?
এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজ্যের মাদ্রাসা গুলিতে গ্ৰুপ ‘ডি’, লাইব্রেরিয়ান ও অ্যাসিস্ট্যান্ট টিচার সহ বিভিন্ন শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ করা হবে। সব মিলিয়ে ঠিক কত সংখ্যক শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ করা হবে সেই বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত সেভাবে কিছু জানানো হয়নি। ফাইনাল নোটিফিকেশন প্রকাশ করার ১৫ দিন আগে এই বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে রাজ্য সরকার কর্তৃক প্রকাশিত হওয়া গেজেট মারফত জানা গিয়েছে। তবে দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকার কারণে আনুমানিক ৫ হাজার শূন্যপদ তৈরি হয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে।
কোন কোন শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে?
এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মোট ১৭ ধরনের শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ করা হবে। আর সেগুলি হল-
• Group D
• Librarian
• Clerk
• Assistant Teacher (XI-XII)
• Assistant Teacher (IX-X)
• Assistant Teacher (Computer Science)
• Assistant Teacher (Physical Science)
• Head Master
• Superintendent সহ আরও অনেক।
কিভাবে নিয়োগ করা হবে?
প্রতিটি পদের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা পদ্ধতিতে নিয়োগ করা হবে। যেমন-
১) গ্ৰুপ ‘ডি’ পদের ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে চাকরিতে নিয়োগ করা হবে।
২) লাইব্রেরিয়ান পদের ক্ষেত্রে ৭০ নম্বরের একটি লিখিত পরীক্ষা, ২০ নম্বরের একটি কম্পিউটার টাইপিং টেস্ট ও ১০ নম্বরের একটি ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে চাকরিতে নিয়োগ করা হবে।
৩) এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট টিচার পদ গুলির ক্ষেত্রেও লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে চাকরিতে নিয়োগ করা হবে।
এক্ষেত্রে প্রতিটি পদেই সংরক্ষিত শ্রেনীর প্রার্থীদের জন্য আসন সংরক্ষিত থাকবে। এবং তারা সরকারি নিয়ম মাফিক বয়সের ছাড় ও পাবেন। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য আবেদন পত্র জমা নেওয়া এখানো শুরু হয়নি। তবে খুব শীঘ্রই তার শুরু হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।