পোস্ট অফিস ধামাকা অফার, মাত্র ৫০০০ টাকার বিনিময়ে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করুন | Post Office Scheme

বেশ কিছু বছর ধরেই ধীরে ধীরে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি ঘটতে শুরু করেছিল। তবে করোনার পর থেকে তা চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। কিন্তু এই ভাবে তো আর দীর্ঘদিন চলতে দেওয়া যায় না। কারন এই ভাবে বেশিদিন চললে ভারতীয় অর্থনীতি খুব শীঘ্রই একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকবে। আর তখন সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। আর সেই কারণেই এমন দিনের সন্মুখীন যাতে আমাদের কাউকে কোনো দিন হতে না হয় তাই আগে থেকেই পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আনার জন্য আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উভয় মিলে সারা দেশ জুড়ে অসংখ্য জনকল্যাণ মূলক প্রকল্প চালু করেছেন।

       তবে শুধু আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী ই নয় ভারতের অর্থনৈতিক বুনিয়াদকে শক্তিশালী করে তুলতে ভারতীয় ডাক বিভাগের অবদানকেও অস্বীকার করা যায় না। কারন আমাদের দেশের সাধারণ মানুষকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করার জন্য ভারতীয় ডাকবিভাগের তরফ থেকে একের পর এক ইনভেস্টমেন্ট স্কিম চালু করা হয়েছে। যেমন- আমাদের দেশের দরিদ্র কৃষক সম্প্রদায়ের জন্য ভারতীয় ডাকবিভাগের তরফ থেকে চালু করা হয়েছে মানধন যোজনা প্রকল্প, যার মাধ্যমে আমাদের দেশের দরিদ্র কৃষক সম্প্রদায়ের মানুষেরা যদি ১৮ বছর বয়স থেকে শুরু করে ৬০ বছর বয়সের আগে পর্যন্ত পোস্ট অফিসে প্রতি মাসে মাসে ৫৫-২০০ টাকা করে জমা রাখেন তাহলে তাদের ৬০ বছর বয়স হওয়া মাত্রই তারা আমৃত্যু প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা করে পেনশন পাবেন।

        এছাড়াও আমাদের দেশের দিন আনা দিন খাওয়া দরিদ্র শ্রমিক শ্রেণীর মানুষদের জন্য ভারতীয় ডাকবিভাগের তরফ থেকে অটল পেনশন যোজনা বলে একটি স্কিম চালু করা হয়েছে। তার মাধ্যমে আমাদের দেশের দরিদ্র শ্রমিক শ্রেণীর মানুষেরা যদি তাদের ১৮ বছর বয়স হওয়া থেকে শুরু করে ৬০ বছর বয়সের আগে পর্যন্ত প্রতি মাসে পোস্ট অফিসে ৪১ টাকা করে জমা রাখেন তাহলে ৬০ বছর বয়স মাত্রই তারা আমৃত্যু প্রতি মাসে ১০০০-৫০০০ টাকা পর্যন্ত পেনশন পাবেন। এই প্রকল্প গুলির মাধ্যমে ইতিমধ্যেই আমাদের দেশের বহু দরিদ্র কৃষক ও শ্রমিক শ্রেণীর মানুষেরা ইতিমধ্যেই ভীষণ ভাবে উপকৃত হয়েছেন।

       কিন্তু এই জনকল্যাণ মূলক প্রকল্প গুলি তো ভারতীয় ডাকবিভাগের তরফ থেকে শুধুমাত্র দেশের দরিদ্র শ্রেণীর ৬০ উর্ধ্বো মানুষদের বৃদ্ধ বয়সে যাতে কোনো ভাবেই খাওয়া, পড়া, চিকিৎসার কোনো অসুবিধা না হয় সেই কারণে চালু করা হয়েছে, তাহলে দেশের যুব সম্প্রদায়ের কি হবে? কবে কার ৬০ বছর বয়স হবে তার পর সে প্রতি মাসে সরকারের তরফ থেকে এই মানধন যোজনা বা অটল পেনশন যোজনার মাধ্যমে পেনশন পাবেন সেই ভরসায় তো আর গোটা যৌবন কাল টাকে হেলায় হারিয়ে যেতে দেওয়া যায় না। বর্তমানে চাকরির যা বাজার তাতে করে কারোর কপালে সহজে চাকরি মিলবে বলে তো মনে হয় না। আর যে কোনো ধরনের ব্যাবসা করতে হলেও বেশ কিছু টাকার দরকার যা দরিদ্র পরিবারের যুব সম্প্রদায়ের পক্ষে জোগাড় করে ওঠা সম্ভব নয়। তাহলে তারা তাদের সারা যৌবন কাল টা বিনা রোজগারে কাটাবে কি করে? 

      ঠিক সেই কারনেই ভারতীয় ডাকবিভাগের তরফ থেকে আমাদের দেশের দরিদ্র শ্রেণীর বেকার যুবক যুবতীদের স্থায়ী রোজগারের সুযোগ করে দিয়ে আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর করে তোলার জন্য একটি নতুন স্কিম চালু করা হয়েছে। আর সেটি হল ভারতীয় ডাকবিভাগে পক্ষ থেকে ভারতের প্রতিটি কোনায় কোনায় ডাক পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতি ৫ কিলোমিটার অন্তর ফ্রাঞ্চাইজি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ডাক বিভাগ। এই ফ্রাঞ্চাইজির মাধ্যমে সারা দেশ জুড়ে কিছু দিনের মধ্যেই ১০ হাজারেরও বেশি ভারতীয় ডাকবিভাগের শাখা অফিস বা কিয়স্ক খোলা হবে। যার ফলে আমাদের দেশের বহু বেকার যুবক যুবতীদের স্থায়ী রোজগারের সুযোগ হবে।

এই ফ্রাঞ্চাইজি পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হলে কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে?

ভারতীয় ডাকবিভাগের তরফ থেকে এই ফ্রাঞ্চাইজি পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হলে যা যা যোগ্যতা থাকা দরকার সেগুলি হল-

১) আবেদনকারীকে অবশ্যই ভারতের একজন স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।

২) আবেদনকারীকে অবশ্যই যে কোনো সরকারি স্কুল থেকে কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণী পাস করে থাকতে হবে।

৩) আবেদনকারীর নিজের আধার কার্ড থাকতে হবে।

৪) আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই ১৮ বছরের উর্ধ্বে হতে হবে।

৫) এই ফ্রাঞ্চাইজি পেতে হলে ৫০০০ টাকা ভারতীয় ডাকবিভাগের ঘরে জমা দিতে হবে।

এই ফ্রাঞ্চাইজির মাধ্যমে কিভাবে উপার্জন করা যাবে?

প্রথমে ৫০০০ টাকা দিয়ে ভারতীয় ডাকবিভাগের কাছ থেকে ফ্রাঞ্চাইজি লাভ করার পর একটি শাখা অফিস বা কিয়স্ক খুলে পোস্ট অফিসের যাবতীয় কাজ যেমন মানি অর্ডার বুক করা, রেজিস্টার্ড আর্টিকেল বানানো, স্পিড পোস্ট আর্টিকেল বানানো, স্ট্যাম্প ও বিভিন্ন স্টেশনারি দ্রব্যাদি বিক্রি ইত্যাদি কাজ করে বেকার যুবক যুবতীরা তার থেকে প্রতি মাসে মাসে যে মোটা টাকা কমিশন পাবেন তা দিয়ে তাদের মাসিক স্থায়ী ইনকামের পথ প্রশস্ত হবে। তারা আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে আজই আপনার নিকটবর্তী পোস্ট অফিসে গিয়ে এই নতুন স্কিমের বিষয়ে আরও বিস্তারিত ভাবে জেনে ভারতীয় ডাক বিভাগের তরফ থেকে এই ফ্রাঞ্চাইজি পাওয়ার জন্য আবেদন করে ফেলুন। আর নিজের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করুন।