বেশ কিছু বছর ধরেই ধীরে ধীরে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি ঘটতে শুরু করেছিল। তবে করোনার পর থেকে তা চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। কিন্তু এই ভাবে তো আর দীর্ঘদিন চলতে দেওয়া যায় না। কারন এই ভাবে বেশিদিন চললে ভারতীয় অর্থনীতি খুব শীঘ্রই একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকবে। আর তখন সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। আর সেই কারণেই এমন দিনের সন্মুখীন যাতে আমাদের কাউকে কোনো দিন হতে না হয় তাই আগে থেকেই পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আনার জন্য আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উভয় মিলে সারা দেশ জুড়ে অসংখ্য জনকল্যাণ মূলক প্রকল্প চালু করেছেন।
তবে শুধু আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী ই নয় ভারতের অর্থনৈতিক বুনিয়াদকে শক্তিশালী করে তুলতে ভারতের ডাগবিভাগ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক গুলির অবদানকে ও অস্বীকার করা যায় না। কারন দেশের দরিদ্র শ্রেণীর মানুষদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করার জন্য ভারতীয় ডাকবিভাগ ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক গুলির তরফ থেকে অটল পেনশন যোজনা, মানধন যোজনা নামক বেশ কয়েকটি ইনভেস্টমেন্ট মূলক স্কিম চালু করা হয়েছে। তবে শুধু ভারতের দরিদ্র শ্রেণীর মানুষদের আর্থিক দিক দিয়ে সাহায্য করার জন্যই নয় ভারতের প্রতিটি দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা যাতে ভালো করে লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হয় তাই ভারতীয়
State Bank of India SBI আশা প্রকল্প নামে একটি স্কলার শিপ দেওয়াও শুরু করেছে। আর এই স্কলার শিপ পেয়ে ইতিমধ্যেই বহু দরিদ্র মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা লেখাপড়া শিখে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।
তবে শুধু এখানেই শেষ নয়। শুধুমাত্র দরিদ্র মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের লেখাপড়া শিখে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করার জন্য আশা স্কলারশিপ প্রদান করেই State Bank খান্ত হয়নি। এবারে থেকে ভারতের প্রতিটি বেকার যুবক যুবতী যারা দীর্ঘদিন ধরে লেখাপড়া শিখেও আজ পর্যন্ত একটাও চাকরি জোগাড় করে উঠতে পারেননি বলে প্রতি মূহুর্তে বেকারত্বের জ্বালায় জর্জরিত হয়ে দিন কাটাচ্ছেন তাদের প্রত্যেককে আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর করে তুলতে ATM ফ্রাঞ্চাইজি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে State Bank of India। যাতে এই ফ্রাঞ্চাইজি নিয়ে নিজের নিজের এলাকায় State Bank এর ATM স্থাপন করে দেশের বেকার যুবক যুবতীরা প্রতি মাসে ৬০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। এবং বেকারত্বের জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই এই ফ্রাঞ্চইজি পাওয়ার জন্য কি যোগ্যতা থাকতে হবে এবং কি করতে হবে।
এই ফ্রাঞ্চাইজি পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হলে কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে?
State Bank of India এর তরফ থেকে চালু করা এই ফ্রাঞ্চাইজি স্কিম এর মাধ্যমে ফ্রাঞ্চাইজি পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হলে যা যা যোগ্যতা থাকা দরকার সেগুলি হল-
১) আবেদনকারীকে অবশ্যই ভারতের একজন স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
২) আবেদনকারীর নিজের আধার কার্ড থাকাটা আবশ্যিক।
৩) আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই ১৮ বছরের উর্ধ্বে হতে হবে।
৪) আবেদনকারীকে সম্পূর্ণ ভাবে বেকার হতে হবে।
৫) আবেদনকারীকে অতি অবশ্যই যে কোনো সরকারি স্কুল থেকে কমপক্ষে মাধ্যমিক পাস করে থাকতে হবে।
৬) আবেদনকারীকে এই ফ্রাঞ্চাইজি পাওয়ার জন্য State Bank এ অন্তত পক্ষে কিছু টাকা security money হিসেবে জমা রাখতে হবে।
কিভাবে আবেদন করতে হবে?
১) এই ফ্রাঞ্চাইজি পাওয়ার জন্য আপনাকে আপনার নিকটবর্তী state bank এ গিয়ে প্রথমে এই ফ্রাঞ্চাইজি স্কিমের ব্যাপারে ভালো করে জেনে নিতে হবে।
২) তারপর যদি আপনি এই ফ্রাঞ্চাইজি নিতে আগ্ৰহী থাকেন তাহলে আপনাকে ওই ব্যাঙ্ক থেকে এই স্কিমের ফর্ম তুলে ফিলাপ করে নিজের যাবতীয় তথ্য দিয়ে জমা করতে হবে।
৩) সঙ্গে ৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
৪) এরপর সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনি ফ্রাঞ্চাইজি পেয়ে যাবেন।
এর মাধ্যমে কিভাবে উপার্জন করতে পারবেন?
এই ফ্রাঞ্চাইজি নিয়ে আপনি আপনার বাড়ির কাছাকাছি একটি জনবহুল এলাকায় state bank এর ATM স্থাপন করে সেখান থেকে লেনদেন পিছু যে কমিশন পাবেন তার মাধ্যমে আপনার প্রতি মাসে খুব কম করে হলেও ৬০,০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম আসবে।
আবেদন করার শেষ তারিখ:-
State Bank এর তরফ থেকে এই ফ্রাঞ্চাইজি পাওয়ার জন্য আবেদন করার কোনো শেষ সময় সীমা নেই। আপনি যেদিন খুশি আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদন প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।