সারা রাজ্যের প্রতিটি রেশন কার্ড হোল্ডার দের জন্য বিরাট বড়ো সুখবর। এবার থেকে রাজ্যের প্রতিটি রেশন কার্ড হোল্ডারকে মাথাপিছু নগদ ১০০০ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। করোনার প্রথম ঢেউ আসার সময় থেকেই রাজ্য সরকার রাজ্যের জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রতিটি রেশন কার্ড হোল্ডারকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে রেশন দ্রব্য যেমন চাল, গম, চিনি ইত্যাদি দেওয়া শুরু করেছিল এবং সেই নিয়ম এখনও চলে আসছে। কিন্তু নতুন বছরের শুরুতে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে চলতি মাসে রাজ্য সরকার প্রতিটি রেশন কার্ড হোল্ডারকে বিনামূল্যে রেশন দ্রব্য দেওয়া ছাড়াও মাথাপিছু নগদ ১০০০ টাকা করে দেবে। রাজ্যের নাগরিকদের কিছুটা হলেও আর্থিক দিক থেকে সাহায্য করার জন্যই যে রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ তার আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে ভারতের অন্তর্গত রাজ্য তামিলনাড়ুতে পোঙ্গল নামে যে উৎসব হয় তার জন্য তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম.কে স্ট্যালিন ওই রাজ্যের প্রতিটি রেশন কার্ড হোল্ডার অর্থাৎ ২.১৯ কোটি মানুষকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চাল ও চিনি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ অর্থ ও দিয়ে থাকে। যা ওই রাজ্যের নাগরিকদের উৎসব পালনের খরচ জোগাতে সাহায্য করে। এর আগে তামিলনাড়ু সরকার প্রত্যেক রেশন কার্ড হোল্ডার কে বিনামূল্যে ধান, আখ, চিনি ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য দেওয়া ছাড়াও ২০১৯ সালে ১০০০ টাকা করে, ২০২০ ও ২০২১ সালে ২৫০০ টাকা করে পোঙ্গল উৎসব পালনের জন্য দিয়েছিল।
আর এবারে রাজ্য বাসীদের আর্থিক ভাবে কিছুটা হলেও সাহায্য করতে তামিলনাড়ু সরকার এম.কে স্ট্যালিন আরও এক ধাপ এগিয়ে আগামী ৩ রা জুন থেকে প্রত্যেক মহিলা রেশন কার্ড হোল্ডারকে বিনামূল্যে রেশনে ১ কেজি করে চাল ও ১ কেজি করে চিনি দেওয়ার পাশাপাশি নগদ ১০০০ টাকা করে দেওয়া শুরু করতে চলেছেন। সম্প্রতি ৮ ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন নতুন এই স্কিমের ঘোষণা করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম.কে স্ট্যালিন। আর যেহেতু আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই তামিলনাড়ুতে পঞ্চায়েত ভোট তাই এই ঘোষণার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মহিলাদের মন জয় করে তাদের ভোট টানতে চাইছে তামিলনাড়ু সরকার এমনটাই সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে।
তবে শুধু তামিলনাড়ু সরকারই নয় দান ধ্যানের বিষয়ে গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশের সরকারের উদ্যোগকেও অস্বীকার করা যায় না। এছাড়াও দান ধ্যানের বিষয়ে দিল্লি সরকারের ভূমিকা ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দিল্লি সরকার ১২ মাস ওই রাজ্যের সকল রাজ্যবাসীকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে জল ও বিদ্যুৎ দান করেন।
তবে দান ধ্যানের বিষয়ে অন্যান্য সব রাজ্যের তুলনায় আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্যের মহিলাদের আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর করতে লক্ষীর ভান্ডারের মতো একটি জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করা, করোনার বছর থেকে প্রতি বছর দুর্গাপূজায় ৪৩ হাজার পূজা কমিটিকে নগদ ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া, ৭৫ ইউনিট এর নীচে বৈদ্যুতিক বিলে ছাড়, বিনামূল্যে রেশন দ্রব্য বিতরণ এইসব কিছু চালু করার মাধ্যমে অন্যান্য সব রাজ্য গুলির তুলনায় বেশ অনেকখানি এগিয়ে রয়েছে আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ।