২০১১ সালে প্রথমবারের মতো এ রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর থেকে আজ পর্যন্ত মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিটি সাধারণ রাজ্যবাসীর সার্বিক কল্যাণার্থে বহু প্রকল্প চালু করেছেন। কন্যাশ্রী থেকে রূপশ্রী, লক্ষীর ভান্ডার থেকে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড, খাদ্যসাথী থেকে স্বাস্থ্যসাথী সহ আরও অজস্র। ২০১১ সাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে চালু হওয়া মোট জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সংখ্যা ৭০ পাড় করেছে। এবং আগামী দিনেও তার উদ্যোগে এ রাজ্যের সাধারণ জনগণের সুবিধার্থে আরও বেশ কিছু নতুন নতুন জনমুখী প্রকল্পের সূচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আজ আমরা এমন এক প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনা করতে চলেছি যেটি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের বেকার যুবক যুবতীদের জন্য চালু করেছেন। আর এই প্রকল্পের বিষয়টি যে রাজ্যের প্রতিটি বেকার যুবক যুবতীদের জন্য একটি দুর্দান্ত খুশির খবর হতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এই প্রকল্পের বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ জেনে নেওয়া যাক।
আমাদের রাজ্যের ১৮ উর্ধ্ব এমন বহু বেকার যুবক যুবতী আছেন যারা পরিবারের অর্থাভাবের কারনে হোক বা অন্য যে কোনো কারনেই হোক উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পারেননি অর্থাৎ স্বল্প শিক্ষিত। আর বর্তমানে সরকারি হোক বা বেসরকারি চাকরির যা বাজার তাতে করে হাজার হাজার উচ্চ শিক্ষিতরাও চাকরি পাচ্ছেন না। তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই এই ন্যুনতম শিক্ষাগত যোগ্যতার কারনে স্বল্প শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীরা এদিক সেদিক চাকরির জন্য ছুটে বেড়িয়েও আজও বেকার রয়েছেন। এই সকল বেকার যুবক যুবতীদের বেকারত্ব দূর করে তাদের কিছুটা হলেও আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর করে তুলতে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এক চমকপ্রদ প্রকল্প চালু করা হয়েছে। যার মাধ্যমে রাজ্যের প্রতিটি বেকার যুবক যুবতীকে প্রতি মাসে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ১,৫০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। সুতরাং আপনি যদি পশ্চিমবঙ্গে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী একজন বেকার যুবক বা যুবতী হয়ে থাকেন তাহলে আর অপেক্ষা না করে শীঘ্রই এই প্রকল্পের আওতায় নিজের নাম নথিভুক্ত করুন।
কারা কারা এই প্রকল্পের টাকা পাবেন?
পশ্চিমবঙ্গের সেই সব বেকার যুবক যুবতীরা যারা কোন কর্মমুখী প্রশিক্ষণ নিতে ইচ্ছুক কিন্তু পরিবারের আর্থিক অসংগতির কারণে তা নিতে পারছেন না বা সরকারি চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কোচিং নেওয়া বা বই পত্র কেনার প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও অর্থের অভাবে তা করতে পারছেন না তাদেরকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি মাসে মাসে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ভাতা দেওয়া হয়।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেওয়া অনুদানের পরিমাণ কত?
এই প্রকল্পের আওতায় বেকার যুবক যুবতীদের প্রতি মাসে মাসে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ১,৫০০ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়। যা তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা করে দেওয়া হয়।
এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে?
এই প্রকল্পের আওতায় আবেদন করতে হলে একজন বেকার যুবক বা যুবতীর নিম্নলিখিত যোগ্যতা গুলি অবশ্যই থাকা দরকার। যেমন-
১) আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের একজন স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
২) আবেদনকারীর আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ড অতি অবশ্যই থাকতে হবে।
৩) এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে অবশ্যই ন্যুনতম মাধ্যমিক পাস করে থাকতে হবে। তবেই তিনি এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন নচেৎ নয়।
৪) আবেদনকারীর নিজের নামে একটি সচল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
৫) আবেদনকারী যুবক বা যুবতীর নিজের নামে এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের কার্ড এক্ষেত্রে অতি অবশ্যই থাকতে হবে।
এই প্রকল্পের আওতায় কিভাবে আবেদন করতে হবে?
এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য বেকার যুবক যুবতীদের অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। তার জন্য নিম্নলিখিত ধাপ গুলি অনুসরণ করতে হবে-
১) আবেদনের শুরুতেই প্রথমে এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
২) তারপর সেখান থেকে Employment Job Seekers লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে।
৩) এরপর Accept and Continue button এ ক্লিক করলে অনলাইন অ্যাপ্লিকেশান ফর্ম আসবে।
৪) এরপর সেই ফর্মে নির্দিষ্ট স্থান অনুযায়ী প্রয়োজন মতো তথ্য টাইপ করে ফর্মটিকে ফিলাপ করতে হবে।
৫) তারপর যাবতীয় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস স্ক্যান করে আপলোড করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে দিলেই অ্যাপ্লিকেশান হয়ে যাবে।
আবেদনের ক্ষেত্রে কোন কোন ডকুমেন্টস আপলোড করতে হবে?
এই প্রকল্পের জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার সময় যে সব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলি আপলোড করতে হবে সেগুলি হল-
১) বয়সের প্রমানপত্র হিসেবে মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড বা আধার কার্ড।
২) দেশ তথা রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দার প্রমান পত্র হিসেবে আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড।
৩) মাধ্যমিক পাসের মার্কসীট ও সার্টিফিকেট।
৪) কাস্ট সার্টিফিকেট যদি থাকে।
৫) পরিবারের বার্ষিক আয়ের প্রমান পত্র হিসেবে পঞ্চায়েত প্রদত্ত ইনকাম সার্টিফিকেট।
৬) ব্যাঙ্কের পাস বুকের প্রথম পৃষ্ঠা।
৭) এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের কার্ড ।
৮) রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ফটো ও আবেদনকারীর নিজের সিগনেচার।
কত দিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে?
এই প্রকল্পের জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন পত্র জমা নেওয়া বর্তমানে চলছে। এবং এর কোনো রকম শেষ তারিখ ধার্য করা হয়নি। আপনারা নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী যে কোনো সময়েই এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
OFFICIAL WEBSITE: CLICK HERE
MORE JOB NEWS: CLICK HERE