দেশের সকল পড়ুয়াদের জন্য বিশাল সুখবর। দেশ তথা রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তের সকল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের আরও এক নতুন স্কলারশিপ স্কিমের সন্ধান দিতেই আজ আমরা এই প্রতিবেদনটি নিয়ে হাজির হয়েছি। মাঝে মধ্যেই আমরা আমাদের চ্যানেলের পক্ষ থেকে পরিবেশিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা লাভে সাহায্য করার লক্ষ্যে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে দেওয়া বিভিন্ন স্কলারশিপ স্কিমের বিষয়ে আপডেট দিয়ে থাকি। আর ঠিক তেমনই একটি নতুন স্কলারশিপ স্কিমের বিষয়ে আমরা আজ আলোচনা করতে চলেছি। যার আওতায় আবেদন করলেই প্রত্যেক পড়ুয়া পাবেন ৫০,০০০ টাকা করে স্কলারশিপ। সারা ভারতের যে কোনো রাজ্যের যে কোনো জায়গা থেকেই সকল পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ভারতের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা বিভিন্ন এডুকেশানাল ইনস্টিটিউট গুলির মধ্যে অন্যতম একটি হল Tata Trust। দেশের প্রতিটি আর্থিক ভাবে দুর্দশাগ্রস্ত পরিবারের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা লাভের সাহায্যার্থে প্রতি বছর Tata Trust এর তরফ থেকে স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। Tata Trust এর তরফে দেওয়া এই বিশেষ স্কলারশিপ স্কিম টির নাম হল “Tata Capital Pankh Scholarship”। এই স্কলারশিপ স্কিমের আওতায় প্রতি বছর ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পর্যন্ত পাঠরত পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের ১২,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত স্কলারশিপ প্রদান করা হয়।
তাহলে চলুন আর অযথা বিলম্ব না করে এই স্কলারশিপের বিষয়ে যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য যেমন আবেদনের ক্ষেত্রে কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে, কিভাবে আবেদন করতে হবে, আবেদনের ক্ষেত্রে কি কি শর্ত রয়েছে, কোন শ্রেনীর ছাত্র ছাত্রীদের কত টাকা করে স্কলারশিপ দেওয়া হবে, আবেদনের পর কিভাবে যোগ্য প্রার্থী বাছাই করা হবে এইসব বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ জেনে নেওয়া যাক। নিম্নে এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হল।
“Tata Capital Pankh Scholarship” এর জন্য আবেদন করতে হলে কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে?
এই স্কলারশিপ স্কিমের আওতায় আবেদন করতে হলে আবেদনকারী পড়ুয়ার যে যে যোগ্যতা গুলি থাকতে হবে সেগুলি হল-
১) আবেদনকারী ছাত্র বা ছাত্রীকে অবশ্যই ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে শুরু করে স্নাতকোত্তর ডিগ্ৰি পর্যন্ত যে কোনো শ্রেনীতে পাঠরত অবস্থায় থাকতে হবে। তবেই সে এই স্কলারশিপের আওতায় আবেদন করতে পারবে নচেৎ নয়।
২) যেহেতু এই স্কলারশিপ দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের দেওয়া হয়ে থাকে তাই আবেদনকারী পড়ুয়া যে শ্রেনীতে পাঠরত অবস্থায় থাকাকালীন আবেদন করবেন তার আগের শ্রেনীর ফাইনাল পরীক্ষায় তাকে অন্তত পক্ষে ৬০% নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে থাকতে হবে। তবেই সে এই স্কলারশিপের আওতায় আবেদন করতে পারবে নচেৎ নয়।
৩) তবে যদি কোনো ব্যাক্তি এই Tata Trust এর অধীনে চাকরি করে থাকেন তাহলে সেক্ষেত্রে সেই ছেলে বা মেয়ে এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবে না।
৪) যেহেতু কেবলমাত্র দরিদ্র পরিবারের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য এই স্কলারশিপ চালু করা হয়েছে তাই এক্ষেত্রে আবেদনকারী পড়ুয়ার পরিবারের বার্ষিক আয় ৪ লক্ষ টাকার নীচে হতে হবে।
“Tata Capital Pankh Scholarship” এর আওতায় কোন শ্রেনীর পড়ুয়াদের কত টাকা করে স্কলারশিপ দেওয়া হয়?
এই স্কলারশিপের মাধ্যমে দেওয়া অর্থের পরিমানকে পড়ুয়াদের লেখাপড়ার স্তর অনুযায়ী তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন-
১) এই স্কলারশিপের মাধ্যমে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠরত পড়ুয়াদের ১২,০০০ টাকা করে স্কলারশিপ দেওয়া হয়ে থাকে।
২) স্নাতক ও ডিপ্লোমা কোর্সের পড়ুয়াদেরকে এই স্কলারশিপ স্কিমের আওতায় ২০,০০০ টাকা করে স্কলারশিপ দেওয়া হয়ে থাকে।
৩) স্নাতকোত্তর, মেডিকেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের পড়ুয়াদেরকে এই স্কলারশিপ স্কিমের আওতায় ৫০,০০০ টাকা করে স্কলারশিপ দেওয়া হয়ে থাকে।
“Tata Capital Pankh Scholarship” পাওয়ার জন্য কিভাবে আবেদন করতে হবে?
এই স্কলারশিপ পেতে হলে যেভাবে আবেদন করতে হবে তা হল-
১) সবার প্রথমে এই স্কলারশিপের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://www.buddy4study.com/page/the-tata-capital-pankh-scholarship-programme এ প্রবেশ করতে হবে।
২) তারপর সেখানে Apply Now লিঙ্কে ক্লিক করে নাম, ই-মেইল আইডি, ফোন নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।
৩) রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম আসবে সেখানে যথাযথ স্থানে সঠিক তথ্য দিয়ে ফর্মটিকে ফিলাপ করতে হবে।
৪) তারপর যাবতীয় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলি স্ক্যান করে Term & Conditions এর চেকবক্সে ক্লিক করে সাবমিট করে দিলেই অ্যাপ্লিকেশান হয়ে যাবে।
আবেদনের ক্ষেত্রে কি কি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোড করতে হবে?
আবেদন করার সময় যে সব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে সেগুলি হল-
১) বর্তমানে আবেদনকারী ছাত্র বা ছাত্রী যে শ্রেনীতে পাঠরত অবস্থায় রয়েছে তার আগের শ্রেনীর ফাইনাল পরীক্ষায় মার্কসীট।
২) বর্তমানে আবেদনকারী যে শ্রেনীতে পাঠরত অবস্থায় রয়েছে তার নতুন ভর্তির রসিদ।
৩) ফটো আইডি প্রুফ হিসেবে আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড।
৪) আবেদনকারী ছাত্র বা ছাত্রীর নিজের নামে থাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাস বুকের প্রথম পৃষ্ঠা।
৫) পরিবারের বার্ষিক আয়ের প্রমান পত্র অর্থাৎ ইনকাম সার্টিফিকেট।
৬) কাস্ট সার্টিফিকেট যদি থাকে।
৭) শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী আবেদনকারী দের ক্ষেত্রে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার সার্টিফিকেট।
৮) রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ফটো।
কিভাবে যোগ্য প্রার্থী বাছাই করা হবে?
আবেদন পত্র জমা পড়ার পর আবেদনকারী প্রার্থীদের সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমান পত্র ভালো করে যাচাই করে সেই অনুযায়ী যাদেরকে যোগ্য বলে মনে করা হবে তাদের নামের একটি শর্টলিস্ট তৈরি করা হবে। তারপর এ
সেইসব শর্টলিস্টেড পড়ুয়াদের ফোন করে কিছু সহজ প্রশ্নের মাধ্যমে একটি ছোট টেলিফোনিক ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। এই ইন্টারভিউয়ের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে যাদেরকে যোগ্য বলে মনে করা হবে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই স্কলারশিপের মাধ্যমে পাওনা টাকা জমা করে দেওয়া হবে।
কত দিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে?
“Tata Capital Pankh Scholarship” ২০২৩ এর জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন পত্র জমা নেওয়া বর্তমানে চলছে এবং তা আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত চলবে। তাই যারা আবেদন করতে ইচ্ছুক তারা এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন করে ফেলবেন।
পশ্চিমবঙ্গের প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জন্য রয়েছে বিশাল বড় সুখবর। যারা ২০২২ এ প্রাইমারি টেট…
পশ্চিমবঙ্গ সরকার পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ জনসাধারণের জন্য একের পর এক নতুন নতুন বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প নিয়ে…
খাদ্য দপ্তরের তরফে বিরাট বড় কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জানা গিয়েছে সব…
প্রাইমারি টেট পরীক্ষার্থীর জন্য বিশাল বড় একটি সুখবর। অবশেষে যারা যারা প্রাইমারি টেট পাস করে…
দীপাবলীর আগেই সরকারি কর্মীদের DA ও পেনশন দুটোই দ্বিগুণ বাড়তে চলেছে। সরকারি কর্মী ও পেনশন…
এতদিন পর্যন্ত আমাদের রাজ্যের সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যার…