লক্ষী ভান্ডার এখন কিছুই নয়। এর থেকে এক বিশাল বড় প্রকল্প চালু হচ্ছে রাজ্যে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের প্রতিটি বেকার বিবাহিতা ও অবিবাহিতা মহিলাকে প্রতি মাসে ৬০০০ টাকা করে উপার্জন করার ব্যাবস্থা করে দিল রাজ্য সরকার। নতুন এই প্রকল্পের মাধ্যমে কোনো রকম কোনো অর্থ ব্যায় না করেই প্রতি মাসে অনায়াসেই কমপক্ষে ৬০০০ টাকা করে ইনকাম করতে পারবেন রাজ্যের প্রতিটি বেকার মহিলা। মূলত পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি বেকার মহিলাকে আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর করে তোলার জন্যই আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই নতুন প্রকল্প চালু করেছেন। ইতিমধ্যেই তিনি আমাদের রাজ্যের বেকার মহিলাদের কিছুটা হলেও আর্থিক সহায়তা প্রদান করার জন্য লক্ষীর ভান্ডার নামক প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত প্রতি মাসে মাসে ভাতা দিচ্ছেন। যা দিয়ে এতদিনে বহু বেকার মহিলারা একটু হলেও উপকৃত হতেন। তবে এবার প্রত্যেকটি মহিলাদের ব্যাংক একাউন্টের ৬০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। এই প্রকল্পে খুশিতে আত্মহারা রাজ্যের মহিলারা। আপনি যদি মহিলা হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বিস্তারিতভাবে এই সুখবরটি জেনে নিন।
তবে লক্ষীর ভান্ডারের মাধ্যমে রাজ্য সরকার প্রত্যেক বেকার মহিলাকে প্রতি মাসে যে ৫০০-১০০০ টাকা করে ভাতা দিচ্ছেন তা দিয়ে আজকালকার অগ্নিমূল্যের বাজারে আর কিছুই হচ্ছে না। এই টাকা একদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাচ্ছে দ্রব্যমূল্যের এই বাজারে। এই সব কিছু চিন্তা করেই আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের প্রতিটি বেকার মহিলাকে আর্থিক ভাবে আরও বেশি শক্তিশালী করে তুলতে এই নতুন প্রকল্প চালু করেছেন। যেখানে থেকে প্রতি মাসে প্রত্যেক মহিলা কমকরে হলেও ৬০০০ টাকা পর্যন্ত পেয়ে যাবেন বা আয় করতে পারবেন।
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে চালু হওয়া এই নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের সকল বেকার বিবাহিতা ও অবিবাহিতা মহিলাকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে রেশম খাদি ও পল্লী শিল্প সমিতির উদ্যোগে চরকায় মসলিন সুতো কাটা থেকে শুরু করে বস্ত্র তৈরি করা পর্যন্ত সম্পূর্ণ ভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে স্থায়ী কর্ম সংস্থানের সুযোগ করে দেবে রাজ্য সরকার। যার থেকে তাদের প্রতি মাসে খুব কম করে হলেও ৬০০০ টাকা ইনকাম হবে। এমনকি এই প্রকল্পের মাধ্যমে ট্রেনিং চলাকালীন মহিলাদের কাজ শেখানোর জন্য তাদের দিয়ে চরকার মাধ্যমে যে মসলিন সুতোর লাচ্ছি গুলি কাটানো হবে তার দরুন তাদের লাচ্ছি পিছু ৯ টাকা ৩০ পয়সা করে দেওয়া হবে। যার ফলে তাদের কিছুটা হলেও আর্থিক সাহায্য হবে।
কিন্তু নিন্দুকের কাজই তো হল নিন্দা করা। তাই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর এই নতুন উদ্যোগকে একে বারেই ভালো মনে মেনে নিতে পারছেন না বিরোধী পক্ষের দল নেতারা। তারা এই মন্তব্য ই করছেন যে এটাও নাকি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর ভোট কেনার ফাঁদ। কিন্তু বিরোধী পক্ষের এই মিথ্যে মন্তব্যে কান না দিয়ে তিনি এই নতুন প্রকল্প যেমন চালিয়ে যাচ্ছেন তার সঙ্গে সঙ্গে আবার লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে দেওয়া টাকার পরিমাণ ও ৫০০ ও ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০০ ও ২০০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর তার ফলে পশ্চিমবঙ্গের সকল বেকার মহিলারা একসাথে এই দুটো সুবিধা লাভ করে যে খুবই উপকৃত ও সেই সঙ্গে খুবই আনন্দিত ও হবেন তা বলাই বাহুল্য।
এই নতুন প্রকল্পে আবেদন করতে হলে কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে?
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে চালু হওয়া এই নতুন প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর যে সব যোগ্যতা থাকা দরকার সেগুলি হল-
১) আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের একজন স্থায়ী মহিলা নাগরিক হতে হবে।
২) আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় খুবই কম হতে হবে।
৩) আবেদনকারীর নিজের আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ড থাকাটা আবশ্যিক।
৪) আবেদনকারীকে সম্পূর্ণ ভাবে বেকার হতে হবে।
আবেদন কিভাবে করতে হবে?
এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারীকে সে যেই পঞ্চায়েত বা ব্লকের বাসিন্দা সেখানে গিয়ে আবেদন পত্র তুলে নিজের যাবতীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করে আবার সেইখানে গিয়েই জমা দিয়ে আসতে হবে।
কি কি ডকুমেন্টস লাগবে?
আবেদন পত্র জমা দেওয়ার সময় আবেদন পত্রের সঙ্গে যে সব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলি যুক্ত করে জমা দিতে হবে সেগুলি হল-
১) আধার কার্ডের জেরক্স
২) ভোটার কার্ডের জেরক্স
৩) ইনকাম সার্টিফিকেটের জেরক্স
৪) এক বা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ফটো
আবেদন করার শেষ তারিখ:-
এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য কোনো রকম শেষ সময় সীমা ধার্য্য করা হয়নি আপনারা আপনাদের সময় সুবিধা মতো আবেদন করতে পারবেন।