যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থী দীর্ঘদিন ধরে সরকারি চাকরির খোঁজ করছেন এবং যাদের একমাত্র উদ্দেশ্য শিক্ষক হওয়া তাদের সকলের জন্য নতুন করে বিশাল বড় একটি আপডেট বেরিয়ে এলো। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের মুখে ঘোষণা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাইমারি ও হাই স্কুল মিলিয়ে 89 হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে এবং 30 হাজার চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে সরাসরি প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অবশেষে বিরাট বড় একটি ঘোষণা করা হলো যার ফলে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যে জল্পনা চলছিল এবং বেশ কিছুদিন ধরে প্রাইমারিতে নিয়োগের ও হাই স্কুলের নিয়োগের তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছিল অবশেষে সেই নিয়োগের বাস্তবতা প্রমাণিত হলো এবং জানা গিয়েছে খুব দ্রুতই এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণও করে দেওয়া হবে বলা হয়েছে প্রাথমিক এবং এসএসসি শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে।
এর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরো ঘোষণা করেছেন 30 হাজার রেডি করা হয়েছে যাদের শুধুমাত্র 15 দিনের স্কিল ডিপার্টমেন্টের ট্রেনিং এর মাধ্যমেই নিয়োগপত্র হাতে তুলে দেওয়া হবে কোনরকম লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই। যারা যারা পশ্চিমবঙ্গের এটি বিশাল বড় একটি সুখবর।
ইতিমধ্যে আমরা দেখতে পেয়েছি রাজ্যে একের পর এক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মামলা চলছে কোর্টে এবং এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ঘোষণা তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। এদিকে রাজ্য সরকার অস্বস্তিতে রয়েছে একের পর এক সিবিআই তদন্ত ও নিয়োগ সংক্রান্ত তদন্তের ব্যাপারে। অনেকের ধারণায় এইসব দিক থেকে নজর ঘোরানোর জন্যই এই বিরাট নিয়োগের ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে যাই হোক যেই পরিপ্রেক্ষিতেই ঘোষণা করা হোক রাজ্যে খুব দ্রুতই শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে এবং বিরাট সংখ্যক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সরাসরি ৩০ হাজার চাকরিপ্রার্থীরা চাকরি পাবে অর্থাৎ সর্বমোট রাজ্যের লক্ষাধিক কর্মী নিয়োগ করা হবে আগামী কিছুদিনের মধ্যেই।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরো জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের 2 লক্ষ 63 হাজার 970 টিচিং ও নন টিচিং স্টাপ পদে কর্মী নিয়োগ হয়ে গিয়েছে এবং একের পর এক রাজ্যে আরো বিপুল সংখ্যক নিয়োগ হবে যা এর আগে কখনো হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন তার শাসনকালে তিনি 7000 নতুন স্কুল তৈরি করেছেন এবং আরো নতুন নতুন স্কুল ও কলেজ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।
তবে যাই হোক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখের কথা সত্য হলে বেকার চাকরিপ্রার্থীদের মুখে হাসি ফুটবে এবং অনেক বেকার চাকরিপ্রার্থীদের একমাত্র স্বপ্ন হচ্ছে সরকারি চাকরি করা বা শিক্ষকতা করা অবশেষে তাদের স্বপ্ন সত্যি হবে।