কথায় বলে তুমি যদি অধম হও তা হলেও আমি উত্তম হব না কেন? এবারে এই প্রবাদটিরই সত্যতা প্রমাণ করলেন আমাদের রাজ্যের দুই স্বনামধন্য মন্ত্রী মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিম। দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া DA আদায়ের উদ্দেশ্যে আন্দোলনরত রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনের সদস্যদের আন্দোলনের পাল্টা জবাব হিসেবে বকেয়া DA মেটানো নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে তাদেরকে এক সুখবর দিলেন এই দুই মন্ত্রী। কিন্তু কি সুখবর দিলেন তারা? তবে কি অবশেষে সত্যি সত্যিই বেড়ালের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে? এতদিনের এতো আন্দোলন এতো পরিশ্রমের অবসান ঘটিয়ে তবে কি এবারে সম্পূর্ণ বকেয়া DA পেতে চলেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা? এই সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে তবে তার জন্য শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকতে হবে।
রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনের একাংশ দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া DA আদায়ের লক্ষ্যে কলকাতার রাজপথে অবস্থান বিক্ষোভ করে চলেছেন। তাদের দাবি একটাই কেন্দ্রীয় সরকারের হারে DA দিতে হবে। আর যতদিন পর্যন্ত তারা তা না পাচ্ছেন ততদিন পর্যন্ত তারা এভাবেই তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তাদের করা এই আন্দোলনকে ঘিরে সুযোগের সদ্ব্যবহার করছেন এ রাজ্যের বিরোধী পক্ষরা। কখনো বিজেপি কখনো সিপিআইএম কখনো কংগ্রেস আবার কখনো আইএসএফ দলের নেতারা এসে এই আন্দোলনে যুক্ত হচ্ছেন। আর এর ফলে একটাই বিষয় স্পষ্ট ভাবে প্রমানিত হচ্ছে যে রাজ্য কর্মী সংগঠনের সদস্যদের দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে যাওয়া এই আন্দোলনের পিছনে রাজ্যের বিরোধী দল নেতাদের মদত রয়েছে।
চলতি বছরের মার্চে রাজ্য সরকারের বাজেট পেশ হওয়ার পর রাজ্য সরকারি কর্মী ও পেনশন ভোগীদের ৩ শতাংশ DA বৃদ্ধি করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তারা তাতে সন্তুষ্ট নন। আর সেই কারণেই এখনো পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে DA মামলা চলছে। তার পাশাপাশি রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনের একাংশ বার বার নানা ভাবে আন্দোলন, অনশন কর্মসূচি, অবস্থান বিক্ষোভ মিছিল করে চলেছে। গত ৬ ই মে কলকাতার হাজরা মোড়ে হওয়া এমনি এক আন্দোলনে যোগদান করেছিলেন এ রাজ্যের বিজেপি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান সহ আরও বেশ কিছু নেতারা।
ওইদিনেই এই আন্দোলনের পাল্টা জবাব হিসেবে ওই হাজরা মোড়েই তৃণমূল সরকারের পক্ষে থাকা রাজ্য সরকারি কর্মীদের ফ্রেডারেশনের তরফ থেকে এক জনসভার আয়োজন করা হয়। ওই জনসভাতে সেদিন উপস্থিত ছিলেন আমাদের রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেদিনের ওই জনসভায় বক্তৃতা দেওয়া কালীন ফিরহাদ হাকিম জানান যে কেন্দ্রীয় সরকারের তাদের অসহযোগিতা করছে। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারকে তার পাওনা থেকে বঞ্চিত করছে। সেই কারনেই রাজ্য সরকার তার অধীনস্থ কর্মীদের তাদের প্রাপ্য বকেয়া DA মেটাতে পারছে না। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে যদি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের পতন হয় তাহলেই রাজ্য সরকারি কর্মীরা তাদের প্রাপ্য বকেয়া DA সম্পূর্ণ ভাবে পেয়ে যাবেন।
এছাড়াও ওইদিনের ওই জনসভায় দাঁড়িয়ে ব্রাত্য বসু মন্তব্য করেছেন যে, বিরোধী পক্ষরা নাহলে কোন দিনই পাপ পুণ্যের পরোয়া করেন না এটা সকলেরই জানা। কিন্তু রাজ্য সরকারি কর্মীরা তারা কি করে এতটা অকৃতজ্ঞ হয়ে যেতে পারেন? তারা প্রতি মাসে মাসে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে উচ্চ হারে বেতন পান। সুযোগ সুবিধা মতো রাজ্য সরকার মাঝে মধ্যেই তাদের DA বৃদ্ধি করে থাকে। তাতেও কি তাদের মন ভরছে না? আরও বেশি পরিমাণ অর্থ লাভের জন্য তারা দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের কাজ কর্ম বিসর্জন দিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন? তাদের এই ধরনের কার্যকলাপ রাজ্যের সাধারণ মানুষ একেবারেই ভালোভাবে নিচ্ছেন না। মোটের উপর এটাই বোঝা যাচ্ছে যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ফ্রেডারেশনের তরফে এই জনসভা DA আন্দোলনকারীদের পাল্টা জবাব দিতেই আয়োজিত হয়েছিল।
পশ্চিমবঙ্গের প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জন্য রয়েছে বিশাল বড় সুখবর। যারা ২০২২ এ প্রাইমারি টেট…
পশ্চিমবঙ্গ সরকার পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ জনসাধারণের জন্য একের পর এক নতুন নতুন বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প নিয়ে…
খাদ্য দপ্তরের তরফে বিরাট বড় কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জানা গিয়েছে সব…
প্রাইমারি টেট পরীক্ষার্থীর জন্য বিশাল বড় একটি সুখবর। অবশেষে যারা যারা প্রাইমারি টেট পাস করে…
দীপাবলীর আগেই সরকারি কর্মীদের DA ও পেনশন দুটোই দ্বিগুণ বাড়তে চলেছে। সরকারি কর্মী ও পেনশন…
এতদিন পর্যন্ত আমাদের রাজ্যের সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যার…