২০১১ সালে প্রথমবারের মতো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পদ লাভ করার পর থেকে আজ পর্যন্ত তৃনমূল নেত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীদের কল্যানার্থে একের পর এক নতুন নতুন প্রকল্পের সূচনা করে চলেছেন। নয় নয় করে তার উদ্যোগে ও অনুপ্রেরণায় এ রাজ্যে চালু হওয়া মোট জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সংখ্যা ৭০ টিরও বেশি। বাংলার ইতিহাসে তার মতো মুখ্যমন্ত্রীর জুড়ি মেলা ভার। এর আগে এমন কেউ এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসেননি যিনি রাজ্যবাসীর কল্যানের কথা ভেবে এতগুলো প্রকল্প চালু করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চালু হওয়া প্রকল্প গুলির মধ্যে বেশ কিছু প্রকল্প রয়েছে যেগুলির মাধ্যমে রাজ্যের সাধারণ নাগরিকদের আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হয়। আবার এমন কয়েকটি প্রকল্প রয়েছে যেগুলির মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে শুরু করে অন্যান্য পরিষেবা প্রদান করা হয়।
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ও অনুপ্রেরণায় চালু হওয়া প্রকল্প গুলির মধ্যে যে দুটি প্রকল্প সবচাইতে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে সেগুলি হল লক্ষীর ভান্ডার এবং স্বাস্থ্যসাথী। লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের ২৫ উর্ধ্ব বেকার মহিলাদের ৫০০ ও ১,০০০ টাকা করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের সাধারণ নাগরিকদের ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বীমার সুবিধা দেওয়া হয়।
তবে আজ আমরা যে প্রকল্পের বিষয়ে আপনাদের জানাতে চলেছি সেটির সম্পর্কে জানার পর আপনি লক্ষীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথীর কথা ভুলে যাবেন। রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীরা যারা হাজার চেষ্টা করেও চাকরি পাচ্ছেন না তাদের আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর করে তুলতেই মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পটি চালু করেছেন। যার মাধ্যমে বেকার যুবক যুবতীদের ২ লক্ষ টাকা করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
আমাদের রাজ্যে এমন বহু বেকার যুবক যুবতী আছেন যারা চাকরি না পেয়ে ব্যাবসা করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর কথা ভাবছেন। কিন্তু ব্যাবসা শুরু করার জন্য যে পরিমাণ পুঁজির প্রয়োজন তা না থাকার কারণে ব্যাবসা শুরু করতে পারছেন না। তাই ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তায় জর্জরিত হয়ে দিন কাটাচ্ছেন। সেই সকল যুবক যুবতীদের দিকে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল রাজ্য সরকার।
এতক্ষণ ধরে আমরা যে প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলে চলেছি তার নাম হল “কর্মসাথী”। রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীদের ব্যাবসা করার জন্য আর্থিক সাহায্য প্রদানের উদ্দেশ্যেই ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। এই প্রকল্পের আওতায় সহজ কিছু শর্তে বেকার যুবক যুবতীদের ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋন দেওয়া হয়ে থাকে। শুধু তাই নয় এই ঋনের উপর রয়েছে সাবসিডির ব্যাবস্থাও।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঋন পাওয়ার জন্য “কর্মসাথী” প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://karmasathi.wb.gov.in এ গিয়ে সম্পূর্ণ ভাবে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। তবে আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের একজন স্থায়ী নাগরিক হতে হবে। তাছাড়াও যে কোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাস করে থাকতে হবে। এই প্রকল্পের আওতায় আবেদন করার সময় আবেদনকারীকে নিম্নোক্ত ডকুমেন্টস গুলি জমা দিতে হবে। যেমন-
* পরিচয় পত্র হিসেবে আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড।
* মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাসের মার্কসীট ও সার্টিফিকেট।
* বাসস্থানের প্রমান পত্র।
* রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ফটো।
“কর্মসাথী” প্রকল্পে আবেদন করার ক্ষেত্রে কোনো রকম সময়সীমা ধার্য্য করা হয়নি। বেকার যুবক যুবতীরা নিজেদের প্রয়োজনে যখন খুশি আবেদন করতে পারবেন।
MORE NEWS: CLICK HERE