রাজ্যের সকল মা বোনেদের জন্য সুখবর। এ মাস থেকেই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আসতে চলেছে নয়া মোড়। সম্প্রতি বিধানসভায় রাজ্য সরকারের যে বাজেট পেশ অনুষ্ঠানটি হল সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প লক্ষীর ভান্ডার নিয়ে দুটি দুর্দান্ত খুশির খবর জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কি সেই খুশির খবর? লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে এমন কি খুশির খবর জানালেন মুখ্যমন্ত্রী? তাহলে কি কিছুদিন আগে তিনি যে জানিয়েছিলেন খুব শীঘ্রই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মা বোনেদের দেওয়া ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হবে এবারে কি সেটাই সত্যি হতে চলেছে? চিন্তা নেই আর অন্ধকারে থাকতে হবে না। একটু ধৈর্য ধরে আমাদের এই প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন তাহলেই সব পরিষ্কার করে বুঝতে পারবেন।
এ মাস থেকেই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে দেওয়া ভাতার পরিমাণ বাড়াতে চলেছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পকে কেন্দ্র করে দেওয়া এক আপডেট থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে। লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প যেদিন থেকে চালু হয়েছে সেদিন থেকে আমাদের রাজ্যের মা বোনেরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাসিক ৫০০ ও ১০০০ টাকা করে ভাতা পান। তবে এই মাস থেকে তাদের দেওয়া ভাতার পরিমাণ রাজ্য সরকার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ মাস থেকে রাজ্যের বেশ কিছু মহিলা ৫০০ ও ১০০০ টাকার জায়গায় ১০০০ ও ২০০০ টাকা করে পাবেন। তবে এই বর্ধিত পরিমাণ অর্থ যে সবাই পাবেন এমনটা নয়। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই বিষয়ে কিছু বিশেষ শর্ত রাখা হয়েছে। যারা এই শর্তগুলির আওতায় পড়বেন তারাই কেবলমাত্র এ মাস থেকে ১০০০ ও ২০০০ টাকা করে পাবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক যে কারা কারা এই মাস থেকে এই বর্ধিত পরিমাণ অর্থ পেতে চলেছেন।
২০১১ সালে প্রথমবারের মতো মুখ্যমন্ত্রীর পদে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, সবুজ সাথী, খাদ্যসাথীর মতো একের পর এক বহু জনকল্যাণ মূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। আর এইসব প্রকল্প গুলির সান্নিধ্যে এসে পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষ বিভিন্ন রকম ভাবে উপকৃত হয়েছেন। এককথায় বলতে গেলে বলতে হয় পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটিয়ে তাদের সমাজে সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে থাকতে সাহায্য করাই ছিল আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর একমাত্র লক্ষ্য।
কিন্তু তিনি রাজ্যের মানুষের উপকার করার স্বার্থে তাদের ভালো রাখার স্বার্থে যতই নতুন নতুন প্রকল্প চালু করুন না কেন যতই অক্লান্ত পরিশ্রম করুন না কেন এগুলির বিনিময়ে তার কপালে সুনাম তো দূরে থাক উল্টে রাজ্যের অন্যান্য বিরোধী দলের পক্ষ থেকে জুটছে অপমান ও বদনাম। রাজ্যের বিরোধী দলনেতারা প্রতিদিন প্রতিমূহুর্তে বলে চলেছেন যে আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী নাকি রাজ্যের জনগণের জন্য এতসব কিছু করছেন শুধুমাত্র তার নিজের স্বার্থে। তিনি নাকি রাজ্যের মানুষের মাথায় হাত বুলিয়ে তাদের কাছ থেকে ভোট আদায় করার জন্য এই সমস্ত কিছু করছেন।
কিন্তু নিন্দুকের কাজই তো সব সময় নিন্দা করা। তা সে আপনি যত ভালো কাজই করুন না কেন যার কাজ নিন্দা করা সে সব সময় নিন্দাই করবে। কিন্তু সারা জীবন তাদের কথা ধরে বসে থেকে জীবনে ভালো কাজ করা থেকে বিরত থাকলে তো আর চলবে না। আর ঠিক সেই কারনেই আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার পর থেকে আজ পর্যন্ত আরও বেশ কিছু নতুন জনকল্যাণ মূলক প্রকল্প চালু করে চলেছেন। আর সেগুলির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রকল্পটি হল লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প।
দু এক মাস আগেই নবান্নে সংঘটিত হওয়া এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে এবার থেকে রাজ্যের বিধবা মহিলারাও রাজ্যের অন্যান্য মহিলাদের মতোই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তার ফলে তারা বিধবা ভাতার দরুন যেমন মাসিক ৪০০ টাকা করে পান তেমন তো পাবেনই, তার সঙ্গে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের দরুনও জাতিগত অবস্থা অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০০ ও ১০০০ টাকা করে পাবেন। আর তার ফলে তাদের মোট প্রাপ্য ভাতার পরিমাণ হবে ৯০০ ও ১৪০০ টাকা। আর এবার সেটাই সত্যি হতে চলেছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই মাস থেকেই রাজ্যের যেসব বিধবা মহিলারা লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প ও বিধবা ভাতার জন্য একসঙ্গে আবেদন করবেন তাদের মধ্যে জেনারেল ক্যাটাগরির বিধবা মহিলারা ৯০০ টাকা করে এবং সংরক্ষিত ক্যাটাগরির মহিলারা ১৪০০ টাকা করে পাবেন।
এছাড়াও রাজ্যের বিধবা মহিলারা বাদে বাকি যে সব মহিলারা আছেন এবং তাদের মধ্যে যাদের অ্যাকাউন্টে ফেব্রুয়ারি মাসের লক্ষীর ভান্ডারের টাকা জমা পড়েনি তারা এই মার্চ মাসে দু মাসের টাকা এক সঙ্গে পেতে চলেছেন। যার ফলে তাদের মোট প্রাপ্য টাকার পরিমাণ হবে জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলাদের ক্ষেত্রে ১০০০ টাকা এবং সংরক্ষিত ক্যাটাগরির মহিলাদের ক্ষেত্রে ২০০০ টাকা। এই বর্ধিত পরিমাণ অর্থ তারা এই মাসেই পেতে চলেছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।