নারীদের উন্নতির জন্য আমাদের রাজ্য সরকার যেমন অগ্রসর ঠিক তেমনি কেন্দ্র সরকার ও অগ্রসরক হচ্ছে একের পর এক। আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের প্রত্যেকটি মহিলাকে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০০ ও ১০০০ টাকা করে দিচ্ছেন। ঠিক তেমনি এবার থেকে লক্ষী ভান্ডারের পাশাপাশি রাজ্যের নারীদের ১০০০ টাকা করে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকেও পাঠানো হবে। মূলত রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকার বোঝাতে চাইছেন নারীরাও সমাজেরই একটি অংশ এবং তারাও কোন অংশে কম নাই তাই তাদেরও উন্নতি প্রয়োজন এবং তারা সমাজে যাতে ভালোভাবে এবং মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে তার জন্যই এই টাকা প্রদান। আপনি বা আপনার পরিবারের যদি কোন নারী/মহিলা সদস্য থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই বিস্তারিতভাবে এই সুখবরটি জেনে নিতে পারবেন। এই প্রকল্পে আপনারা কিভাবে আবেদন করবেন এবং কিভাবে টাকা পাবেন সমস্ত কিছু নিচে ভালোভাবে উল্লেখ করা রয়েছে।
আমরা দেখতে পাই সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে মহিলাদের নানান অংশের ছোট দেখানো হয় ও তাদের অবহেলা করা হয়। বিভিন্ন কার্যক্রমের শুধুমাত্র পুরুষরাই অংশগ্রহণ করে মহিলাদের বঞ্চিত করে রাখা হয়। বিভিন্ন কুসংস্কারে আচ্ছন্ন হয়ে মহিলাদের সব সময় ছোট দেখানো হয়। এইসব কুসংস্কার ও অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে সমাজকে আলোর দিশা দেখানোর জন্য মহিলাদের অগ্রগতি ও উন্নতি একান্ত প্রয়োজন এই জন্যই রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকার একত্রিতভাবে মহিলাদের উন্নতির জন্য একের পর এক নতুন নতুন প্রকল্প সূচনা করছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে কন্যা সন্তানের জন্মের পর থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রে সমস্ত দায়-দায়িত্ব সরকারের অর্থাৎ সরকারি জন্মের পর থেকে যতদূর পর্যন্ত পড়াশোনা করবে তবে দূর পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে নারীদের টাকা দিয়ে থাকেন। এবারও নারী সমাজের উন্নতির জন্য নতুন করে একটি প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে যেখানে প্রত্যেকটি নারীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
প্রকল্পের নাম: এতক্ষণ ধরে এখানে যে প্রকল্পের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল সে প্রকল্পটির নাম হল বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা।
টাকার মূল্য: এখানে আবেদন করলে মূলত প্রত্যেককেই ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
আবেদনের শর্ত: এখানে আবেদন করতে হলে নিচের দেওয়া শর্তগুলো পালন করতে হবে-
১.প্রথমে আবেদনকারীকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে
২.এই প্রকল্পে আবেদনের জন্য গ্রাম ও শহর এলাকায় পৃথক পৃথক ফর্ম পাওয়া যাবে এবং সেগুলো পূরণ করতে হবে।
৩.এখানে আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর বার্ষিক আয় দরিদ্র সীমার নিচে দেখাতে হয়।
৪.একই পরিবারের দুজন কন্যা/ নারী এই সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
এখানে আবেদন করার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট:
১.বয়সের প্রমাণপত্র
২. পরিচয় পত্র
৩.আধার কার্ড বা রেশন কার্ড
৪. স্থায়ী বাসিন্দার প্রমাণপত্র
৫.এড্রেস প্রুফ
৬. অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
আবেদন পদ্ধতি: এখানে মূলত যারা আবেদন করতে ইচ্ছুক তারা দুভাবে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে এমনকি অফলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন করতে হলে অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য দিয়ে আবেদন পত্রটি পূরণ করে প্রয়োজনীয় যে সমস্ত ডকুমেন্টসের দরকার সেগুলো আপলোড করে ফর্মটি সাবমিট করতে হবে।
এছাড়াও নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্র অথবা হেলথ সেন্টারে গিয়ে সরাসরি আবেদন পত্র জমা করলেও কেন্দ্র সরকারের এই নতুন প্রকল্পের আবেদন সফল হবে এবং আবেদনকারীরা টাকা পেয়ে যাবেন।
আবেদনের ফরম কি করে পাবেন?
এই প্রকল্পে যারা যারা আবেদন করতে ইচ্ছুক তারা তাদের নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার থেকেও আবেদন পত্র সংগ্রহ করতে পারেন।
যারা যারা এই প্রকল্পে আবেদন করতে ইচ্ছুক তারা তাড়াতাড়ি আবেদন করতে পারেন এবং এরকম নতুন নতুন প্রকল্পের আপডেট সবার প্রথমে পেতে আপনারা অবশ্যই আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপ বা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হতে পারেন।
MORE JOB NEWS: CLICK HERE
পশ্চিমবঙ্গের প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জন্য রয়েছে বিশাল বড় সুখবর। যারা ২০২২ এ প্রাইমারি টেট…
পশ্চিমবঙ্গ সরকার পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ জনসাধারণের জন্য একের পর এক নতুন নতুন বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প নিয়ে…
খাদ্য দপ্তরের তরফে বিরাট বড় কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জানা গিয়েছে সব…
প্রাইমারি টেট পরীক্ষার্থীর জন্য বিশাল বড় একটি সুখবর। অবশেষে যারা যারা প্রাইমারি টেট পাস করে…
দীপাবলীর আগেই সরকারি কর্মীদের DA ও পেনশন দুটোই দ্বিগুণ বাড়তে চলেছে। সরকারি কর্মী ও পেনশন…
এতদিন পর্যন্ত আমাদের রাজ্যের সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যার…