শীঘ্রই নতুন এক পে কমিশনের মাধ্যমে এক ধাক্কায় অনেক খানি বেতন বাড়তে চলেছে সকল সরকারি কর্মীদের। ষষ্ঠ পে কমিশন অনুযায়ী সকল সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে দেওয়া ডি.এ এর পরিমাণ ছিল ৩৪%। কিন্তু এই বছর দুর্গা পূজার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে একটি নতুন পেজ কমিশন পাস করে সকল সরকারি কর্মচারীদের বেতন একবারে আরও অনেক খানি বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন এই পে কমিশনের নাম হল সপ্তম পে কমিশন। এই সপ্তম পে কমিশন অনুযায়ী প্রত্যেক সরকারি কর্মচারীরা যারা আগে ষষ্ঠ পে কমিশন অনুযায়ী ৩৪% ডি.এ পেয়েছিলেন তাদের প্রাপ্য ডি.এ এর পরিমাণ আরও ৪% বাড়িয়ে ৩৮% করা হয়েছে। তাই এই সংবাদটি সকল সরকারি কর্মীদের কাছে একটি খুব বড়ো আনন্দের বার্তা বয়ে আনবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
তবে কেন্দ্রীয় সরকার নাহলে কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। সরকারি কর্মচারীদের জন্য তৈরি করা ষষ্ঠ পে কমিশন অনুযায়ী সকল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ৩৪% ডি.এ মিটিয়ে দিয়েছেন আর নতুন যে সপ্তম পে কমিশন পাস করেছেন যেখানে তিনি সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য ডি.এ এর পরিমাণ ৩৪% থেকে বাড়িয়ে ৩৮% করেছেন সেটিও তিনি আগামী নতুন বছরের জুলাই মাস থেকে দেওয়া চালু করবেন বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্ত কেন্দ্রীয় সরকার তো নাহলে তার কর্তব্য অনুযায়ী প্রত্যেক বছর বছর নতুন নতুন পে কমিশন পাস করেছেন। আর সেই অনুযায়ী তার অধীনস্থ যে সব কর্মীরা আছেন অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন প্রত্যেক বছর বছর বাড়িয়ে চলেছেন কিন্তু রাজ্য সরকারি কর্মীদের কি হবে? তাদের যে প্রাপ্য বকেয়া ডি.এ নিয়ে তারা কোট কাচারি করলেন সেটা যে নভেম্বর মাসে দেওয়ার কথা ছিল সেটা তো তারা এখনও পর্যন্ত পেলেন না । আর পাবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তাই এ কথা মানতেই হবে যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের কপাল অনেক গুনে ভালো।
কিন্তু এত সব করেও কোনো ভাবেই সরকারি কর্মীদের মন আর জয় করে উঠতে পারছেন না সরকার। কারন মানুষের ধর্মই হচ্ছে মানুষ যত পায় তত চায়। মানুষের জীবনে চাওয়া পাওয়ার কোনো শেষ নেই। তাই এক ধাক্কায় ডি.এ এর পরিমাণ ৩৪% থেকে লাফিয়ে ৩৮% বেড়ে যাওয়াতেও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেশ মন ভরেনি। তাই সপ্তম পে কমিশন পাস হতে না হতেই তারা আবার যত শীঘ্র সম্ভব অষ্টম পে কমিশন পাস করে বেতন আরও বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন। তবে তা কবে সম্ভব হবে সেটা এখনও স্পষ্ট করে জানায় নি কেন্দ্রীয় সরকার।