২০১৬ সালে প্রাইমারীতে নিযুক্ত হওয়া ৪২ হাজার ৫০০ জন শিক্ষককে যত শীঘ্র সম্ভব চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দেওয়ার জন্য কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাইমারীতে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির শিকার হওয়া কিছু চাকরিপ্রার্থীর হাইকোর্টে করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার যে শুনানি হওয়ার কথা ছিল সেই শুনানিতে অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে তিনি একথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এরূপ মন্তব্য ও প্রকাশ করেছেন যে অবিলম্বে এই প্রাইমারী শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে সমস্ত দুর্নীতি বন্ধ করা না হলে এরপর নাকি তিনি ঢাকি সমেত বিদায় করে দেবেন।
২০১৪ সালের প্রাইমারী টেট এর ফলাফল অনুযায়ী এই পর্যন্ত দুবার অর্থাৎ ২০১৬ সালে ৪২ হাজার জনকে এবং ২০২০ সালে ১৬ হাজার ৫০০ জনকে প্রাইমারী শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু এমন বহু চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন যারা খুব ভালো পরীক্ষা দেওয়া সত্ত্বেও নিয়োগ তালিকায় তাদের নাম আসেনি। তাদেরই মধ্যে থেকে ১৪০ জন চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে কেন ভালো পরীক্ষা দেওয়া সত্ত্বেও তাদের নাম নিয়োগ তালিকায় কেন নেই সেই বিষয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে জানতে চাইলে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে তারা কোনো রকম D.Ed বা D.El.Ed প্রশিক্ষণ ছাড়াই প্রাইমারী টেট পরীক্ষা দিয়েছেন বলে নাকি তাদের নাম নিয়োগ তালিকায় তোলা হয়নি।
আর এই কথা শোনা মাত্রই তারা অবাক হয়ে যান সাথে সাথে প্রচন্ড রেগেও যান। তারা তখন স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে আদালতে এই প্রশ্ন তোলেন যে সেই সময়ের নিয়ম অনুযায়ী D.Ed বা D.El.Ed প্রশিক্ষণ না নেওয়া প্রার্থীদের ও চাকরিতে নিয়োগ করা হতো। এমনকি সেই সময় বিনা প্রশিক্ষণে টেট পরীক্ষা দেওয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৩২ হাজার জন ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পত্রও পেয়েছেন। তাহলে তারা কি দোষ করেছেন? যে ভালো পরীক্ষা দেওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র প্রশিক্ষণ নেওয়া নেই বলে তাদেরকে নিয়োগ পত্র দেওয়া হল না। তারা আরও বলেন যে এমন অনেক পরীক্ষার্থী কে নাকি ২০১৬ সালে নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছিল যারা মামলাকারী প্রার্থীদের থেকে কম নম্বর পেয়েছেন।
মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে করা এইসব দুর্নীতির অভিযোগ গুলি শুনে গতকাল হাইকোর্টে প্রাইমারী টেট মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত হওয়া শুনানিতে সেখানকার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে এই হুঁশিয়ারি ই দেন যে কিছু দিনের মধ্যেই ২০১৬ সালে দুর্নীতিগত ভাবে নিয়োগ পত্র পেয়ে প্রাইমারী শিক্ষক পদে নিযুক্ত হওয়া ৪২ হাজার ৫০০ জন শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত না করে দিলে এরপর তিনি ঢাকি সমেত বিদায় করে দেবেন। সেই সঙ্গে তিনি মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীদের এই নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে আরও কিছু তথ্য পেশ করার নির্দেশ ও দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে আগামী ১৬ ই ডিসেম্বর পরবর্তী মামলার শুনানি হবে সেখানে তিনি মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীদের টেট দুর্নীতির বিরুদ্ধে জোগাড় করা আরো সব তথ্য গুলি যাচাই করে দেখে সেই অনুযায়ী রায় দেবেন যে মোট কতজনকে প্রাইমারী শিক্ষক পদ থেকে বরখাস্ত করা হবে। আর গতকাল বিচারপতির দেওয়া এই রায় শুনে প্রতিটি দুর্নীতি গত ভাবে প্রাইমারী শিক্ষক পদে নিযুক্ত হওয়া চাকুরিজীবী যে এই মুহূর্তে চাকরি চলে যাওয়ার চরম আশঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তা বলাই বাহুল্য।
পশ্চিমবঙ্গের প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জন্য রয়েছে বিশাল বড় সুখবর। যারা ২০২২ এ প্রাইমারি টেট…
পশ্চিমবঙ্গ সরকার পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ জনসাধারণের জন্য একের পর এক নতুন নতুন বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প নিয়ে…
খাদ্য দপ্তরের তরফে বিরাট বড় কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জানা গিয়েছে সব…
প্রাইমারি টেট পরীক্ষার্থীর জন্য বিশাল বড় একটি সুখবর। অবশেষে যারা যারা প্রাইমারি টেট পাস করে…
দীপাবলীর আগেই সরকারি কর্মীদের DA ও পেনশন দুটোই দ্বিগুণ বাড়তে চলেছে। সরকারি কর্মী ও পেনশন…
এতদিন পর্যন্ত আমাদের রাজ্যের সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যার…