সরকারি চাকরি হোক বা বেসরকারি চাকরি বেশ কিছু বছর ধরে আমাদের দেশে চাকরির হাল বেশ শোচনীয়। যার যত ডিগ্ৰিই থাকুক না কেন সবই আজ বৃথা। স্থায়ী পদে চাকরি পাওয়া তো দূরের কথা একটা চুক্তি ভিত্তিক চাকরি পাওয়ার জন্যেও হাজার হাজার বেকার চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে চলছে প্রতিযোগিতার লড়াই। এর কারন একটাই আর তা হল চাকরির সুযোগ কম আর বেকারের সংখ্যা বেশি। আর সেই কারণেই দিনে দিনে আমাদের দেশ তথা রাজ্যে বেকারত্বের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। তার মধ্যে আবার গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে মূল্যবৃদ্ধি। এহেন পরিস্থিতিতে বেকারদের চরম সমস্যা হওয়াটা তো স্বাভাবিক এমনকি সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যারা চাকরি করেন তারা মাসের শেষে যা বেতন পান তা দিয়ে এই অগ্নিমূল্যের বাজারে সংসার চালাতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন। তাই এইরূপ পরিস্থিতিতে নিজেদের আর্থিক ভিত মজবুত করার একমাত্র উপায় হচ্ছে সৎপথে যে কোনো লাভজনক ব্যাবসা করা।
তবে যে কোনো ব্যাবসা শুরু করতে হলেই সবার যেটা প্রয়োজন তা হল একটা মোটা অংকের মূলধন বা পুঁজি। আর এই মূলধনের অভাবেই অনেকের ব্যাবসা করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন সারা জীবন স্বপ্ন হয়েই থেকে যায়। তা কোনো দিনও বাস্তব রূপ পায়না। তবে আজ আমরা এমন এক ব্যাবসার কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চলেছি তা শুরু করতে হলে আপনাকে খুব বেশি অর্থ ব্যায় করতে হবে না। খুব সামান্য পরিমাণ অর্থ ব্যায় করে আপনি এই ব্যাবসাটি শুরু করতে পারবেন এবং সেখান থেকে কেবল স্বচ্ছলভাবে সংসার চালানোর খরচই নয় বরং কয়েক বছরের মধ্যেই আপনি লাখপতি বা কোটিপতি হয়ে উঠতে পারবেন। তাহলে আর অযথা বিলম্ব না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক কি সেই ব্যাবসা।
সুপ্রাচীন কাল থেকে শুরু করে বর্তমান কালেও সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যে একটা রীতি বংশ পরম্পরায় চলেই আসছে, আর তা হল সকাল সন্ধ্যা চা পানের রীতি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই চা না পান করলে যেন দিনটা শুরুই হয় না। সেই কারণেই অন্যান্য জিনিসের তুলনায় সারা বিশ্বে চা এর চাহিদা খুব বেশি। তাই যে সকল বেকার চাকরিপ্রার্থীরা হাজার চেষ্টা করেও চাকরি জোগাড় করে উঠতে পারছেন না তারা ভবিষ্যতের চিন্তা এতটুকুও ভেঙে না পড়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুরু করুন এই চায়ের ব্যাবসা। শুধুমাত্র বেকার চাকরিপ্রার্থীরাই নন কর্মজীবীরাও সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে শুরু করতে পারেন এই চায়ের ব্যাবসা। মাত্র ৫,০০০ টাকা ব্যায় করে এই ব্যাবসা শুরু করে তা থেকে আপনি প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
শুধুমাত্র আমাদের দেশেই নয় সারা বিশ্বে দার্জিলিং চা ও আসাম চা এর জগৎ জোড়া খ্যাতি রয়েছে। আর হবে নাই বা কেন? স্বাদে ও সুগন্ধে এই দুই জায়গার চা অতুলনীয়। এই দুই জায়গার চা এর কেজি প্রতি মূল্য ১৪০-১৮০ টাকার মধ্যে। ফলে এই ১৪০-১৮০ টাকা কেজি প্রতি দরে এই দুই প্রকার চা ক্রয় করে আপনি বাজারে তা অনায়াসেই ২০০-৩০০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রয় করতে পারবেন। এই ব্যাবসা আপনি দুই রকম ভাবে করতে পারবেন। প্রথমটি হল খুচরা দরে এবং দ্বিতীয়টি হল পাইকারি দরে। তবে যে ভাবেই বিক্রয় করুন না কেন মাত্র ৫,০০০ টাকা দিয়ে এই ব্যাবসা শুরু করে প্রতি মাসে আপনি ২০,০০০ টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
তাহলে আর অপেক্ষা কিসের? নিজের কাছে বা নিজের পরিবারের কাছে এই ৫,০০০ টাকা থাকলে ভালো, আর না থাকলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হয়। সেই রকমই যে কোনো একটি প্রকল্প থেকে এই ৫,০০০ টাকা ঋণ নিয়ে যত শীঘ্র সম্ভব শুরু করে দিন এই ব্যাবসা। আর কয়েক বছরের মধ্যেই হয়ে উঠুন লাখপতি।
MORE NEWS: CLICK HERE