সংসার ধর্ম পালন করার জন্য সকলকেই অর্থ উপার্জন করতে হয়। তবে সেই অর্থ উপার্জনের একমাত্র রাস্তা যে চাকরি এমনটা একেবারেই নয়। ব্যাবসা করেও সংসারের হাল ধরা যায়। শুধু তাই নয় কোনো ব্যাবসা আপনি যদি মন দিয়ে ধৈর্য ধরে করতে পারেন তাহলে সেই ব্যাবসা করে ভবিষ্যতে আপনি বাড়ি, গাড়ি, মোটা ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স পর্যন্ত করতে পারবেন। এমন দৃষ্টান্ত বিশ্বের ইতিহাসে অজস্র রয়েছে। তবে হ্যাঁ চাকরি ও ব্যাবসার মধ্যে তফাৎ একটাই, চাকরি পেতে হলে কোনো রকম অর্থ বিনিয়োগ করতে হয় না কিন্তু ব্যাবসা শুরু করতে হলে তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ মূলধন অবশ্যই থাকতে হবে। তা না হলে কোনো ব্যাবসা শুরু করা যাবে না। আর তাই এই প্রয়োজনীয় মূলধনের অভাবেই অনেকে ব্যাবসা করার ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও তা করতে পারেন না। তবে আজ আমরা এমন এক ব্যাবসার ধারনা আপনাদের দেবো যেখানে খুব অল্প খরচে আপনি লক্ষ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। তাই আপনি যদি একজন বেকার হয়ে থাকেন এবং বার বার চাকরির চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়ে থাকেন তাহলে আর অযথা চাকরির আশায় বসে না থেকে যত শীঘ্র সম্ভব এই ব্যাবসা শুরু করে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে সংসার প্রতিপালন করতে পারেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এই ব্যাবসার সন্বন্ধে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
এখন আমরা যে ব্যাবসার বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে চলেছি তা কোনো বাজার থেকে কেনা দ্রব্য বিক্রয়ের ব্যাবসা নয়। এই হল উৎপাদন ভিত্তিক ব্যাবসা। আমাদের দেশে উৎপাদিত এমন এক ধরনের মূল্যবান ফসল রয়েছে যা বছরে ৩ থেকে ৪ বার ফলানো যায়। সবথেকে বড়ো কথা হল এই ফসল ফলানোর জন্য খুব একটা বেশি অর্থ ব্যায় করতে হয় না। খুব স্বল্প পরিমাণ অর্থ ব্যায় করে এই ফসল ফলিয়ে তা বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।
যে উৎপাদন ভিত্তিক ব্যাবসার বিষয়ে আমরা আপনাদের জানাতে চলেছি তা হল বেবি কর্ন এর ব্যাবসা। ধান, গম, জোয়ার, বাজরা, এগুলির মতো এই বেবি কর্নও অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাদ্য শস্য। সেই কারণেই সাম্প্রতিককালে এর চাহিদা খুব বেশি। দেশ বিদেশের বড়ো বড়ো রেস্টুরেন্ট, ক্যাফেটেরিয়া গুলিতে এই বেবি কর্ন এর বিপুল চাহিদা রয়েছে। এই বেবি কর্ন আসলে বিশেষ কিছুই নয় এ হল অপরিপক্ক ভুট্টা দানা। এই ভুট্টা চাষ করতে খুব একটা বেশি পরিমাণ জায়গার প্রয়োজন পড়ে না এমনকি খুব বেশি পরিমাণ অর্থও এর জন্য ব্যায় করতে হয় না। তাহলে এবারে জেনে নেওয়ার পালা যে কিভাবে এই ভুট্টা চাষ করতে হবে এবং কিভাবে তার থেকে উপার্জন করা যাবে?
আপনার নিজের বাড়িতে বা বাড়ির আশেপাশে যদি সামান্য পরিমাণে হলেও নিজস্ব জমি থাকে তাহলে সেই জমিতেই আপনি খুব সহজেই এই ভুট্টা চাষ করতে পারবেন। এই ভুট্টা চাষের কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। সারা বছর ধরেই চাষ করা যায়। শুধু তাই নয় বছরে ৩ থেকে ৪ বার আপনি ভুট্টা চাষ করতে পারেন। এবং বীজ বপন করার দিন থেকে শুরু করে ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে আপনি ফসল কেটে নিতে পারবেন। আর সেই কারণেই এই ভুট্টা বা বেবি কর্ন চাষের ব্যাবসাটি সবচাইতে বেশি লাভজনক ব্যবসা।
এবারে আসি খরচ প্রসঙ্গে, মাত্র ১৫ হাজার টাকা ব্যায় করে আপনি বছরে ৩ থেকে ৪ বার এই ভুট্টা চাষ করে তা রপ্তানি করে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এই ভুট্টার যে শুধুমাত্র ফল টাই বিক্রি করা যায় তা নয়। এই ভুট্টার আঁটি গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে ব্যাবহৃত হয়। এমনকি এই ভুট্টার শুকনো আঁটি অনেকে জ্বালানির কাজে ব্যাবহার করে থাকেন। তাই সব দিক থেকেই এই ভুট্টা চাষের ব্যাবসা লাভজনক। স্বল্প ব্যয়ে অতি দ্রুত অধিক লাভ অর্জনের উপযুক্ত পথ। তাই আর বিলম্ব না করে যত শীঘ্র সম্ভব শুরু করে দিন ভুট্টা চাষের ব্যাবসা আর লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জনের পথ প্রশস্ত করুন সহজেই।
MORE NEWS: CLICK HERE