1 লক্ষ 20 হাজার টাকা করে পাবেন সকলেই, শুরু হলো টাকা দেওয়া ও নতুন করে আবারো আবেদন | WB Bangla Awas Yojona Apply Now

 

রাজ্য সরকারের নতুন একটি প্রকল্প যেখানে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা দেওয়া হয় সাধারণ জনসাধারণকে। এমতাবস্তায় রাজ্যের নতুন করে আবারো বাংলা আবাস যোজনার আবেদন প্রক্রিয়ার শুরু হয়েছে এবং যারা আগে আবেদন করে রেখেছে তাদের টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সেই সকল দরিদ্র শ্রেণীর নাগরিক যারা অনেকদিন আগেই বাংলা আবাস যোজনার জন্য আবেদন করেছিলেন কিন্তু এখনও পর্যন্ত অ্যাকাউন্টে এই আবাস যোজনার মাধ্যমে প্রাপ্য টাকা জমা পড়েনি তাদের জন্য সুখবর। দীর্ঘ ৮ মাস যাবৎ পশ্চিমবঙ্গে বাংলা আবাস যোজনার টাকা পাওয়া নিয়ে খুবই অসুবিধা দেখা দিয়েছিল। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের অভিযোগ যে কেন্দ্রীয় সরকার নাকি এই যোজনার জন্য বরাদ্দ অর্থ গত ৮ মাস ধরে  রাজ্য সরকারকে পাঠাচ্ছে না। আর সেই কারণেই নাকি এইরুপ সমস্যা দেখা দিচ্ছে। রাজ্যের দরিদ্র শ্রেণীর নাগরিকেরা যারা মাথার উপর একটা স্থায়ী ছাদ বানানোর জন্য অনেক আশা নিয়ে এই যোজনায় আবেদন করেছিলেন তাদেরকে তাদের প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। তবে আর চিন্তার কোনো কারণ নেই। কারন চলতি বছরের পঞ্চায়েত ভোটের আগেই কেন্দ্রীয় সরকার বাংলা আবাস যোজনার জন্য বরাদ্দ ৮,২০০ কোটি টাকা রাজ্য সরকারকে পাঠিয়ে দিয়েছে। তাই খুব শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গের বাংলা আবাস যোজনার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকা প্রতিটি দরিদ্র শ্রেণীর নাগরিকের অ্যাকাউন্টে খুব শীঘ্রই এই যোজনার মাধ্যমে প্রাপ্য টাকা জমা পড়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও যারা এখনো পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় আসেননি এবং যারা এখনো আবেদন করেননি তাদের জন্য নতুন করে বিশাল বড় সুখবর কারণ তারাও নতুন করে আবারো আবেদন জানানোর সুযোগ পাবেন এখানে।

গ্রাম বাংলা থেকে শুরু করে পৌর এলাকার সকল বাসিন্দারাই এই প্রকল্পের আওতায় টাকা পেয়ে যাবেন। বেশ কয়েকটি কিস্তির মাধ্যমে এখানে সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানো হয়। এখানে আবেদন করার পরে আপনার নাম নথিভুক্ত করা হবে এবং পরবর্তীকালে উপরে সরকারি দপ্তর থেকে আপনার বাড়িতে ইনকোয়ারি আসবে এবং সেখান থেকে যাচাই করে আপনার নামটি এপ্রুভ করা হবে এবং যাদের নাম approve হয়ে যাবে তারাই এই প্রকল্পের আওতায় টাকা পেয়ে যাবেন।

      আমাদের রাজ্যের এখনও পর্যন্ত এমন অনেক মানুষ আছেন যাদের মাথার উপর কোনো ছাদ নেই, অন্যের বাড়িতে ভাড়া করে থাকতে হয় আর এর কারণ হল তাদের আর্থিক অক্ষমতা। আর যাও বা তাদের মধ্যে কারো কারো নিজস্ব ঘর আছে সেগুলো দীর্ঘ দিন ধরে ব্যাবহারের ফলে ভেঙে চুরে গিয়ে বাসস্থানের অযোগ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই সমস্ত মানুষ আবার এই প্রকল্পের মাধ্যমে শান্তিতে ও সুরক্ষিত ভাবে বেঁচে থাকতে পারবেন। এক কথায় বলা যায় তাদের একটি স্থায়ী ও সুরক্ষিত ঠিকানা তৈরি করে দেয়াই হল আমাদের কেন্দ্রীয় সরকারের মূল উদ্দেশ্য। তবে এক রাজনৈতিক গোলযোগের কারণে দীর্ঘ কিছু মাস যাবৎ এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত ছিলেন আমাদের রাজ্যের বহু দরিদ্র নাগরিক। আর এর পিছনে কারণ হল একটাই এবং তা হল যেহেতু এই আবাস যোজনা টি আমাদের দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চালু করেছিলেন তাই প্রথমে এই যোজনার নাম ছিল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। কিন্তু পরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হাতে এই যোজনা পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে দেওয়ায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই যোজনার নাম প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে বদলে রাখে বাংলা আবাস যোজনা। আর ঠিক সেই কারনেই কেন্দ্রীয় সরকার এতটাই ক্ষুব্ধ হয়ে যান যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এই প্রকল্পের দরুন টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেয়। কেন্দ্রীয় সরকার সাফ জানিয়ে দেয় যে বাংলায় যদি এই যোজনা চালাতেই হয় তবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নামেই চালাতে হবে, তবেই কেন্দ্রীয় সরকার এই যোজনা চালানোর জন্য রাজ্য সরকারকে অর্থ সাহায্য করবে নচেৎ নয়।

         তবে তাই হোক এতসব কিছুর পরেও স্বতির বিষয় একটাই যে এই বছর পঞ্চায়েত ভোটের আগেই কেন্দ্রীয় সরকার এই আবাস যোজনা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ৮,২০০ কোটি টাকা রাজ্য সরকারকে পাঠিয়ে দিয়েছে। ফলে আর কিছু দিনের মধ্যেই এই যোজনার অন্তর্ভুক্ত পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি দরিদ্র পরিবারের অ্যাকাউন্টে এই যোজনার মাধ্যমে প্রাপ্য ১লক্ষ ২০ হাজার টাকার প্রথম কিস্তির টাকা সরকারের তরফ থেকে ট্রান্সফার করে দেওয়া হবে বলে সম্পূর্ণ রুপে আশা করা হচ্ছে।


যারা নতুন করে আবেদন জানাতে চান তারা সরাসরি অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন জানাতে পারবে এছাড়াও অনেক সময় রাজ্য সরকার কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে স্কিম আছে এবং সেই অনুযায়ী গ্রাম পঞ্চায়েত বা পৌরসভা থেকে নাম সংগ্রহ করা হয় সেই সময় আপনার নাম সেই তালিকায় নথিভুক্ত করে দিলেও আপনি এই প্রকল্পের আওতায় টাকা পেয়ে যাবেন।

MORE JOB NEWS: CLICK HERE

চাকরির সম্বন্ধীয় আরো বিস্তারিত খবরা খবর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল যুক্ত হন।
TELRGRAM CHANNEL:  CLICK HERE

Leave a Comment