2 ডিসেম্বর সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক |
2017 তে ফরম ফিলাপ করেছে প্রায় আড়াই লক্ষ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থী , কিন্তু তিন বছর পার হয়ে যাওয়ার পরেও তাদের এখনো চাকরির কোন নাম গন্ধ নেই অর্থাৎ তাদের এখনো পরীক্ষা পর্যন্ত নেওয়া হয়নি । ইতিমধ্যে আবার 2014 তে যারা টেট পাস করেছিল তাদের একবার নিয়োগ হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও দ্বিতীয়বার আবার তাদের 16500 নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য সরকার।
একটা নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরেও দ্বিতীয়বার আবার কি করে সেটার নিয়োগ হয় অর্থাৎ যারা ইন্টারভিউ এ ফেল গিয়েছিল তাদের আবার কি করে দ্বিতীয়বার চাকরিতে নিয়োগ করা হবে সেই ব্যাপারে 2017 তে যারা ফর্ম ফিলআপ করেছিলো তারা বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে 2রা ডিসেম্বর।এই উদ্দেশ্যে 2017 সালে আবেদন করা চাকরিপ্রার্থীরা এপিসি ভবন অভিযান ও বিকাশ ভবন অভিযানের সামিল হবেন।
সরকার এইসব চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে ছেলে খেলা করছে । এদের আবেদন করিয়ে রেখেছে 2017 সালে এবং 2020 সাল পার হয়ে যাচ্ছে । তিন বছর পার হয়ে চার বছরে পা দিচ্ছে। কিন্তু এদের এখনো পরীক্ষায় নেওয়া হচ্ছে না তাই এই সরকারের ভুলভ্রান্তি ও গাফিলতির বিরুদ্ধে আন্দোলন হচ্ছে।
এখন যদি 16 হাজার 500 জন চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগ করা হয় তাহলে যারা 2017 তে ফরম ফিলাপ করেছিল তাদের পরীক্ষা নেওয়ার পরে কি করে আবার তাদের প্রাইমারি চাকরিতে নিয়োগ করা হবে । যেখানে প্রতি চার থেকে পাঁচ বছর অন্তর অন্তর প্রাইমারি পরীক্ষা হচ্ছে সেখানে এতগুলো ভ্যাকেন্সি নিয়োগ করার পরে আবার নতুন করে ভ্যাকেন্সি নিয়োগ করবে খুব শীঘ্রই এটা কোনমতে মানা যায় না।তাই সরকারের এইসব ভুলভ্রান্তি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হতে ডাক দিয়েছেন 2017 তে আবেদন করা চাকরিপ্রার্থীরা 2 ডিসেম্বর।এখন দেখার বিষয় এই বৃহত্তর আন্দোলনের পরেও কি সরকার তার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন নাকি ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে তিনি আবার পুনরায় নতুন করে 2017 তে আবেদন করা চাকরিপ্রার্থীদের পরীক্ষা নিয়ে খুব শীঘ্রই নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
আন্দোলন করে খুব একটা লাভ হবে না মনে হয়। এই সরকারের কোনও Rules নেই। যখন যা ইচ্ছে তা করছে। এই সরকার কে উল্টে দেওয়া উচিত।