বিরাট সুখবর! সারা দেশের প্রতিটি প্রান্তের বেকার চাকরিপ্রার্থীদের জন্য আজ ফের বিপুল সংখ্যক শূন্যপদে কর্মী নিয়োগের এক সুসংবাদ নিয়ে হাজির হয়েছি আমরা। আর তা হল এই যে সারা দেশব্যাপী ICDS বা অঙ্গনওয়াড়ী প্রকল্পের আওতায় হাজার হাজার শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ হতে চলেছে। সারা ভারতের যে কোনো প্রান্ত থেকে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকল বেকার চাকরিপ্রার্থীরা এখানে আবেদন করতে পারবেন। তবে দেশের মহিলাদের কাছে এই নিয়োগের খবরটি যে একটু বেশিই আনন্দের হবে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। নীচে এই নিয়োগ সম্পর্কিত যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলি বিশ্লেষণ করা হল।
শূন্যপদ সংক্রান্ত বিবরণ
শূন্যপদ গুলির নাম:-
এই নিয়োগের বিষয়ে সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে যে, এই নিয়োগ কার্যের মাধ্যমে সারা দেশ জুড়ে অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ী সহায়িকা ও অঙ্গনওয়াড়ী সুপারভাইজার পদে কর্মী নিয়োগ করা হবে।
প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা:-
এক্ষেত্রে অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী পদে চাকরির জন্য আবেদন জানাতে হলে চাকরিপ্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে যে কোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে মাধ্যমিক পাস।
অঙ্গনওয়াড়ী সহায়িকা পদে আবেদন জানাতে হলে চাকরিপ্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে যে কোনো সরকারি স্কুল থেকে কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণী পাস।
এবং অঙ্গনওয়াড়ী সুপারভাইজার পদে আবেদন জানাতে হলে চাকরিপ্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে যে কোনো স্বীকৃত ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি পাস।
উপরিউক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা গুলি ছাড়াও উল্লেখ্য প্রতিটি পদের ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে যে যোগ্যতাটি থাকা আবশ্যিক তা হচ্ছে, যে কোনো ধরনের সামাজিক কাজ বা শিশু কল্যাণ বিভাগের অধীনে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পুষ্টি সংক্রান্ত বিষয়ে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়সের মাপদন্ড:-
এখানে উল্লেখ্য প্রতিটি পদের জন্যেই আবেদনের ক্ষেত্রে বয়সের মাপদন্ড স্থির করা হয়েছে ১৮-৪৫ বছরের মধ্যে।
বেতনের পরিমাণ:-
কোন পদের জন্য নিযুক্ত কর্মীদের কত টাকা করে বেতন দেওয়া হবে সেই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তরফে নির্দিষ্ট ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বেতন শুরু হচ্ছে ২৫,০০০ টাকা থেকে। এবং পরে তার ধীরে ধীরে বেড়ে ৩৫,০০০ টাকা পর্যন্ত হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া:-
এখানে উল্লেখিত শূন্যপদ গুলিতে চাকরির জন্য আবেদন করতে ইচ্ছুক ও যোগ্য প্রার্থীদেরকে সম্পূর্ণ ভাবে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। তার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গুলি অনুসরণ করতে হবে-
১) প্রথমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.wcd.nic.in এ প্রবেশ করতে হবে।
২) তারপর সেখানে নিজের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, জেন্ডার, জন্ম তারিখ, ঠিকানা, একটি বৈধ ইমেল আইডি ও ফোন নাম্বার ইত্যাদি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন অর্থাৎ ফর্ম ফিলাপ করতে হবে।
৩) সবশেষে যাবতীয় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস স্ক্যান করে আপলোড করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করলেই আবেদন প্রক্রিয়া শেষ।
৪) আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আবেদন পত্রের এক কপি প্রিন্ট আউট বের করে রেখে দিতে হবে।
প্রয়োজনীয় নথীপত্র:-
আবেদন করার সময় যে সব প্রয়োজনীয় প্রমান পত্র গুলি আপলোড করতে হবে সেগুলি হল-
১) রাজ্য তথা দেশের স্থায়ী বাসিন্দার প্রমান পত্র হিসেবে আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড।
২) বাসস্থানের প্রমান পত্র হিসেবে পঞ্চায়েত প্রদত্ত রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট।
৩) মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক ডিগ্রি পাসের মার্কসীট ও সার্টিফিকেট।
৪) কাস্ট সার্টিফিকেট যদি থাকে।
৫) কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট।
৬) রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ফটো ও আবেদনকারীর নিজের সিগনেচার।
নির্বাচন প্রক্রিয়া:-
আবেদনকারী প্রার্থীদের মধ্যে থেকে যোগ্য প্রার্থীদেরকে কি পদ্ধতিতে চাকরিতে নিয়োগ করা হবে সেই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।
আবেদনের সময়সীমা:-
আবেদন পত্র জমা নেওয়া কবে থেকে শুরু হবে ও কতদিন পর্যন্ত চলবে সেই বিষয়ে ও এখনো পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি । তবে খুব শীঘ্রই তা শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জন্য রয়েছে বিশাল বড় সুখবর। যারা ২০২২ এ প্রাইমারি টেট…
পশ্চিমবঙ্গ সরকার পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ জনসাধারণের জন্য একের পর এক নতুন নতুন বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প নিয়ে…
খাদ্য দপ্তরের তরফে বিরাট বড় কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জানা গিয়েছে সব…
প্রাইমারি টেট পরীক্ষার্থীর জন্য বিশাল বড় একটি সুখবর। অবশেষে যারা যারা প্রাইমারি টেট পাস করে…
দীপাবলীর আগেই সরকারি কর্মীদের DA ও পেনশন দুটোই দ্বিগুণ বাড়তে চলেছে। সরকারি কর্মী ও পেনশন…
এতদিন পর্যন্ত আমাদের রাজ্যের সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যার…