পশ্চিমবঙ্গের অর্থ দপ্তরসহ আরও 23 টি দপ্তরে 50 এর বেশি পরামর্শদাতার প্রয়োজন। যদি আপনি যে কোন ডিপার্টমেন্টে পরামর্শদাতা হিসেবে যদি নিযুক্ত হন তাহলে আপনাকে প্রচুর বেতন দেওয়া হয়। বর্তমানে অর্থ দফতরের দায়িত্ব রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের হাতে তবুও অর্থ দপ্তরের প্রধান পরামর্শদাতা হিসেবে রয়েছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। এই পরিস্থিতিতে অর্থ দপ্তরের বাইরে থেকেও আরো পরামর্শদাতার নিযুক্ত করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।
তবে নবান্ন থেকে যতটা জানা যাচ্ছে শুধু অর্থ দপ্তরের নয়, রাজ্যের আরো প্রচুর দপ্তরে পরামর্শদাতার প্রয়োজন। অর্থ ও শিল্প ছাড়াও যেসব দপ্তরে কর্মী নিয়োগ করা হবে সেগুলির মধ্যে হলো- শিল্প, পঞ্চায়েত, পুরো ও নগর উন্নয়নের মতো দপ্তরেও প্রচুর পরামর্শদাতা নিয়োগ করা হবে বাইরে থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে নবান্ন সূত্র অনুযায়ী। যতদূর জানা যাচ্ছে বিভিন্ন দপ্তরে বিশেষ করে রাজ্যের প্রায় 23 টি দপ্তরে সর্বমোট 50 জনের মত পরামর্শদাতা হিসেবে কর্মী নিয়োগ করা হবে। এখানে যাদের পরামর্শদাতা হিসেবে নিযুক্ত করা হবে তাদের বিশেষ সচিব পদের সমতুল্য মর্যাদা দেওয়া হবে ও তাদের প্রচুর সম্মান দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পরে তার একমাত্র লক্ষ হয়েছে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা। এদিকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার আবার নতুন নতুন সামাজিক প্রকল্প চালু করায় রাজ্যের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে বাইরে থেকে পরামর্শদাতা নিয়োগের বিশেষ প্রয়োজন।
যতদূর জানা যাচ্ছে শুধুমাত্র অর্থ দপ্তরের দুজন পরামর্শদাতা নিয়োগ করা হবে একজন টেক্স অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা কর ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পরামর্শ দাতা হিসাবে নিয়োগ করা হবে অন্য জনকে নিয়োগ করা হবে পাবলিক ফিনান্স পরামর্শদাতা হিসেবে। এছাড়াও আরও বিভিন্ন দপ্তরে কর্মী নিয়োগ করা হবে এর মধ্যেই শিল্প দপ্তরে একজন বাইরে থেকে পরামর্শদাতার প্রয়োজন। শিল্পের উন্নয়ন ও বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্যই এই পরামর্শদাতা নিয়োগ করা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
অর্থ দফতর ও শিল্প দপ্তর ছাড়াও রাজ্যের আরো যেসব দপ্তরে এই পরামর্শদাতার নিয়োগ করা হবে সেগুলি হল –
- কারিগরি শিক্ষা দপ্তর
- জলসম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দপ্তর
- বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর
- নারী-শিশু ও সমাজকল্যাণ দপ্তর
- মৎস্য দপ্তর
- পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর
- জনস্বাস্থ্য কারিগরি
- পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর
- পূর্ত দপ্তর
- পরিবহণ দপ্তর
- সেচ দপ্তর
- শ্রম দপ্তর
- তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তর
- কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দপ্তর
- উন্নয়ন দপ্তর
- খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তর
- স্কুলশিক্ষা দপ্তর
- উচ্চশিক্ষা দপ্তর
- তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর
- পর্যটন দপ্তর
এই সকল সমস্ত দপ্তরের পরামর্শদাতার নিয়োগ করা হবে এবং যার পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার।
কারা কারা আবেদন করতে পারবেন : আপনি যদি এখানে আবেদন করতে চান অর্থাৎ আপনি যদি পরামর্শদাতা হতে চান তাহলে সরকারি সূত্র অনুযায়ী- রাষ্ট্রায়ত্ত বা স্বশাসিত সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, নামী গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি সংস্থা, পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা পরামর্শদাতার পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।অবসরপ্রাপ্তদেরও আবেদনের সুযোগ থাকবে।
বেতন: সিনিয়র পরামর্শদাতা মাসে দু’লক্ষ ও পরামর্শদাতারা প্রতি মাসে দেড় লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক পাবেন।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা