নতুন এই প্রকল্পে আবেদন করলে ১ লক্ষ টাকা করে পাবেন | PM Biswakarma Yojana Apply Now

বিশেষ এক প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি কারিগরকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খুবই অল্প পরিমাণ সুদে ঋন ও অন্যান্য সুবিধা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশেষ এই স্কিমের আওতায় আর্থিক সহায়তা প্রদানের সাথে সাথে দক্ষতা, প্রশিক্ষণ, আরও অনেক বেশি করে কাজের সুযোগ প্রদান করা ছাড়াও আমাদের দেশের কারিগরদের জন্য আরও অনেক উন্নত মানের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়। আপনি যদি একজন কারিগর হয়ে থাকেন এবং এই প্রকল্পের আওতায় ১ লক্ষ টাকার ঋন পেতে চান তাহলে এই প্রকল্পের আওতায় আবেদন করে ফেলুন। নীচে এই প্রকল্পের সুবিধা লাভ করতে হলে কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে? কিভাবে আবেদন করতে হবে? এই প্রকল্পের আওতায় কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে? এইসব বিষয় গুলির সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হল।

এতক্ষণ পর্যন্ত আমরা যে প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলছি তার নাম হল পি.এম বিশ্বকর্মা যোজনা। ২০২৩ সালের ১৭ ই সেপ্টেম্বর ভারত সরকার আমাদের দেশের কারিগরদের উন্নয়নের জন্য তাদের আর্থিক দিক থেকে সাহায্য করতে এই যোজনা চালু করেছিলেন। এই যোজনার আওতায় কারিগর শ্রেণীর মানুষদের ১ লক্ষ টাকা করে খুবই সামান্য পরিমাণ সুদে ঋণ প্রদান করা হয়।

পি.এম বিশ্বকর্মা যোজনার সুবিধা:-
পি.এম বিশ্বকর্মা যোজনা প্রকল্পের আওতায় কোনো একটি নির্দিষ্ট সুবিধা নয় একাধিক সুবিধা প্রদান করা হয়। এই প্রকল্পের আওতায় যে যে সুবিধা গুলি দেওয়া হয় সেগুলি হল-

১) এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের দেশের বিশ্বকর্মা অর্থাৎ কারিগর শ্রেণীর মানুষদের আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেওয়া টাকা দিয়ে এই সকল মানুষেরা উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সরঞ্জাম কিনে নিজেদের ব্যাবসার উন্নতি করতে পারে।

২) বিশ্বকর্মা যোজনার আওতায় কেন্দ্রীয় সরকার সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়ে থাকে। এই ৩ লক্ষ টাকার ১ লক্ষ টাকা প্রথম ধাপে দেওয়া হয়। তারপর তাদের কাজ দেখে পরবর্তী ধাপে অতিরিক্ত ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।

পি.এম বিশ্বকর্মা যোজনায় আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা:-
পি.এম বিশ্বকর্মা যোজনার টাকা শুধুমাত্র আমাদের দেশের ১৪০ টি বিশ্বকর্মা সম্প্রদায়ের মানুষদের দেওয়া হয়। তবে এই প্রকল্পের আওতায় আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর নিম্নলিখিত যোগ্যতা গুলি থাকতে হবে। যেমন-

১) আবেদনকারীকে অতি অবশ্যই ভারতের একজন স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।

২) আবেদনকারীকে আমাদের দেশের ১৪০ টি বিশ্বকর্মা সম্প্রদায়ের অন্তর্গত একজন হতে হবে।

৩) আবেদন করার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।

৪) আবেদনকারী সত্যিই বিশ্বকর্মা প্রজাতির অন্তর্গত কিনা তা প্রমাণ করতে তার কাস্ট সার্টিফিকেট থাকাটা অত্যন্ত জরুরি।

৫) এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে অবশ্যই প্রযুক্তি গত কাজে পারদর্শী হতে হবে।

৬) আবেদনকারী যদি কোনো সরকারি কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাহলে এক্ষেত্রে তিনি আবেদনের যোগ্য যোগ্য নন।

পি.এম বিশ্বকর্মা যোজনার আওতায় আবেদন প্রক্রিয়া:-
পি.এম বিশ্বকর্মা যোজনার আওতায় আবেদন করার জন্য আবেদনকারীকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। তার জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে-

১) সবার আগে পি.এম বিশ্বকর্মা যোজনার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://pmvishakarma.gov.in এ প্রবেশ করতে হবে।

২) তারপর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে হোমপেজে বিশ্বকর্মা যোজনার লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে।

৩) এরপর ভেরিফিকেশন এর জন্য আবেদনকারীকে তার নিজস্ব আধার নম্বর ও মোবাইল নাম্বার ইনপুট করতে হবে।

৪) ভেরিফিকেশন হয়ে গেলে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ফর্ম আসবে সেখানে আবেদনকারীকে তার নিজের সম্পর্কে যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন ফর্ম ফিলাপ করতে হবে।

৫) তারপর একে একে যাবতীয় প্রয়োজনীয় নথিপত্র স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।

৬) সবশেষে সবকিছু ভালোভাবে মিলিয়ে নিয়ে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে দিলেই আবেদন হয়ে যাবে।

৭) আবেদন পত্র সাবমিট করার পর সেটিকে ডাউনলোড করে সাদা A4 সাইজ পেপারে প্রমাণ পত্র হিসেবে তার প্রিন্ট আউট বের করে রেখে দিন।
আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:-
আবেদন করার সময় যে যে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে সেগুলি হল-

১) দেশ তথা রাজ্যের স্থায়ী নাগরিকত্বের প্রমাণ পত্র হিসেবে আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড।

২) আবেদনকারীর নিজের প্যান কার্ড।

৩) আবেদনকারী যে বিশ্বকর্মা সম্প্রদায়ের অন্তর্গত তার প্রমান পত্র হিসেবে কাস্ট সার্টিফিকেট।

৪) আবেদনকারীর নিজের নামে থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ডিটেইলস।

৫) আবেদনকারীর নিজের পাসপোর্ট সাইজের ফটো।

৬) আবেদনকারীর নিজের একটি বৈধ মোবাইল নাম্বার।

উপরিউক্ত এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি বিশ্বকর্মা যোজনার আওতায় আবেদন করতে পারবেন এবং এই যোজনার আওতায় যাবতীয় সুবিধা লাভ করতে পারবেন।

Leave a Comment