রাজ্যের মহিলাদের জন্য দুর্দান্ত সুখবর। চালু করা হলো লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অনুকরনে আর একটি নতুন প্রকল্প। যার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ শ্রেণীর মহিলাদের ১,০০০ টাকা করে এবং সংরক্ষিত শ্রেণীর মহিলাদের ১,২০০ টাকা করে প্রতি মাসে ভাতা দেওয়া হবে। তাহলে চলুন জেনে নিই নতুন এই প্রকল্পের নাম কি? কিভাবে এই প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত করতে হবে? কতদিনের মধ্যে করতে হবে এইসব বিষয় গুলির সম্পর্কে। নীচে এই সকল বিষয় নিয়ে খুঁটিনাটি তথ্য আলোচনা করা হল।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনকল্যাণমূলক প্রকল্প গুলির মধ্যে অন্যতম হল লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প। এবার এই প্রকল্পকে ঘিরে এক নয়া উদ্যোগ গ্ৰহন করল চাঁদরা ব্লকের সনকাডাঙ্গা গ্ৰামের মহিলারা। সনকাডাঙ্গা গ্ৰামের ৬০ থেকে ৭০ টি পরিবারের মহিলারা যার লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন তারা একজোট হয়ে লক্ষীর ভান্ডার ক্লাব গঠন করেছেন। কেন এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার পিছনে মূল উদ্দেশ্য কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
লক্ষীর ভান্ডার ক্লাব গঠন করার মূল উদ্দেশ্য কি?
এই লক্ষীর ভান্ডার ক্লাব গঠনের মূল উদ্দেশ্য হল-
১) বাংলার প্রতিটি গ্ৰামের ঘরে ঘরে গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা।
২) বাংলার গ্ৰামের প্রতিটি ঘরে ঘরে মহিলারা যাতে আর্থিক দিক থেকে স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারেন তার ব্যাবস্থা করা।
৩) গ্ৰাম গুলিতে গিয়ে সেখানকার উন্নয়ন মূলক কাজে অংশগ্রহণ করা।
মহিলাদের এই কর্মকান্ডে পুরুষদের কতখানি সমর্থন রয়েছে?
চাঁদরা ব্লকের সনকাডাঙ্গা গ্ৰামের মহিলাদের এই কর্মকান্ডে সেই গ্ৰামের পুরুষদের পুর্নাঙ্গ সমর্থন রয়েছে। লক্ষীর ভান্ডার ক্লাবের অন্তর্ভুক্ত মহিলারা জানিয়েছেন যে তারা পুরুষদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে গ্ৰামের উন্নতি সাধনে ও সামাজিক সমস্যা সমাধানের কাজ করবেন।
লক্ষীর ভান্ডার ক্লাব গঠনের অন্যান্য উদ্দেশ্য গুলি কি?
লক্ষীর ভান্ডার ক্লাব গঠনের মূল উদ্দেশ্য হল সামাজিক উন্নয়ন মূলক কর্মসূচি গ্ৰহন করে গ্ৰামের উন্নতি সাধন করা। সেইসঙ্গে গ্ৰামের প্রতিটি ঘরে ঘরে মহিলাদের অর্থনৈতিক দিক থেকে সাবলম্বী হয়ে উঠতে সাহায্য করা। এছাড়াও এই ক্লাব গঠনের পিছনে অন্যান্য যে সব উদ্দেশ্য গুলি রয়েছে সেগুলি হল-
১) এই ক্লাব গঠনের মাধ্যমে গ্ৰামের প্রতিটি ঘরে ঘরে শিক্ষার মান উন্নয়ন ঘটানো এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
২) এছাড়াও গ্ৰামাঞ্চলের মহিলাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা।
চাঁদরা ব্লকের সনকাডাঙ্গা গ্ৰামের লক্ষীর ভান্ডার ক্লাবের একজন সদস্য রীতা দাস মন্তব্য করেছেন যে, ” আমরা চাই আমাদের গ্ৰাম আরো উন্নত হোক। শুধুমাত্র ঘরের কাজ নয় এখন থেকে আমরা গ্ৰামের উন্নতি সাধনেও অংশগ্রহণ করব”। মোটের উপর এটাই বোঝা যাচ্ছে যে আজ শুধুমাত্র সনকাডাঙ্গা গ্ৰামের মহিলারা যে লক্ষীর ভান্ডার ক্লাব গঠন করেছে তাতে অনুপ্রাণিত হয়ে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সারা পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলার প্রতিটি এলাকায় এই ক্লাব গড়ে উঠবে।
MORE NEWS: CLICK HERE