অবশেষে পশ্চিমবঙ্গে SSC মাধ্যমে নিয়োগ ২৬ হাজার চাকরি বাতিল , মাথায় হাত চাকরি প্রার্থীর

২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় অবশেষে কপাল পুড়লো SSC চাকরি প্রার্থীদের। এদিন শুনানি পর্ব শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এখনো ফাইনাল রায় দেয়নি সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে। কিন্তু শুনানি যে পর্যায়ে গিয়েছে সেই অনুপাতে বোঝা গিয়েছে রাজ্যে প্রায় অযোগ্য সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের এই চাকরি চলে যাবে। অনেক ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে পুরো প্যানেল টাই বাতিল করে আবার নতুন করে নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হবে। যারা যোগ্য তারাই একমাত্র চাকরি পাবেন। তবে কি হলো এই মামলায় এবং কাদের চাকরি থাকবে বা কাদের চাকরি চলে যাবে সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে হলে আপনাকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।


হাইকোর্ট জেলায় দিয়েছে সেই রায়কেই সামর্থন করেছে CBI-এর তরফ থেকে। এই মামলাটি এদিন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং সঞ্জীব খান্নার ডিভিশন বেঞ্চে উঠে। সেখান থেকেই অভিনব প্রক্রিয়ায় সিবিআই জানিয়ে দিয়েছে তারা কলকাতা হাইকোর্টের তরফে রায় দিয়েছে সেই রায়কে সমর্থন করেন। এখানে যোগ্য অযোগ্য পৃথক করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এছাড়াও সিবিআই তরফ থেকে বলা হয়েছে এমন অনেক চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন যারা সাদা খাতা জমা দিয়েও চাকরি পেয়েছেন। তবে কিভাবে যোগ্য অযোগ্য পৃথক করা যাবে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে কেউই সঠিক উত্তর দিতে পারেনি।

জানানো হয়েছে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রচুর বিতর্কিত তথ্য রয়েছে। পংকজ বানসালের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ওএমআর শিট এবং কমিশনের দেওয়া ওএমআর সিটের মধ্যে বিস্তর ফারাক হয়েছে। এখানে কোন তথ্য আসল কমিশনেরটা নাকি পংকজ বনসলের? কমিশন এর সাথে উত্তর দিতে পারেনি।

চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী এতিম পুরো প্যানেল বাতিলের পক্ষে সমর্থন করেন। তিনি বলেন একজন যদি অযোগ্য প্রার্থীর চাকরি থাকে তাহলে একজন যোগ্য প্রার্থী বঞ্চিত হবে। কে কত দিয়ে চাকরি করেছে সেটা বড় কথা নয় তবে যদি অযোগ্য প্রার্থীদের দ্বারা শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা করা হয় তাহলে শিক্ষার অবনতি ঘটবে। সেদিন রায়দ্বারে স্থাপিত দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে সব মিলিয়ে অন্ধকারের মধ্যে রয়েছে 26 হাজার চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ।

২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ কি? যোগ্য অযোগ্যদের কিভাবে পৃথক করা যাবে? চাল থেকে কি কাকোর আলাদা করা যাবে? এই নিয়ে প্রচুর শাওয়াল জবাব হয়। কিভাবে তাদের চাকরিতে রাখা যাবে এ ব্যাপারে সাওয়াল জবাব হওয়ার সময় ঠিক ফেরদৌস শামীম এবং বিকাশ রঞ্জন আইনজীবীরা পুরো প্যানেল বাতিল করে নতুন করে আবার পরীক্ষা নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের চাকরিতে নিযুক্ত করার পক্ষে সমর্থন করেন। বিকাশ রঞ্জন বাবুর কথায় একমাত্র পরীক্ষা নেওয়ার মাধ্যমে যোগ্য অযোগ্য পৃথক করা সম্ভব।

শীর্ষ আদালতের আইনজীবীদের পক্ষে বলা হয় বয়সের ঊর্ধ্বসীমা হাতিয়ে ২০১৬ সালে যারা পরীক্ষায় বসে ছিলেন তাদের আবার পরীক্ষা নেওয়া হোক। তবে এ ব্যাপারে যারা চাকরি করেন তাদের পক্ষে বলা হয়েছে রাজ্যের ব্যর্থতার কারণে তারা চাকরি হারিয়ে আবার নতুন করে পরীক্ষায় বসলে তাদের প্রতি অমানবিক হবে।

হাইকোর্টের তরফে যখন ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার রায়দান হয় তারপরে এই পর্ষদ এবং রাজ্য সরকার মিলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন। তবে সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে চাকরি আপাতত স্থগিত দেশ রাখলেও সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করে দেওয়া হয় যদি কোন চাকরি প্রার্থী দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে তার চাকরি তো যাবেই সঙ্গে তার পুরো বেতনও ফেরত দিতে হবে। এখন দেখার বিষয় কাদের চাকরি যাবে এবং কি করে তারা বেতন ফেরত দিবে।

Leave a Comment