দেশের সকল নাগরিকদের সুবিধার্থে ভারতীয় ডাক বিভাগের পক্ষ থেকে চালু করা হয়েছে এক আকর্ষণীয় ও লাভজনক স্কিম। দেশের যে কোনো পোস্ট অফিসে বিশেষ এই স্কিমের আওতায় মাত্র ৩৩৩ টাকা বিনিয়োগ করলে মেয়াদ শেষে আপনি পুরো ১৬ লক্ষ টাকা রিটার্ন পাবেন। এতদিন পর্যন্ত আপনারা পোস্ট অফিস ও বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক গুলির তরফে চালু করা যেসব ডিপোজিট স্কিমের বিষয়ে জেনেছেন বা তাতে বিনিয়োগও করেছেন তার চাইতে অনেক গুনে বেশি লাভজনক হল এই স্কিম। তাই আর সময় নষ্ট না করে চটপট এই স্কিমের আওতায় অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলুন। আর ৩৩৩ টাকা বিনিয়োগ করে মেয়াদ শেষে হয়ে যান ১৬ লক্ষ টাকার মালিক। বিনিয়োগ করতে আগ্রহী থাকলে শেষ পর্যন্ত এই প্রতিবেদনটি পড়ুন।
আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত যতদিন পর্যন্ত খেটে রোজগার করতে পারছি তার মধ্যে নিজের ও পরিবারের অন্যান্য সব সদস্যদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে কিছু পরিমাণ অর্থ সঞ্চিত রাখা। যাতে বৃদ্ধ বয়সে যখন আমাদের খেটে রোজগার করার মতন ক্ষমতা থাকবে না বা আমাদের অবর্তমানে যাতে এই সঞ্চয় করে রাখা অর্থ দিয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা নিজেদের সংসার জীবন অতিবাহিত করতে পারে। তবে শুধুমাত্র অর্থ সঞ্চয় করে রাখার পরিকল্পনা করলেই তো আর হল না, অনেক ভেবে চিন্তে সেই অর্থ এমন জায়গায় বিনিয়োগ করতে হবে যাতে তার থেকে অধিক হারে লাভবান হওয়া যায়।
সাম্প্রতিককালে যত দিন যাচ্ছে ততই আমাদের দেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক গুলির তরফে চালু হওয়া ফিক্সড ডিপোজিট স্কিম ও রেকারিং স্কিম গুলিতে দেওয়া সুদের হার ক্রমশ কমতে থাকছে। তাই এইসব স্কিম গুলিতে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা সেভাবে লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না। আর সেই কারণেই বিনিয়োগকারীদের অধিক লাভবান হওয়ার সুযোগ করে দিতে ভারতীয় ডাকবিভাগের তরফে চালু করা হয়েছে এক বিশেষ স্কিম। যার নাম হল “রেকারিং ডিপোজিট” স্কিম।
“রেকারিং ডিপোজিট” স্কিমের মেয়াদ কাল কত?
এই স্কিমের আওতায় অর্থ বিনিয়োগ করার জন্য যে দিন আপনি অ্যাকাউন্ট খুলবেন সেই দিন থেকে শুরু করে পুরো ৬০ মাস অর্থাৎ ৫ বছর পর এই স্কিমের মেয়াদ শেষ হবে।
“রেকারিং ডিপোজিট” স্কিমের আওতায় কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে?
এই স্কিমে অর্থ বিনিয়োগ করলে যে যে সুবিধা লাভ করা যাবে সেগুলি হল-
১) এই স্কিমের আওতায় বিনিয়োগ করা মোট অর্থের উপর মাসিক ৫.৮ শতাংশ হারে সুদ দেবে পোস্ট অফিস যা কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি তিন মাস হিসেবে নির্ধারণ করবে।
২) এই স্কিমের আওতায় বিনিয়োগ করা শুরু করার পর বিনিয়োগকারী প্রথম মাসে যে পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করবেন তার সঙ্গে প্রত্যেক মাসে মাসে আরও ১০ টাকা গুন করে যে পরিমাণ অর্থ দাঁড়ায় সেই হিসেবে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে পারবেন।
৩) এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী ঠিক যেদিন অ্যাকাউন্ট খুলবেন সেই দিন থেকে শুরু করে ১ বছর পর তিনি তার মোট বিনিয়োগ করা অর্থের ৫০ শতাংশ তুলে নিতে পারবেন বা তা ঋন হিসেবে নিতে পারবেন।
৪) এই স্কিমের আওতায় অর্থ বিনিয়োগ করতে চাইলে সবার আগে যে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে তার মাত্র ১০০ টাকার বিনিময়ে খোলা যাবে।
৫) এক্ষেত্রে ৫ বছর পর মেয়াদ পূর্ণ হলে কোনো বিনিয়োগকারী যদি মেয়াদ শেষে পাওয়া সুদ আসল সহ মোট অর্থ পুনরায় ১০ বছরের জন্য এই স্কিমের আওতায় বিনিয়োগ করেন তাহলে সেক্ষেত্রে ১০ বছর পর তিনি আসল হিসেবে ১২ লক্ষ টাকা এবং তার সঙ্গে ৪.২৬ লক্ষ টাকা সুদ মিলিয়ে মোট ১৬ লক্ষ টাকা ফেরত পাবেন।
“রেকারিং ডিপোজিট” স্কিমের আওতায় নাম নথিভুক্ত করতে হলে কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে?
এই স্কিমের আওতায় অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে সাধারণ কিছু যোগ্যতা থাকলেই চলবে। যেমন-
১) এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী ব্যাক্তিকে অবশ্যই ভারতের একজন স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
২) বিনিয়োগকারীর বয়স ১০ বছরের উর্ধ্বে হতে হবে।
৩) বিনিয়োগকারীর আধার কার্ড অতি অবশ্যই থাকতে হবে।
“রেকারিং ডিপোজিট” স্কিমের আওতায় কিভাবে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে?
এই স্কিমের আওতায় অর্থ বিনিয়োগ করতে চাইলে আপনাকে আপনার নিকটবর্তী যে কোনো পোস্ট অফিসে গিয়ে এই স্কিমের বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে সবকিছু জেনে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড সহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দিয়ে সেখান থেকেই অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এবং তার পর থেকে প্রতি মাসে মাসে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে।
আবেদন করার শেষ তারিখ কি?
এক্ষেত্রে কোনো রকম শেষ সময় সীমা ধার্য্য করা হয়নি। সব সময়ই এই অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। আপনি আপনার সুবিধা অনুযায়ী রবিবার ও অন্যান্য ছুটির দিন বাদ দিয়ে যে কোনো দিন পোস্ট অফিস খোলা থাকাকালীন গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।
MORE NEWS: CLICK HERE