খুব শীঘ্রই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আস্তে চলেছে এক বিরাট পরিবর্তন। এমনটাই সেদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে সাফ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো মুখ্যমন্ত্রীর পদে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, সবুজ সাথী, খাদ্যসাথীর মতো একের পর এক বহু জনকল্যাণ মূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। আর এইসব প্রকল্প গুলির সান্নিধ্যে এসে পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষ বিভিন্ন রকম ভাবে উপকৃত হয়েছেন। এককথায় বলতে গেলে বলতে হয় পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটিয়ে তাদের সমাজে সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে থাকতে সাহায্য করাই ছিল আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর একমাত্র লক্ষ্য।
কিন্তু তিনি রাজ্যের মানুষের উপকার করার স্বার্থে তাদের ভালো রাখার স্বার্থে যতই নতুন নতুন প্রকল্প চালু করুন না কেন যতই অক্লান্ত পরিশ্রম করুন না কেন এগুলির বিনিময়ে তার কপালে সুনাম তো দূরে থাক উল্টে রাজ্যের অন্যান্য বিরোধী দলের পক্ষ থেকে জুটছে অপমান ও বদনাম। রাজ্যের বিরোধী দলনেতারা প্রতিদিন প্রতিমূহুর্তে বলে চলেছেন যে আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী নাকি রাজ্যের জনগণের জন্য এতসব কিছু করছেন শুধুমাত্র তার নিজের স্বার্থে। তিনি নাকি রাজ্যের মানুষের মাথায় হাত বুলিয়ে তাদের কাছ থেকে ভোট আদায় করার জন্য এই সমস্ত কিছু করছেন।
কিন্তু নিন্দুকের কাজই তো সব সময় নিন্দা করা। তা সে আপনি যত ভালো কাজই করুন না কেন যার কাজ নিন্দা করা সে সব সময় নিন্দাই করবে। কিন্তু সারা জীবন তাদের কথা ধরে বসে থেকে জীবনে ভালো কাজ করা থেকে বিরত থাকলে তো আর চলবে না। আর ঠিক সেই কারনেই আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার পর থেকে আজ পর্যন্ত আরও বেশ কিছু নতুন জনকল্যাণ মূলক প্রকল্প চালু করে চলেছেন। আর সেগুলির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রকল্পটি হল লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প।
প্রায় ২ বছর হতে চলল এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে । সেই দিন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের রাজ্যের অসংখ্য বেকার মহিলারা ভীষণ ভাবে উপকৃত হয়েছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি মাসে সাধারণ শ্রেনীর মহিলাদের মাসিক ৫০০ টাকা করে এবং তপশিলী জাতি, উপজাতিদের মাসিক ১০০০ টাকা করে ভাতা প্রদান করা হয়। এই টাকা দিয়ে আমাদের রাজ্যের অসংখ্য বেকার মহিলারা ছোটো খাটো ব্যাবসা করে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর হতে সক্ষম হয়েছেন।
কিন্তু বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যেভাবে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে তাতে করে এই ৫০০/১০০০ টাকাতে আর কত টুকুই বা কি হবে? তাই কিছু দিন আগে এক বৈঠকে মান্যনীয়া মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্তই নেন যে এবার থেকে তিনি সাধারণ শ্রেনীর মহিলাদের লক্ষীর ভান্ডারের মাধ্যমে প্রাপ্য টাকার পরিমাণ ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯০০ টাকা এবং তপশিলী জাতি, উপজাতিদের টাকার পরিমাণ ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪০০ টাকা করা হবে। এবং সেই সঙ্গে তিনি এই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আর এক নতুন মোর আনতে চলেছেন বলেও সেদিন সেই বৈঠকে জানিয়েছেন।
তিনি এটাই জানিয়েছেন যে আগে পশ্চিমবঙ্গের বিবাহিতা ও অবিবাহিতা এবং স্বামী পরিত্যক্তা মহিলারাই কেবলমাত্র এই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করতেন। আর বিধবা মহিলারা যেহেতু বিধবা ভাতার মাধ্যমে প্রতি মাসে ৪০০ টাকা করে ভাতা পান তাই তারা এই প্রকল্পের সুবিধা লাভের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত ছিলেন না। কিন্তু সেদিন সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং সাফ জানিয়ে দেন যে এবার থেকে রাজ্যের অন্যান্য মহিলাদের মতো রাজ্যের বিধবা মহিলারাও এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি মাসে ৫০০-১০০০ টাকার জায়গায় এখন থেকে ৯০০-১৪০০ টাকা করে পাবেন। আর এর ফলে রাজ্যের মহিলাদের আর্থিক অবস্থার আরও বেশি করে উন্নতি ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।