নতুন করে d.el.ed vs b.ed মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে বিশাল বড় একটি রায় বেরিয়ে এলো। দীর্ঘদিন ধরে এই মামলার শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। উভয় পক্ষের তরফ থেকে বিভিন্ন সাওয়াল জবাব করা হয়। অবশেষে ফাইনাল শুনানি শেষ হয় । এই মামলায় একপক্ষকে জিততেই হবে এবং একপক্ষকে হারতেই হবে এটাই বাস্তব এবং এটাই হলো। তবে এক্ষেত্রে b.ed দের জয়ের পরিবর্তে d.el.ed এর জয় হাতে চলে এল। এই জয়ের অপেক্ষায় ছিল পশ্চিমবঙ্গ এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকেও আইনজীবীরা এই মামলায় লড়ছিলেন।
অবশেষে জানা গিয়েছে যে সাওয়াল জবাব হয়েছিল সেখানে বিএড প্রার্থীদের পরিবর্তে ডিএলএড প্রার্থীদের দিকেই রায় চলে যায়। d.el.ed এর পক্ষের আইনজীবীরা b.ed দের পক্ষের আইনজীবীদের যে সমস্ত প্রশ্ন করে তার উত্তর দিতে নারাজ হয়ে পড়ে বিএড পক্ষের আইনজীবীরা।
আদালতে যে শাওয়াল জবাব হয়েছিল তার মূল কথা হলো এটাই – বিএড চাকরি প্রার্থীদের NCTE এর নিয়ম অনুযায়ী প্রাইমারিতে বসতে দেওয়া হয়েছিল তার একটাই কারণ সেটা হল যেহেতু প্রাইমারিতে ডিএলএড প্রার্থীদের সংখ্যা কম ছিল তাই বিএড প্রার্থীদের সেই জায়গায় প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু বর্তমান দেখা যাচ্ছে ডিএলএড করা পর্যাপ্ত পরিমাণে চাকরিপ্রার্থী রয়েছে তাই প্রাইমারিতে বি এড চাকরি প্রার্থীদের বসতে দেওয়ার কোন যুক্তি হয় না।
পশ্চিমবঙ্গের আইনজীবীর তরফ থেকে অবশেষে জানানো হয়েছে প্রাইমারিতে যে ১৬ হাজার ৫০০ নিয়োগ করা হলো সাম্প্রতিক সেখানে প্রচুর পরিমাণে বিএড ক্যান্ডিডেটরা চাকরি পেয়েছেন এবং তাদের চাকরি যেন বহাল থাকে । তবে এই মামলায় d.el.ed প্রার্থীদের জয়ের পরে বিএড প্রার্থীদের চাকরি নিয়ে টানাটানি পড়ে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
তবে যাই হোক d.el.ed দের দিকে রায়ের পর এই রাজ্যের বিএড প্রার্থীদের মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে কারণ রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে বিএড চাকরিপ্রার্থী রয়েছে এবং যারা প্রাইমারি টেট পরীক্ষা ভালো দিয়েছিল কিন্তু এই রায় d.el.ed দের পক্ষে যাওয়ায় b.ed চাকরিপ্রার্থীদের এখানে চাকরি করার কোন সুযোগ নেই।
MORE JOB NEWS: CLICK HERE