এতদিন পর্যন্ত আমাদের রাজ্যের সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যার মধ্যে সবচাইতে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পটি। রাজ্য সরকারের জনপ্রিয় এই প্রকল্পের কথা আমাদের কারোরই অজানা নয়। বাংলার বেকার মা বোনেদের আর্থিক দিক থেকে কিছুটা হলেও সাবলম্বী করে তুলতেই রাজ্য সরকারের এই মহান প্রচেষ্টা। এই প্রকল্পের দ্বারা বাংলার ঘরে ঘরে অসংখ্য মা বোনেরা উপকৃত হয়েছেন। তবে আজকের প্রতিবেদনে আমরা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে নয় বরং এই প্রকল্পের মতোই অন্য আরেকটি জনপ্রিয় প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনা করতে চলেছি। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের মতো এই প্রকল্পের আওতায় থাকা প্রতিটি উপভোক্তাকেও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রতি মাসে ভাতা দেওয়া হয়।
পশ্চিমবঙ্গে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী আট থেকে আশি বছর বয়সী সকল নাগরিকের জন্যই একাধিক প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। এগুলির মধ্যে কোনো কোনো প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য পাওয়া যায় আবার কোনো কোনো প্রকল্পের মাধ্যমে অন্যান্য ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়। বাংলার মা বোনেদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য যেমন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করা হয়েছে তেমনি এ রাজ্যের বেকার প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বার্ধক্য ভাতা চালু করেছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের আওতায় লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের মতোই একটা নির্দিষ্ট অংকের টাকা প্রতি মাসে রাজ্যের ৬০ উর্ধ্ব প্রবীণ নাগরিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যেই বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের আওতায় থাকা আমাদের রাজ্যের ২০ লক্ষ ১৫ হাজার প্রবীণ নাগরিক এই ভাতার সুবিধা ভোগ করছেন। যার মাধ্যমে প্রতি মাসে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি ১০০০ টাকা করে পাঠানো হয়। তবে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে এই প্রকল্পের আওতায় থাকা মানুষের সংখ্যা এবারে আরো অনেকটাই বাড়তে চলেছে। গত কিছু মাস আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে এই বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ৫০ হাজার প্রবীণ নাগরিককে যুক্ত করা হবে। যার ফলে এই প্রকল্পের আওতাধীন উপভোক্তার সংখ্যা বেড়ে হবে ২০ লক্ষ ৬৫ হাজার জন। সুতরাং আগামী দিনে এই ২০ লক্ষ ৬৫ হাজার প্রবীণ নাগরিক এই বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের সুবিধা লাভ করবেন।
শুরুতে এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেওয়া ভাতার পরিমাণ অনেকটাই কম ছিল। ২০২১ সাল থেকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দোগে এই ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করে ১০০০ টাকা করা হয়েছে। বার্ধক্য ভাতার আওতায় যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে যাদের বয়স ৬০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে তাদের মোট প্রাপ্য ১০০০ টাকার মধ্যে ২০০ টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় আর বাকিটা দেয় রাজ্য সরকার। অন্যদিকে যাদের বয়স ৮০ বছরের উপরে তাদের মোট প্রাপ্য টাকার মধ্যে ৩০০ টাকা করে কেন্দ্রীয় সরকার দেয় এবং বাকিটা দেয় রাজ্য সরকার।
এই প্রকল্পের আওতায় যুক্ত হয়ে এতদিন পর্যন্ত অসংখ্য বৃদ্ধ বৃদ্ধা যারা সন্তানদের উপর বা পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের উপর নির্ভরশীল তারা পুরোপুরি ভাবে না হলেও আংশিক ভাবেও আর্থিক দিক থেকে সাবলম্বী হয়ে উঠতে পেরেছেন। আগামী দিনেও এমন ভাবেই আমাদের রাজ্যের আরো বহু সংখ্যক রোজগার হীন বৃদ্ধ বৃদ্ধা এই প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক ভাবে সাবলম্বী হয়ে উঠতে পারবেন।
MORE NEWS: CLICK HERE
খাদ্য দপ্তরের তরফে বিরাট বড় কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জানা গিয়েছে সব…
প্রাইমারি টেট পরীক্ষার্থীর জন্য বিশাল বড় একটি সুখবর। অবশেষে যারা যারা প্রাইমারি টেট পাস করে…
দীপাবলীর আগেই সরকারি কর্মীদের DA ও পেনশন দুটোই দ্বিগুণ বাড়তে চলেছে। সরকারি কর্মী ও পেনশন…
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে আবারো নতুন করে রাজ্যে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হল। এ…
Home Guard Recruitment : আমাদের রাজ্যে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে শিক্ষিত বেকারত্বের হার। সরকারের…
PM Kishan Mandhan Yojana : বর্তমানে ভারতবর্ষের মেরুদণ্ড কৃষিকাজ। তবুও দেশের ৯০% কৃষক আজ গরীব।…