পোস্ট অফিসের এই স্কিমে ১,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে প্রতি মাসে ২০,০০০ টাকা সুদ পান।
বৃদ্ধ বয়সে সকলেরই একটা নিশ্চিত অর্থ সংস্থান থাকাটা জরুরি। যারা সরকারি চাকরি করেন তাদেরও চাকরি জীবনে সংসার চালিয়ে বেশি টাকা জমানো সম্ভব হয়ে ওঠে না। সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে ভরসা বলতে কেবল পেনশনের টাকা টুকুই। এক্ষেত্রে আপনাকে দারুন লাভ দিতে পারে পোস্ট অফিসের সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম। পোস্ট অফিসের এমন বহু লাভজনক স্কিম রয়েছে যেখানে প্রতি মাসে মাসে খুব অল্প পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে মাসে মাসে মোটা অংকের টাকা সুদ পাওয়া যায়। পোস্ট অফিসের এমনি একটি জনপ্রিয় স্কিম হল এই সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম। যেখানে ১ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে সুদ পাওয়া যাবে।
পোস্ট অফিসের এই জনপ্রিয় স্কিম অর্থাৎ সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের আওতায় অর্থ বিনিয়োগ করলে ৫ বছরের জন্য প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে আপনি সুদ পাবেন। যার ফলে বৃদ্ধ বয়সে যখন আপনার আর পরিশ্রম করে উপার্জন করার মতো ক্ষমতা থাকবে না তখন আপনাকে টাকার জন্য চিন্তা করতে হবে না বা কারোর কাছে হাত পাততে হবে না।
পোস্ট অফিসের যতগুলি ডিপোজিট স্কিম রয়েছে তার মধ্যে এই সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমটি সবচাইতে উচ্চহারে সুদ প্রদান করে। সেই কারণেই এই স্কিমটি সবচাইতে বেশি পরিচিত ও জনপ্রিয়। বর্তমানে এই স্কিমের সুদের হার ৮.২ শতাংশ। এই স্কিমের আওতায় আপনি ৬০ বছর বয়স পেরোনোর পর বিনিয়োগ করতে পারবেন। এই স্কিম অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের জন্য আর্থিক দিক থেকে স্বচ্ছল ভবিষ্যত প্রদান করে।
এই স্কিমটি ভারতীয় ডাক বিভাগের তরফ থেকে আমাদের দেশের ৬০ বছর বা তার উর্দ্ধের প্রবীণ নাগরিকদের জন্য চালু করা হয়েছে। এই স্কিমটি সরকারি কর্মীদের অবসর লাভের পর তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা ও সুনিশ্চিত ভবিষ্যত কাটানোর সুবিধা দিয়ে থাকে। এই স্কিমের সবচাইতে বড় বিশেষত্ব হল আপনারা যারা ৬০ বছর বয়স হওয়ার আগেই অবসর নিতে চাইছেন তারাও এই সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীর বয়স ৫৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
পোস্ট অফিসের এই সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের আওতায় আপনি সর্বনিম্ন ১,০০০ টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন। এই স্কিমের আওতায় বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সীমা ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এই স্কিমের আওতায় ৩০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলে প্রতি মাসে ২০ হাজার ৫০০ টাকা হিসেবে বছরে ২ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা বার্ষিক সুদ পাওয়া যাবে। এই স্কিম তাদের জন্য বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ যারা অবসর লাভের পর যত দিন বেঁচে থাকবেন ততদিন পর্যন্ত একটা আর্থিক দিক থেকে স্বচ্ছল ও সুনিশ্চিত জীবন কাটাতে পারেন। তবে এই সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম থেকে যে রিটার্ন পাওয়া যায় তা করযুক্ত। কোনো বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ করা অর্থের বার্ষিক সুদ যদি ৫০ হাজার টাকার উপরে হয় তাহলে সেক্ষেত্রে তার সুদের টাকা থেকে ট্যাক্স কেটে নেওয়া হবে। তবে এই ট্যাক্স আপনি এড়িয়ে যেতে পারেন একটা উপায়ের মাধ্যমে। ১৫ জি বা ১৫ এইচ ফর্ম জমা দেওয়ার মাধ্যমে।
সুতরাং আপনি যদি একজন সরকারি অবসরপ্রাপ্ত ব্যাক্তি হয়ে থাকেন তাহলে আর দেরি না করে এই স্কিমের আওতায় দ্রুত বিনিয়োগ করে ফেলুন আর অবসর লাভের পর সুনিশ্চিত ও স্বচ্ছল ভবিষ্যত কাটানোর পর প্রশস্ত করুন।