পশ্চিমবঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশন তথা SSC তে বিপুল পরিমানের দুর্নীতির অভিযোগ একের পর এক সামনে আসছে। এই পরিস্থিতিতে এসএসসির দপ্তর থেকে এক অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানিয়ে গোটা রাজ্যে বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়েছে। এসএসসির একের পর এক দুর্নীতির সামনে আশায় কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে এসেছে উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। এসএসসির নিয়োগের ওপর বেশকিছু মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এবার রাজ্য সরকার এই SSC নিয়োগের ওপর এক বিরাট বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যে আপার প্রাইমারির নবম দশম শিক্ষক নিয়োগ আইনি জটিলতায় ঝুলছে। এই পরিস্থিতিতে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তৎপর হয়েছেন এবং যত দ্রুত সম্ভব এইসব আইনি জটিলতা মিটিয়ে দিয়ে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের করা হবে বলে জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে যেসব নিয়োগ বেআইনি অথবা ভুয়া এবং যারা পরীক্ষায় পাশ না করে চাকরি পেয়েছেন তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে খুব দ্রুতই। একে একে এইসব বেআইনি নিয়োগ গুলি খুঁজে বের করে খুব দ্রুতই এদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে।
কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে খাতিয়ে দেখা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে এসএসসির মাধ্যমে যে গ্রুপ ডি, গ্রুপ-সি নিয়োগ হয়েছিল ও নবম দশম শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল সেখানে প্রচুর পরিমাণে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। টাকার দ্বারা আবার স্বজনপোষণের দ্বারা প্রচুর পরিমাণে বুয় শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল এই প্যানেলে। অবশেষে এইসব শিক্ষক ও অন্যান্য গ্রুপ ডি গ্রুপ সি নিয়োগ বাতিল করে তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের যেসব নিয়োগ ও বলে গণ্য হবে সেসব নিয়োগ বাতিল করে তাদের জায়গায় নতুন করে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ করা হবে।
রাজ্যের যেসব বেআইনিভাবে ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে সেগুলো বাতিল করে নতুন করে কিভাবে আবার সেখানে নিয়োগ করা হবে এই নিয়ে একটি নতুন কমিটি গঠন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এই কমিটি বেআইনিভাবে নিয়োগ দের খুঁজে বের করে নতুন করে নতুন চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগের ব্যাপারে তৎপর হয়ে উঠবে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে যত দ্রুত সম্ভব এই সব শুন্য পদ পূরণ করতে হবে। তবে এখন যেসব নিয়োগ করা হবে সেগুলো আইনি দিক লক্ষ্য রেখে সমস্ত ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নবান্নে তরফ থেকে।
ইতিমধ্যেই এই কমিটি পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগের জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে এবং কিভাবে এই শূন্য পদ পূরণ করা যায় তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে হাইকোর্টে পরবর্তী শুনানির আগেই কিভাবে নতুন করে নিয়োগ করা যায় তা নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করে তা আদালতের কাছে পেশ করবে এই কমিটি।
ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফ থেকে কড়া বার্তা দিয়ে শিক্ষা দপ্তরের কাছে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আপার প্রাইমারি ও SLST শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যদি কোন ভুল-ভ্রান্তি থেকে থাকে তাহলে সেগুলো অতি দ্রুত সম্পন্ন করে দিয়ে যোগ্যদের খুব দ্রুতই নিয়োগ প্রক্রিয়া হাতে তুলে দিতে হবে। সমস্ত স্বচ্ছভাবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া দেওয়ার কথা বলা হয়েছে যাতে পরবর্তী কালে কোনো আইনি জটিলতায় পড়তে না হয় রাজ্যকে।
ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে যেসব চাকরিপ্রার্থীর নবম দশম বা SLST চাকরির জন্য Waiting-List চাকরি প্রার্থী রয়েছেন তাদের আগামী 5 মে সকাল 11 টা থেকে নতুন করে কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া শুরু হবে।
ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে 2016 সালে আপার প্রাইমারি চাকরির পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলেও দীর্ঘ প্রায় ছয় বছর ধরে আইনি জটিলতায় আটকে রয়েছে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া। এই নিয়োগে আইনি জটিলতা অতি দ্রুত সম্পন্ন করে দিয়ে রাজ্যের আপার প্রাইমারির নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দিতে হবে খুব দ্রুতই এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
ইতিমধ্যেই জানা গেছে রাজ্যের গ্রুপ ডি পদে মোট 609 টি ডুয়ো নিয়োগ হয়েছে এইসব নিয়োগ বাতিল করে এই সব জায়গায় নতুন করে আবার গ্রুপ ডি নিয়োগ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই কমিটিকে সমস্ত ধরনের রিপোর্ট তৈরি করতে বলা হয়েছে এবং যত ভুল-ভ্রান্তি আছে সেগুলোতে নতুন করে আবার নিয়োগ করার কথা বলা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে রাজ্যে এইসব নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যে আবার নতুন করে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বেরোবে যেখানে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ এবং SSC তরফে আবারো স্কুলে গ্রুপ সি গ্রুপ ডি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।