দীর্ঘ প্রায় 6 বছর পরে রাজ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (WB SSC) মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এরইমধ্যে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সংবাদমাধ্যমের এসে এই নিয়োগের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গের আরো প্রচুর পরিমাণে শিক্ষকের শূন্যপদ তৈরি হয়েছে বলে জানান তিনি। এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত আপডেট দিতে গিয়ে ব্রাত্য বসু জানান বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করা হয় এসএসসি নিয়োগের জন্য।
ইতিমধ্যে ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন যে সমস্ত SLST আন্দোলনরত রয়েছে তাদের নিয়ে বৈঠক করা হয় এবং তিনি আরো জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো রাজ্যে আরো প্রচুর পরিমানের শিক্ষকের শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছে।
এবার একই সঙ্গে অনেক শূন্যপদে WBSSC মাধ্যমে SLST নবম-দশম ও একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীর নিয়োগ হবে এ ছাড়াও প্রচুর শূন্যপদে হেডমাস্টার নিয়োগ করা হবে। নিচের শূন্যপদের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আরো জানান এবার যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে এটি হবে একেবারে ত্রুটিমুক্ত এবং এখানে কেবলমাত্র মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে। এছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন খুব দ্রুতই রাজ্যের এই নিয়োগ সংক্রান্ত নোটিশ জারি করে পরীক্ষা তিন তারিখ ও আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে ঘোষণা করা।
ইতিমধ্যেই জানা গেছে খুব দ্রুতই এই নিয়োগের অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া গ্রহণ শুরু হবে। যতদূর জানা গেছে আগামী মাসের মধ্যেই এই নিয়োগের অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। এবং দুর্গাপুজোর পরপরই এই নিয়োগের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়ে যাবে। এ বছরের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
আজি প্রকাশিত হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি যেখানে পশ্চিমবঙ্গের স্কুলের শিক্ষক নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সংবাদমাধ্যমে এসে বিরাট বড় ঘোষণা করলেন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন আগে যে শূন্যপদের কথা বলা হয়েছিল তার তুলনায় আরো ৫২৬১টি পদ বাড়ানো হল। শরীর শিক্ষা, কর্মশিক্ষা বিভাগেও নতুন পদ তৈরি করা হয়েছে।
এর সঙ্গে এবার আরো যুক্ত হবে- শারীরশিক্ষার জন্য 850 টি পদ এবং কর্মশিক্ষায় 750 টি পদে নিয়োগ হবে। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আরো 5261টি পদ বাড়ানো হল।
ইতিমধ্যেই এই সুখবরটি b.ed পাস চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে গিয়েছে। এই ঘোষণাটি করার পরে সমগ্র রাজ্যজুড়ে খুশির হাওয়া বইছে সমগ্র চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে। দীর্ঘ প্রতীক্ষা অপেক্ষা এমনকি দীর্ঘ প্রিপারেশন এরপর অবশেষে রাজ্য সরকার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা শুরু করেছে এতেই চাকরিপ্রার্থীদের মনে বিরাট বড় আশার সঞ্চার হয়েছে।
এবার দেখার বিষয় রাজ্য সরকার কবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। তবে আশা করা যাচ্ছে রাজ্যের প্রচুর স্কুলে বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের শূন্য পদ রয়েছে এমনকি প্রচুর স্কুলশিক্ষক শূন্যতার অভাবে প্রায় বন্ধের মুখে। তাই খুব দ্রুতই রাজ্য সরকার পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষক নিয়োগ করবেন।